এখন পড়ছেন
হোম > রাজ্য > কলকাতা > শাসকদলের “অত্যাচার” বাড়লেও অজ্ঞাত কারণে চুপ মোদী-শাহ! প্রশ্ন ওঠার পাশাপাশি বঙ্গ বিজেপিতে বাড়ছে ক্ষোভ !

শাসকদলের “অত্যাচার” বাড়লেও অজ্ঞাত কারণে চুপ মোদী-শাহ! প্রশ্ন ওঠার পাশাপাশি বঙ্গ বিজেপিতে বাড়ছে ক্ষোভ !


আগামী 2021 এ বাংলার বিধানসভা নির্বাচন। গত লোকসভা নির্বাচনে ভালো ফলাফল করার পরেই দ্বিতীয় শক্তি হিসেবে উঠে আসে। যার পরেই বিভিন্ন ইস্যুতে তৃণমূলের বিরুদ্ধে চাপ বাড়াতে শুরু করে গেরুয়া শিবির। তবে বিজেপি যেহেতু শৃঙ্খলাপরায়ন দল, তাই শীর্ষ নেতৃত্বের পক্ষ থেকে তারা তৃণমূল বিরোধিতায় বড়সড় সাহায্য পাবে বলে আশা করা হয়েছে। এমনকি রাজ্য বিজেপির পাশে দাঁড়িয়ে তৃণমূলের বিরুদ্ধে সরব হতে দেখা গিয়েছিল প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী থেকে শুরু করে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহকে।

যা বিজেপিকে কিছুটা হলেও আশার আলো দেখিয়েছিলে। তবে করোণা পরিস্থিতি থেকে শুরু করে বাংলায় বিজেপি নেতা কর্মীদের উপর আক্রমণ, বিভিন্ন ইস্যুতে বাংলার বিজেপি নেতা কর্মীরা তৃণমূলের বিরুদ্ধে সরব হলেও, কেন শীর্ষ বিজেপি নেতৃত্বরা এই ব্যাপারে বাংলাকে সাহায্য করছে না, তা নিয়ে প্রশ্ন উঠতে শুরু করল বিজেপির অন্দরে। জানা গেছে, বর্তমানে রাজ্যের বিভিন্ন এলাকা গোষ্ঠী সংঘর্ষে উত্তপ্ত রয়েছে। তৃণমূলের বিরুদ্ধে আইনশৃঙ্খলা অবনতির অভিযোগ তুলে সরব হচ্ছে ভারতীয় জনতা পার্টি।

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

এমতাবস্থায় কেন্দ্রের ক্ষমতায় থাকা দলের শীর্ষ নেতৃত্বদের রাজ্যের উপর চাপ বাড়ানোর জন্য বাংলার বিজেপি নেতৃত্বরা আর্জি জানাতে শুরু করেন। কিন্তু সেভাবে বাংলায় বিজেপি নেতাদের তৃণমূল বিরোধিতায় কেন্দ্রের পক্ষ থেকে কোনো আশাব্যঞ্জক পদক্ষেপ না নেওয়ায় তৈরি হয়েছে বিভ্রান্তি। কেন্দ্রীয় নেতৃত্ব যদি এভাবে বাংলার নেতৃত্বকেও সহযোগিতা করতে শুরু, তাহলে কিভাবে তৃণমূলের বিরুদ্ধে লড়াই করা সম্ভব হবে, তা নিয়ে প্রশ্ন তুলতে শুরু করেছেন বঙ্গ বিজেপির একাংশ।

জানা গেছে, প্রতিদিন বিজেপির জনপ্রতিনিধিদের বিরুদ্ধে মামলা করা সহ বিজেপি নেতাদের হেনস্থা করার অভিযোগ উঠেছে প্রশাসন ও তৃণমূলের বিরুদ্ধে। যা নিয়ে বাংলার বিজেপি নেতৃত্ব সোচ্চার হলেও, দিল্লির কাছে পরামর্শ চেয়েছেন তারা। কিন্তু সেভাবে বাংলার নেতাদের পরামর্শ দিচ্ছে না বিজেপির কেন্দ্রীয় নেতৃত্ব। আর তাতেই ক্ষোভ বাড়ছে রাজ্য বিজেপির। এদিন এই প্রসঙ্গে বিজেপির এক শীর্ষ নেতা বলেন, “বিজেপি কর্মকর্তাদের ওপর এই অত্যাচারের কথা দিল্লির নেতারা জানেন। কিন্তু কোনো এক অজ্ঞাত কারণে মোদি শাহরা নীরব আছেন। সবাই ঘরে আটকে রয়েছে। তাই সাধারণ কর্মীদের পাশে দাঁড়ানোর সুযোগ নেই। স্বভাবতই নিচুতলার কর্মীদের মনোবল ভাঙতে আসন্ন ভোট বাজারে এটা মোটেও কাম্য নয়।

রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীকে চিঠি দিয়েছেন। রোজকার প্রতিবন্ধকতার কথা জানানো হলেও, কোনো প্রতিকার পাওয়া যায়নি। আমরা আশা করেছিলাম অমিত শাহ স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী হওয়ায় সুবিচার পাব। কিন্তু গত আড়াই মাসের অভিজ্ঞতা অত্যন্ত তিক্ত। তাই দিল্লির মুখাপেক্ষী না হয়ে কিন্তু নিজেদের রাজনৈতিক লড়াই চালিয়ে যাওয়ার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।”

রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞরা বলছেন, শীর্ষ নেতৃত্বদের সায় যদি রাজ্য বিজেপি সেভাবে না পায়, তবে তাদের কিছুটা সমস্যার মুখোমুখি হতে পারে। কেননা তৃনমূলের বিরুদ্ধে লড়াইয়ে যদি রাজ্য বিজেপি নেতৃত্ব শীর্ষ নেতৃত্বের অনুমতি এবং কৌশল প্রয়োগ করতে না পারে, তাহলে তাদের একা পথ চলতে গিয়ে আরও নানা সমস্যার সম্মুখীন হওয়ার নিদর্শন সামনে আসতে পারে। যা বিজেপির বাংলা দখলের স্বপ্নকে অধরাই রেখে দেবে বলে মত রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞদের। এখন রাজ্য বিজেপি নিজেদের মত করেই তৃণমূল বিরোধিতা করে, নাকি কেন্দ্রীয় শীর্ষ নেতৃত্বের দ্বারস্থ হয়, তার দিকেই নজর থাকবে সকলের।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!