প্রিয় বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট – আজ ভোর রাতে দক্ষিণ ২৪ পরগনার ভাঙ্গড়ে পুলিশের তল্লাশি চলে। একাধিক আইএসএফ সমর্থকের বাড়ি থেকে বোমা, বন্দুক উদ্ধার করে পুলিশ। গোপন সূত্রে খবর পেয়ে আজ ভোর রাতে বারুইপুর পুলিশের ডিএসপি তমাল সরকারের নেতৃত্বে পুলিশের অভিযান চলে। তল্লাশির সময় জলিল মোল্লা নামে জনৈক আইএসএফ কর্মীকে পুলিশ গ্রেপ্তার করেছে।

আজ ভোররাতে পুলিশ ভাঙ্গড়ের আইএসএফ কর্মী জলিল মোল্লার বাড়িতে হানা দেয়। সেখান থেকে বন্দুক, বোমা তৈরির মসলা, গুলি উদ্ধার করেছে পুলিশ। ভাঙ্গড়ের শকুন্তলা এলাকায় বেশ কিছু আইএসএফ কর্মীর বাড়িতে তল্লাশি চালিয়ে আগ্নেয়াস্ত্র, বোমা, বোমার মসলা, গুলি উদ্ধার করেছে পুলিশ। মোট ৪ জন আইএসএফ কর্মীকে পুলিশ গ্রেপ্তার করেছে। তাদের আজ বারুইপুর মহকুমা আদালতে তোলা হবে বলে জানা যাচ্ছে।

পুলিশের অভিযানে বোমা তৈরীর উপকরণ, বোমা, আগ্নেয়াস্ত্র ও গুলি উদ্ধার হলে এলাকাজুড়ে তীব্র শোরগোল পড়ে যায়। এই ঘটনা রাজনৈতিক প্রতিহিংসার কারণে ঘটেছে বলেই আইএসএফ এর দাবি। আবার, রবিবার ও সোমবার ভাঙড়ে আইএসএফ কর্মীদের মারধরের অভিযোগ উঠেছিল শাসকদল তৃণমূলের বিরুদ্ধে। যে ঘটনার প্রতিবাদে পথ অবরোধ করেছিলেন আইএসএফ কর্মীরা।

আইএসএফ কর্মীদের অভিযোগ, গত রবিবার ব্রিগেড থেকে ফেরার পরই তাঁদের নানা রকমভাবে হুমকি দিয়েছিল শাসকদল তৃণমূল। এমনকি গতকাল তাঁদের জোর করে তৃণমূলের পতাকা টাঙানোর নির্দেশ দেয়া হয়েছিল। একাজে অসম্মতি জানানোতে, তাদের প্রবল মারধর করা হয়েছে বলে অভিযোগ করা হয়েছে।

তবে এ প্রসঙ্গে ভাঙ্গড় পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি তথা তৃণমূল নেতা শাহজাহান মোল্লা জানালেন যে, তৃণমূলের কর্মীরা তৃণমূলের পতাকা টাঙাতে গেলে তাদের বাধা দিয়েছে আইএসএফ কর্মীরা। তাই তৃণমূলের বিরুদ্ধে আইএসএফ কর্মীদের অভিযোগ ভিত্তিহীন বলেই দাবি করেছেন তিনি।