এখন পড়ছেন
হোম > রাজনীতি > তৃণমূল > তৃণমূলের গোষ্ঠীদ্বন্দ্বে উত্তপ্ত বাসন্তী! যুবনেতার গুলিতে প্রাণ গেল দলেরই প্রভাবশালী নেতার

তৃণমূলের গোষ্ঠীদ্বন্দ্বে উত্তপ্ত বাসন্তী! যুবনেতার গুলিতে প্রাণ গেল দলেরই প্রভাবশালী নেতার


রাজ্যে যখন একদিকে করোনা মহামারীর আতঙ্ক চরমে, অন্যদিকে সম্প্রতি হয়ে যাওয়া ঘূর্ণিঝড়ের কারণেও পরিস্থিতি এই মুহূর্তে বেজায় জটিল, ঠিক সেই মুহূর্তেই বিভিন্ন জায়গা থেকে শাসকদলের গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব বা রাজনৈতিক হানাহানির খবর যেভাবে উঠে আসছে তা রীতিমত চিন্তা বাড়িয়ে চলেছে রাজ্যের বর্তমান প্রশাসনের। বিশেষ করে সম্প্রতি যেভাবে এ রাজ্যের শাসক দলের গোষ্ঠীদ্বন্দ্বের ঘটনা উঠে এসেছে সংবাদ শিরোনামে, তা সামলাতে রীতিমতো নাস্তানাবুদ হতে হচ্ছে পুলিশ প্রশাসনকে।

আবারও ঠিক এরকমই নতুন একটি গোষ্ঠী সংঘর্ষের খোঁজ পাওয়া গেছে দক্ষিণ 24 পরগনা বাসন্তীতে। যদিও দক্ষিণ 24 পরগনা শাসকদলের গোষ্ঠীদ্বন্দ্বের কারণে যথেষ্ট পরিচিত রাজনীতিক মহলে। আর এদিন আবারও দক্ষিণ 24 পরগনার বাসন্তী ফুল মালঞ্চ এলাকা তৃণমূলের যুব এবং মূল সংগঠনের দ্বন্দ্বে উত্তপ্ত হয়ে উঠল। ভোর রাতে চলে চরম বোমাবাজি এবং গোলাগুলি। এই ঘটনায় আহত হয়েছেন 12 জন। তৃণমূলের মূল সংগঠনের অভিযোগ, যুব তৃনমূলের পক্ষ থেকেই এই ঘটনার সূত্রপাত হয়েছে।

স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, বুধবার ভোর চারটে নাগাদ বাসন্তী ফুল মালঞ্চ এলাকায় আচমকাই যুব তৃণমূল সদস্যদের সঙ্গে বিবাদে জড়িয়ে পড়ে স্থানীয় তৃণমূল কর্মী সদস্যরা এবং বাকবিতণ্ডা চরমে ওঠে। তারপরেই গোলাগুলির ঘটনা ঘটে বলে জানা গেছে। তবে অভিযোগ উঠছে, যুব তৃনমূলের সদস্যদের বিরুদ্ধেই। অনেকেই দাবি করছেন, যুব তৃণমূলের পক্ষ থেকেই গোলাগুলি এবং বোমাবাজি চালানো হয়। এই ঘটনায় এলাকার পঞ্চাশোর্ধ নবীর আলী মোল্লার মৃত্যু হয়েছে বলে জানা গিয়েছে।

তিনি ভোরবেলা বেরিয়ে মসজিদে নামাজ পড়তে যাচ্ছিলেন, সেসময় তাঁর গায়ে গুলি লাগে। এই ঘটনায় দুই পক্ষের আরও 12 জন আহত হয়েছেন বলে খবর। আহতদের প্রত্যেককেই স্থানীয় হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে বলে জানা গেছে। অন্যদিকে এই ঘটনার কথা ছড়িয়ে পড়ার সাথে সাথেই ব্যাপক আতঙ্ক ছড়ায় ফুলমালঞ্চ এলাকায়। তবে বাসন্তীতে এহেন শাসকদলের গোষ্ঠীদ্বন্দ্বের ঘটনা নতুন নয়, এর আগেও বহুবার এরকম ঘটনা দেখা গেছে।

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

সূত্রের খবর, মুখ্যমন্ত্রী তথা দলনেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বহুবার দক্ষিণ 24 পরগনার তৃণমূল সংগঠনকে হুঁশিয়ার করেছেন গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব বন্ধ করার জন্য, কিন্তু তার কথা যে কোন পক্ষ কানে তোলেনি, এ দিনের ঘটনা তা আবার প্রমাণ করলো। তবে স্থানীয় তৃণমূল নেতৃত্বের পক্ষ থেকে এই গোষ্ঠীদ্বন্দ্বের ঘটনার কথা স্বীকার করা হয়েছে বলে জানা গেছে। অন্যদিকে তৃণমূলের প্রাক্তন নেতাদের মতে, এলাকা দখল নিয়েই এই গোষ্ঠীসংঘর্ষ চরম আকার ধারণ করেছে।

অন্যদিকে এলাকা শান্ত করতে ময়দানে নেমেছে বাসন্তী থানার বিরাট পুলিশ বাহিনী। যদিও এখনো পর্যন্ত এই ঘটনায় কেউ গ্রেফতার হয়নি। পুলিশের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, তদন্ত চলছে। অন্যদিকে এই ঘটনায় বিশেষজ্ঞদের মতে, যেভাবে রাজ্যের বিরোধী দল বিজেপি সহ অন্যান্য রাজনোইতিক দলগুলি আগামী দিনের রাজনৈতিক যুদ্ধের কথা মাথায় রেখে নিজেদের সংগঠনকে আরো শক্তিশালী করে চলছে ক্রমশ, সেখানে রাজ্যের শাসক দলের ক্রমাগত গোষ্ঠীসংঘর্ষের ঘটনা সামনে আসায় তা রাজ্যের শাসক দল তৃণমূলকে যথেষ্ট কোণঠাসা করছে বলে মনে করা হচ্ছে।

অন্যদিকে এই ঘটনায় রাজনৈতিক মহলেও চরম জল্পনা শুরু হয়েছে। রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞদের একাংশের মত, তাহলে কি বর্তমানে তৃণমূল নেত্রীর নেতৃত্ত্বের ওপর ভরসা করতে পারছেননা তাঁর দলেরই কর্মীরা! তাই কি তাঁর কথাকে নস্যাৎ করে এহেন গোষ্ঠী সংঘর্ষের ঘটনা বারবার ঘটছে? এই প্রশ্ন কিন্তু খুব স্বাভাবিক ভাবেই বড় হয়ে উঠছে তৃণমূলের অন্দরে। রাজনৈতিক মহলের অনেকেরই মত, অবস্থা যদি এখনও আয়ত্তে না আসে তাহলে ভবিষ্যতে চরম বিপর্যয় নেমে আসবে শাসক দলে।

আপনার মতামত জানান -

ট্যাগড
Top
error: Content is protected !!