এখন পড়ছেন
হোম > রাজ্য > মেদিনীপুর > সত্যজিৎ বিশ্বাসের হত্যার জের মিটতে না মিটতেই আরেক হেভিওয়েট তৃণমূল নেতার দেহ মিলল রাস্তার ধারে – তীব্র চাঞ্চল্য

সত্যজিৎ বিশ্বাসের হত্যার জের মিটতে না মিটতেই আরেক হেভিওয়েট তৃণমূল নেতার দেহ মিলল রাস্তার ধারে – তীব্র চাঞ্চল্য

সত্যজিৎ বিশ্বাস হত্যাকাণ্ডের ৪৮ ঘন্টা কাটতে না কাটতেই আরো এক হেভিওয়েট তৃণমূল নেতার খুনের ঘটনা সামনে আসায় চোখ কপালে উঠল শাসকদলের।গত তিন দিন ধরে নিখোঁজ থাকার পর দাদপুরের কাছের জাতীয় সড়কের পাশ থেকে উদ্ধার করা হয় কাঁথির দাপুটে তৃণমূল নেতা রীতেশ রায়ের দেহ।

জেলায় অমিত শাহের সভার পর থেকেই নিখোঁজ ছিলেন শুভেন্দু অধিকারী ঘনিষ্ট এই নেতা। শনিবার নদীয়ার কৃষ্ণগঞ্জের তৃণমূল বিধায়ক সত্যজিৎ বিশ্বাসের খুনের পর থেকেই উদ্বিগ্ন ছিল রীতেশের পরিবার। কারণ গত তিন দিন ধরেই কাউকে কিছু না বলেই গায়েব হয়েছিলেন তিনি।

তাঁর এই বেপাত্তা হওয়ার নেপথ্যে বড়সড় কোনো চক্রান্ত রয়েছে কিনা তা নিয়েই চিন্তায় দিন গুনছিলেন রীতেশের পরিবারের সদস্যরা। তাঁদের আশঙ্কাকেই সত্যি করে রীতেশ রায়ের মৃতদেহ প্রকাশ্যে এল। নদীয়ায় তৃণমূল বিধায়কের পর মেদিনীপুরের তৃণমূল নেতা খুনের ঘটনায় ব্যপক চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে রাজনৈতিক মহলে।

স্থানীয় সূত্রের খবর,নিহত রীতেশ রায় কাঁথি ৩ নম্বর পঞ্চায়েত সমিতির দুরমুঠ এলাকার অঞ্চল সভাপতি ছিলেন। গত ৭ফেব্রুয়ারী থেকে নিখোঁজ তিনি। কোলাঘাটের বন্ধু শৌভিক চক্রবর্তীর ফোন পেয়ে তড়িঘড়ি করে বাড়ি থেকে বেরিয়েছিলেন ওদিন৷ তারপর থেকেই তাকে আর ফোনে আর পাওয়া যায়নি।

এরপর মারিশদা থানায় তাঁর নিখোঁজ হওয়ার ডায়েরি করেন রীতেশের পরিবার। পুলিশ,সূত্রের খবর বলছে,ওই ৭ তারিখ রাতেই দাদপুর থানা থেকে একটি রক্তাক্ত মৃতদেহের ছবি পাঠানো হয় মারিশদা থানায়। দাদপুরের কাছে জাতীয় সড়কের পাশ থেকে উদ্ধার হয়েছিল এক নাম পরিচয়হীন মৃতদেহ। তবে সেই উদ্ধারস্থল থেকে মৃতের ফোন বা পরিচয়পত্র কিছুই পাওয়া যায়নি। এরপর মারিশদা থানার পুলিশ মৃতদেহের শনাক্তকরণের জন্যে রীতেশের পরিবারকে ডাকলে রীতেশের ছেলে মৃতদেহকে বাবা বলে চিহ্নিত করেন।

রীতেশ রায় হত্যাকাণ্ড একাধিক প্রশ্নের মুখে দাঁড় করালো তদন্তকারী অফিসারদের। মালদহে যাবেন বলে বেরোলেও দাদপুরে কীভাবে রীতেশের দেহ পাওয়া গেল? তবে কি শেষপর্যন্ত তাঁকে দাদপুরে অপহরণ করে নিয়ে গিয়ে খুন করা হয়? নাকি এটি শুধুই দুর্ঘটনা? উত্তর মেলেনি কিছুরই।

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

তবে তদন্ত কার্যে কোমর বেঁধে নেমে পড়েছে পুলিশ। ময়নাতদন্তের প্রাথমিক রিপোর্ট বলছে,শ্বাসরোধ করে খুন করা হয়েছিল রীতেশ রায়কে। এছাড়া মৃতদেহের চোখের পাশে ক্ষতচিহ্ন রয়েছে বলেও জানিয়েছে পুলিশ। তদন্ত সূত্রে আরো জানা গিয়েছে,গত ২৯ জানুয়ারি কাঁথির পদ্মপুখুরিয়াতে বিজেপি সভাপতি অমিত শাহের সভাকে কেন্দ্র করে তুমুল অশান্তি বাঁধে। রীতেশ রায়ের বাড়ি থেকে সামান্য দূরত্বেই সেই সভা হয়েছিল।

সেই সভায় যাওয়া ও ফেরার পথে চাঁদবেড়িয়া ও দূরমুঠ তৃণমূল পার্টি অফিসে ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগ করেছিল বিজেপি কর্মীরা,এমনটাই অভিযোগ। এরপরই রীতেশ রায় এবং তাঁর ঘনিষ্ট মহল পাল্টা হামলা চালায় বলে অভিযোগ ওঠে। তারপরই গত ৭ ফেব্রুয়ারি নাগাদ রহস্যজনকভাবে নিখোঁজ হন রীতেশ রায়।

এই ঘটনায় সরাসরি বিজেপির বিরুদ্ধে অপহরণ করে খুনের অভিযোগ তুলেছে তৃণমূল। যদিও সেই অভিযোগকে তেমন পাত্তা দিচ্ছে না বিজেপি। ওদিকে,লোকসভা ভোটের মুখে পর পর দুজন তৃণমূল নেতার খুনের ঘটনা সামনে আসায় চিন্তায় রাতের ঘুম উড়েছে,শাসকদলের। রীতেশের ছেলে দোষীদের অবিলম্বে গ্রেফতার করে শাস্তির আর্জি জানিয়েছেন৷ অভিযোগ পেয়েই তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!