অ্যানসার প্লিজ – (লাভ স্টোরি) – কলমে অপরাজিতা-পর্ব ৫ অন্যান্য অপরাজিতা গল্পে-আড্ডায় March 19, 2020 প্রতীকদা – ছিঃ তুই এত বাজে ছেলে, মদ ,গ্যাঁজা, হিরোইন খাস। ছিঃ,আর একদম মিশবি না আমাদের সঙ্গে। নন্দিতা বৌদি – হুম, তোমরা সব ধোওয়া তুলসী পাতা, শুধু শুধু এই ভালো ছেলেটাকে এমন করছো কেন? নীতীশদা – হুম ভালোর কাছে কদিন ছিল , মুখ দেখলেই বোঝা যায় একটা লম্পট। অভ্র – এমন এমন করো না কেস খাবো ? প্রশান্তদা – কার কাছে কেস খাবি? অভ্র দীপশিখার কথা বলতে চাইলেও মুখে বললো – বৌদিরা ভুল বুঝবে আমাকে। অনিন্দিতা বৌদি – নারে, আমরা ভুল বুঝবো না আমরা জানি তুই ভালো ছেলে। প্রশান্তদা – বাই দা ওয়ে, তোর ডাক্তার হবার ইচ্ছা ছিল না কেন? কি সুন্দর চারপাশে সুন্দরী সুন্দরী নার্সরা স্যার স্যার করে ঘুরে বেড়ায়। অভ্র – যত ফালতু কথা, তোমাদের অফিসে মেয়ে নেই? প্রশান্তদা –থাকবে না কেন? কিন্তু সুন্দরী সুন্দরী নার্স, আলাদা ব্যাপার ? নন্দিতা বৌদি – তোমার খুব আফসোস হচ্ছে মনে হচ্ছে , ডাক্তার হওনি বলে , সুন্দরী সুন্দরী নার্সরা স্যার স্যার করে চারপাশে ঘুরছে না বলে। প্রশান্তদা – আমি ওর কথা বলেছি আমার কথা থোড়ি বলেছি, রাগ করছো কেন? তুমি আমার সব, তুমি ছাড়া আমি অন্য মেয়েদের দিকে তাকাইও না। অভ্র – পরিষ্কার মিথ্যা বলছে দিদি, বিঃশ্বাস করবে না। প্রশান্তদা – তুই চুপ কর মাতাল একটা, বাজে ডাক্তার রোগীরা তোকে দেখলেই ভয়ে পালায়। আবার বড় বড় কথা। নন্দিতা বৌদি – কথা ঘোরাবে না, উত্তর দাও, তোমার আফসোস হচ্ছে ? প্রশান্তদা – অরিত্র আজ তোদের বাড়িতে থাকতে দিবি? সুব্রত – বৌদি বাড়ি যাওয়া অব্দি ওয়েট করবে কেন? একটা ঝাঁটা আনবো দেবে ঘা কতক। আমরাও হেল্প করতে পারি। অনিন্দিতা বৌদি – চুপ করো তো যত বাজে কথা। তবে অভ্র ওটা ব্যাপক “এখনো তো অনেক কিছু দেখার বাকি আছে ! এরপর তো মেয়েরা ঢুকবে কোলে তোমার নাতি নাতনিদের নিয়ে , মরলে হবে? তাদের কোলে তুলে নাচাবে” নীতীশদা – বলছি কটা ছেলে মেয়ে আছে তোর ? প্রতীকদা – অগুন্তি প্রমিতদা – হুম ওই জন্যই গভীর রাতে দেখি ফেসবুকে অনলাইন আছে মালটা। সুজাতা বৌদি – তুমি গভীর রাতে ফেসবুকে কি করো , আমি তো জানি অফিসের কাজ করো? প্রমিতদা – অফিসের কাজ করতে করতে যখন বড় হয় একবার ফেসবুক খুলে দেখি ওই আরকি আবার কি করবো ? অনিন্দিতা – তোকে ঠাকুমা ডাকে কি বলে? অভ্র – ননী, অরিত্রদা – কি? ননী? অভ্র – দাদুর নাম ছিল মাখন তাই সেখান থেকে আমার নাম ননী – আমার চোদ্দ পুরুষের ভাগ্য ভালো ছিল যে যখন নামকরণ হয় তখন নামের প্রথম অক্ষর – ” অ ” এসেছিলো কাকু অভ্রদীপ নাম রেখেছিলো।নাহলে ঠাকুমা ঠিক করে ফেলেছিলো নাম ‘ননীগোপাল ‘ নন্দিতা বৌদি – তোকে কি নাম ডাকে তোর বাবা ননী ? অভ্র – হনুমান। আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে। আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে। আপনার মতামত জানান - এই সব চলছেই, অভ্রর চোখ চারপাশের পাশাপাশি ঘুরছে দীপশিখার মুখেও। একটু যদি একা পাওয়া যায়, একটু একা কথা বলতেই হবে ওর সাথে। নাহলে ব্লক করে দেবে সিওর। কথাবার্তার মাঞ্জেই দীপশিখার একটা ফোন এলো। ফোনটা দেখেই দীপশিখার মুখটা যেন কেমন একটা হয়ে গেলো , উঠে গেলো ভেতরে। অভ্র দু তিন মিনিট পরে ওয়াশরুম যাবার নাম করে ভেতরে গেলো। দীপশিখার কথা হয়ে গেছে। ঘর থেকে বেরোতে যাবে অভ্র ওর পায়ে শুইয়ে পড়লো। অভ্র – প্লিজ মাফ করে দাও , দীপশিখা – ভয় পেয়ে খুব আস্তে আস্তে – কি করছো কি? কেউ এসে যাবে যাও। অভ্র – আমি বলতাম আমি ডাক্তার, কিন্তু ভয়ে বলিনি , সরি, দীপশিখা – প্লিজ ওঠো, আর আমি তোমার গার্লফ্রেন্ড নয় যে রাগ করবো, অভ্র – ব্লক করবে না বলো, নাহলে উঠবো না। দীপশিখা – কেউ এখুনি চলে আসবে , প্লিজ যাও। অভ্র – আগে প্রমিস করো ব্লক করবে না। দেন উঠছি দীপশিখা – করবো না , অভ্র – ওকে, রাত্রে কথা হবে। তোমাকে এক্সপ্লেনে করবো কেন বলিনি আমি ডাক্তার , এবার বাকি চারটে ডিজিট বলো। দীপশিখা – নো অভ্র – আবার পায়ে পড়বো দীপশিখা – তোমার বাবা ঠিক বলেন ,তুমি একটা হনুমান অভ্র – তার মানে তুমি আমাকে নাম্বার দেবে না , ডিপিসিখা – না অভ্র – আমি কিন্তু আবার পায়ে পড়বো, দীপশিখা পাস্ কাটিয়ে চলে যাচ্ছিলো , অভ্র ফের পায়ে শুয়ে পড়লো। তখনিই শ্রাবনী আর একজনের গলা পাওয়া গেলো এদিকেই আসছে। অভ্র – উঠে পড়লো। শ্রাবনী – তোরা এখানে কি করছিস ? অভ্র – কি আবার করবো?আসলে আমার এক বোন , কলকাতা ইউনিভার্সিটিতে পড়তে চাই, সেই সব নিয়ে আমাকে একবার খবর নিতে বলেছিলো তাই আমি দীপশিখার কাছ থেকে ওর নাম্বারটা চাইলাম , বোনকে দেব ও কথা বলে নেবে। শ্রাবনী – তুই কি করে জানলি ও কলকাতা ইউনিভার্সিটিতে পরে। অভ্র – তুমি তো বললে? শ্রাবনী – কখন? অরুণিমাদি- কি না তো ! অভ্র – ও তাহলে অরিত্রদা , নাহলে আমি কি করে জন্য আশ্চর্য তো ? শ্রাবনী – হুম তাই হবে, তুই এখন যা , অরুনিমার একটু দরকার আছে এই ঘরে। অভ্র – ও আচ্ছা , দীপশিখা নাম্বারটা দাও। দীপশিখা – পরে দিচ্ছি হলো না অগত্যা চলে যেতে হলো অভ্রকে। তবে যাই হোক ঠিক আদায় করে নেবে, একটা শান্তি যে ব্লক করবে না। অ্যানসার প্লিজ – (লাভ স্টোরি) – কলমে অপরাজিতা-পর্ব ৪ অ্যানসার প্লিজ – (লাভ স্টোরি) – কলমে অপরাজিতা-পর্ব ৬ আপনার মতামত জানান -