এখন পড়ছেন
হোম > রাজ্য > কলকাতা > বাংলার নিভৃতবাস থেকে পালালো ভিন রাজ্য থেকে আসা 150 শ্রমিক! ঘুম উড়তে চলেছে প্রশাসনের!

বাংলার নিভৃতবাস থেকে পালালো ভিন রাজ্য থেকে আসা 150 শ্রমিক! ঘুম উড়তে চলেছে প্রশাসনের!


করোনা পরিস্থিতি এমনিতেই আতঙ্ক বাড়িয়ে দিয়েছে সকলের। আর এবার ভিন রাজ্য থেকে আসা শ্রমিকদের কোয়ারেন্টাইন সেন্টারে রাখা নিয়ে চরম উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ল মালদহ জেলায়। জানা গেছে, মালদহের গাজোল ব্লকের আলাল গ্রাম পঞ্চায়েত এলাকায় কোয়ারেন্টাইন সেন্টারে শ্রমিকদের রাখা নিয়ে তীব্র উত্তেজনা ছড়ায়। আর এর পরেই দেড়শ জনের বেশি শ্রমিক সেই কোয়ারেন্টাইন সেন্টার ভেঙে পালিয়ে যান বলে অভিযোগ। আর এতেই তীব্র চাঞ্চল্য ছড়িয়ে পড়ে।

প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, এই আলাল হাইস্কুলের কোয়ারেন্টাইন সেন্টারে আগে থেকেই প্রায় 180 জন শ্রমিক ছিলেন। তবে সম্প্রতি আরও বেশকিছু শ্রমিক সেখানে রাখার উদ্যোগ নিতেই তৈরি হয় অশান্তি। আগে থেকে সেই সেন্টারে থাকা শ্রমিকরা এর ফলে তীব্র আপত্তি জানাতে শুরু করেন। আর তারপরেই উত্তেজনা চরমে পৌঁছয়। মঙ্গলবার গভীররাতে শ্রমিকরা কোয়ারেন্টাইন সেন্টার ভেঙে পালিয়ে আসেন।

জানা গেছে, এই সমস্ত শ্রমিকের এখনও পর্যন্ত কোনো টেস্ট করা হয়নি। পরে তারা সেই কোয়ারেন্টাইন সেন্টার ভেঙে চলে আসায় এখন রীতিমত আতঙ্ক তৈরি হয়েছে এলাকাবাসীর মধ্যে। কেন তারা এভাবে পালিয়ে গেলেন? এদিন এই প্রসঙ্গে নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক শ্রমিক বলেন, “স্কুলের কোয়ারেন্টাইন সেন্টারে 180 জনকে রাখা হয়েছিল। এমনিতেই সেখানে থাকার মত পরিস্থিতি নেই। তার ওপরে আরও শ্রমিক এলে বাকিদের সমস্যা হত। যে কারণে বিরোধিতা করা হয়েছে।”

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

অন্যদিকে এই ব্যাপারে মালঞ্চ গ্রামের আরেক শ্রমিক বলেন, “সরকার তো ইনস্টিটিউশনাল কোয়ারেন্টাইন তুলে দিয়েছে। তাহলে আমাদের পাঁচ দিন ধরে আটকে রাখা হল কেন! তাই আমরা সেখান থেকে বেরিয়ে এসে হোম কোয়ারেন্টাইনে রয়েছি।” তবে যেখানে করোনা পরিস্থিতিতে সকলকে মূলত শ্রমিকদের কোয়ারেন্টাইনে থাকার কথা বলা হচ্ছে, সেখানে কিছু শ্রমিককে সেন্টারে রাখার উদ্যোগ নিতেই বাকি শ্রমিকরা যেভাবে তা ভেঙে বাইরে বেরিয়ে গেলেন, তা নিয়ে চিন্তা বাড়ছে এলাকাবাসী থেকে প্রশাসনের অন্দরে। কেন প্রশাসন এই ব্যাপারে বাড়তি পদক্ষেপ নিল না!

এদিন এই প্রসঙ্গে স্থানীয় বিডিওকে ফোন করা হলেও যোগাযোগ করা সম্ভব হয়নি। তবে এই ব্যাপারে স্থানীয় গ্রাম পঞ্চায়েতের উপপ্রধান ফারুক হোসেন বলেন, “কোয়ারেন্টাইন সেন্টারে শ্রমিকদের রাখতে গেলে পুরনো কিছু শ্রমিক তাতে আপত্তি তোলেন। পরে তাদের মধ্যে বেশিরভাগই বাড়ি চলে গিয়েছেন। রাতে এনিয়ে কথাবার্তা হয়। ভাংচুরের ঘটনা ঘটেনি। এলাকায় মাইকিং করা হয়েছে।” তবে যে যাই বলুক না কেন, কোয়ারেন্টাইন সেন্টার ভেঙে শ্রমিকদের এভাবে বাইরে বেরিয়ে আসায় এখন রীতিমতো আতঙ্ক তৈরি হয়েছে এলাকাজুড়ে।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!