এখন পড়ছেন
হোম > রাজনীতি > তৃণমূল > তৃণমূলের এত ভাঙ্গন কেন, সমস্যা কোথায়? জেনে নিন

তৃণমূলের এত ভাঙ্গন কেন, সমস্যা কোথায়? জেনে নিন


প্রিয় বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট – তৃতীয়বারের জন্য ক্ষমতা দখল করে তারা বিজেপিকে কুপোকাত করবে বলে দাবি করছেন তৃণমূলের সমস্ত স্তরের নেতা নেত্রীরা। কিন্তু বিজেপিকে কুপোকাত করা তো দূরের কথা, যেভাবে তৃণমূলের একের পর এক হেভিওয়েট নেতারা বিরোধী শিবিরে নাম লেখাতে শুরু করেছেন, তাতে তৃণমূলের অস্তিত্ব বিপন্ন হওয়ার আশঙ্কা করছেন বিশেষজ্ঞদের একাংশ। কিন্তু কেন বিধানসভা নির্বাচনের মুখে এভাবে হেভিওয়েট সাংসদ থেকে শুরু করে বিধায়করা দলত্যাগ করছেন? কোথায় রয়েছে সমস্যা?

এখন তা নিয়েই চর্চা শুরু হয়েছে বিশেষজ্ঞদের মধ্যে। এতদিন বেশ ভালো মতো চললেও, নির্বাচনের মুখে এইভাবে ভাঙ্গন ধরা যে ঘাসফুল শিবিরের কাছে যথেষ্ট অস্বস্তির কারণ, তা তলায় তলায় অনেকেই স্বীকার করে নিচ্ছেন। স্বাভাবিক ভাবেই গোটা বিষয়ে তৈরি হচ্ছে গুঞ্জন। বিশেষজ্ঞদের একাংশ বলছেন, এটা আজকের নতুন ঘটনা নয়। এখন হয়ত বা নেতা থেকে শুরু করে বিধায়ক, এমনকি সাংসদ বিজেপিতে যোগ দিচ্ছেন। কিন্তু দল ভাঙার খেলা এবং তৃণমূলকে চাপে রাখার এই খেলা অনেকদিন আগে থেকেই শুরু করে দিয়েছে ভারতীয় জনতা পার্টি।

গোপনে গোপনে তৃণমূলের ঘর ভাঙ্গার কাজ শুরু করে দিয়েছিল তারা। আর নির্বাচনের মুখে তা বাস্তবায়িত হতে দেখা যাচ্ছে। যেখানে এই কাজের মধ্যে দিয়ে বিজেপি একদিকে যেমন তৃণমূলের মনোবল ভেঙে দিতে চাইছে, ঠিক তেমনই তাদের সংগঠনকে কার্যত চ্যালেঞ্জের মুখে ফেলার চেষ্টা করছে বলেই মত একাংশের। আর এখানেই অনেকের প্রশ্ন, বিজেপি হয়ত বা টোপ দিয়েছে তাদের দলে আসার জন্য। কিন্তু দলের প্রতি আনুগত্য তৃণমূলের জনপ্রতিনিধি থেকে শুরু করে হেভিওয়েট নেতারা কেন বিজেপিতে যাচ্ছে?

তাহলে নিশ্চয়ই তৃণমূল কংগ্রেসে এমন কোনো সমস্যা তৈরি হয়েছিল, যার মধ্যে দিয়ে তা মোকাবিলা করতে না পেরে এখন সেই সমস্ত নেতারা বিজেপিতে যোগদান করতে শুরু করেছেন? এখন তা নিয়ে রীতিমত আলোচনা শুরু হয়েছে বিশেষজ্ঞদের মধ্যে। অনেকে বলছেন, তৃণমূলের এই ভাঙ্গনের পেছনে রয়েছে প্রশান্ত কিশোরের অবদান। গত লোকসভা নির্বাচনের পর প্রশান্ত কিশোর দলের দায়িত্ব নেওয়ার পরই দিকে দিকে অসন্তোষ বাড়তে শুরু করে।

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

অনেকেই সেই প্রশান্ত কিশোরের নির্দেশকে মানতে না পেরে রীতিমত বিদ্রোহী মনোভাব পোষণ করেন। ইতিমধ্যেই মিহির গোস্বামী থেকে শুরু করে একাধিক তৃণমূল বিধায়ক প্রকাশ্যে এই ব্যাপারে খুব উগড়ে দিয়েছেন। যার পরে তাদেরকে যোগ দিতে দেখা গেছে ভারতীয় জনতা পার্টিতে। শুভেন্দু অধিকারী থেকে শুরু করে রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায়ের মত নেতারা বিজেপিতে যোগদান করে রীতিমত তৃণমূলের ঘুম উড়িয়ে দিয়েছেন। তবে তৃণমূল অবশ্য দাবি করছে, তাদের কোনো ক্ষতি হবে না। কিন্তু মুখে শাসক দলের পক্ষ থেকে যে কথাই বলা হোক না কেন, তারা যে এই গোটা বিষয় নিয়ে যথেষ্ট চাপে, তা বলার অপেক্ষা রাখে না।

তাই অবিলম্বে যদি তৃণমূল কংগ্রেস এই ভাঙ্গন আটকাতে না পারে, তাহলে আগামী নির্বাচনে বিজেপির সঙ্গে লড়াই করতে যে তাদেরকে যথেষ্ট বেগ পেতে হবে, সেই ব্যাপারে নিশ্চিত বিশেষজ্ঞরা। বিজেপির পক্ষ থেকে কটাক্ষ করে বলা হচ্ছে, তৃণমূলের পক্ষ থেকে যতই বলা হোক খেলা হবে, এরপর তৃণমূলে আর কোনো খেলোয়াড় থাকবে না। স্বাভাবিক ভাবেই পরিস্থিতি ক্রমশ এখন জটিল থেকে জটিলতর হয়ে উঠতে শুরু করেছে।

তৃণমূলের এই অভ্যন্তরীণ সমস্যা যদি মেটানো সম্ভব না হয়, তাহলে শাসকদলের পক্ষের প্রতিপক্ষের সঙ্গে লড়াই করা সত্যিই বড় চ্যালেঞ্জের ব্যাপার হয়ে দাঁড়াবে বলেই মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা। আদর্শ আচরণবিধি লাগু হওয়ার পর তৃণমূলের অনেক হেভিওয়েট বিজেপিতে যোগদান করবেন বলে জল্পনা তৈরি হয়েছে। স্বাভাবিক ভাবেই নির্বাচনের আগে তৃণমূল কংগ্রেস এখন নিজেদের ভালোর জন্য দলের প্রকৃত সমস্যাকে সমাধান করতে কতটা তৎপরতা অবলম্বন করে এবং তার ফলে সেই সমস্যা কতটা মেটে, সেদিকেই নজর থাকবে সকলের।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!