প্রিয়বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট- বহু চেষ্টা করেও বাংলার ক্ষমতা দখল করা সম্ভব হয়নি। কিন্তু পশ্চিমবঙ্গে বিরোধী দলের জায়গা অর্জন করেছে ভারতীয় জনতা পার্টি। তবে পশ্চিমবঙ্গে বিজেপির প্রভাব বৃদ্ধি পেয়েছে গত 2019 এর লোকসভা নির্বাচনের সময় থেকে। 42 টি লোকসভা কেন্দ্রের মধ্যে বাংলা থেকে 18 টি আসন দখল করে নিজেদের শক্তি বৃদ্ধি করেছিল গেরুয়া শিবির। আর তারপর থেকেই রীতিমতো বিজেপির প্রভাব বাংলায় বাড়তে শুরু করে।

তবে বর্তমান পরিস্থিতিতে বিজেপির একের পর এক বাংলার সাংসদরা এমন কিছু বিতর্কিত মন্তব্য করতে শুরু করেছেন, যা গেরুয়া শিবিরের অস্বস্তি বাড়িয়ে দিচ্ছে। আর এই পরিস্থিতিতে এবার সেই সমস্ত সাংসদদের প্রশিক্ষিত করতে বৈঠকের আয়োজন করেছে আরএসএস। মূলত, বাংলার বিজেপি সাংসদরা যাতে এমন কিছু কথা না বলেন, যার জেরে বিতর্ক তৈরি হয়, তার জন্যই আরএসএসের পক্ষ থেকে এই প্রশিক্ষণ শিবির বলে মনে করা হচ্ছে।

সূত্রের খবর, মঙ্গলবার আরএসএসের পক্ষ থেকে একটি ক্লাস নেওয়ার কথা জানিয়ে দেওয়া হয়। যেখানে বাংলার সমস্ত বিজেপি সাংসদদের উপস্থিত থাকার কথা বলা হয়েছে। বিশেষজ্ঞদের একাংশ বলছেন, বিজেপি এবং আরএসএস একই মুদ্রার এপিঠ আর ওপিঠ। সেদিক থেকে আরএসএসের অনেক হেভিওয়েট মুখ বর্তমানে বিজেপি সাংসদ এবং জনপ্রতিনিধি। তাই আরএসএসের পক্ষ থেকে বিজেপি সাংসদদের এই প্রশিক্ষণ শিবির থেকে সতর্ক করে দেওয়া হতে পারে। একের পর এক বিজেপি সাংসদ যেভাবে বিতর্কিত মন্তব্য করছেন, তাতে গেরুয়া শিবির যথেষ্ট অস্বস্তিতে পড়ে গিয়েছে। তাই বাংলার বিজেপি সাংসদদের ডেকে তাদেরকে সতর্ক করে দিতে পারে আরএসএস নেতৃত্ব।

পর্যবেক্ষকদের মতে, বাংলায় বর্তমানে বিজেপি বিরোধী দলের জায়গা দখল করেছে। সামনেই 2024 এর লোকসভা নির্বাচন। সেদিক থেকে পশ্চিমবঙ্গের শাসক দল তৃণমূল কংগ্রেস বিজেপিকে চাপে রাখতে একাধিক বিজেপি বিরোধী রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে আলোচনা করে বিরোধী মহাজোট গঠনের চেষ্টা করছে। তাই এই পরিস্থিতিতে বাংলার বিজেপি সাংসদদের যে আরও বেশি করে গঠনমূলক কাজে অংশগ্রহণ করতে হবে এবং বিতর্কিত কাজকর্ম থেকে দূরে থাকতে হবে, তা বলাই যায়। আর সেই কথা তুলে ধরেই আরএসএস নিজেদের প্রশিক্ষণ শিবির থেকে বাংলার বিজেপি সাংসদদের নতুন বার্তা দিতে পারে। যা রাজনৈতিকভাবে অত্যন্ত তাৎপর্যপূর্ণ বলেই মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা। সব মিলিয়ে বাংলার বিজেপি সাংসদদের নিয়ে আরএসএসের এই গুরুত্বপূর্ণ ক্লাস থেকে কি উঠে আসে, সেদিকেই নজর থাকবে সকলের