এখন পড়ছেন
হোম > জাতীয় > কংগ্রেস শাসিত রাজ্যেই প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী রাজীব গান্ধীর মূর্তি ভেঙে দেওয়া হল! তীব্র শোরগোল জাতীয় রাজনীতিতে

কংগ্রেস শাসিত রাজ্যেই প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী রাজীব গান্ধীর মূর্তি ভেঙে দেওয়া হল! তীব্র শোরগোল জাতীয় রাজনীতিতে


ত্রিপুরায় বাম দুর্গ পতনের পরই সেখানে লেলিনের মূর্তি ভেঙ্গে দেওয়ার অভিযোগ উঠেছিল বিজেপির বিরুদ্ধে। যা নিয়ে তোলপাড় হয়ে উঠেছিল জাতীয় রাজনীতি। দলীয় নেতাদের মূর্তি ভাঙার এই অপসংস্কৃতির রেওয়াজ যে ভারতীয় সংস্কৃতির সঙ্গে যায় না তা বলে বিভিন্ন মহল থেকে এর তীব্র প্রতিবাদও জানানো হয়েছিল। কিন্তু তারপরও বাংলায় শ্যামাপ্রসাদের মূর্তি সহ একাধিক মনীষীদের মূর্তিতে কালি লাগিয়ে দেওয়ার ঘটনায় তীব্র বিতর্ক দানা বাঁধে।

একে অপরের বিরুদ্ধে অভিযোগ জানাতে শুরু করে বিভিন্ন রাজনৈতিক দল। কলঙ্কিত হতে শুরু করে ভারতের স্থাপত্য, সংস্কৃতি। কিন্তু এরপর দীর্ঘ সময় কেটে গেছে – মাঝে এই রকম আর কোনও অপ্রীতিকর ঘটনার সাক্ষী হয়নি এই ভারতভূমি। কিন্তু এবারে ভারতের প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী রাজীব গান্ধীর মূর্তিকে ভেঙে দেওয়ার ঘটনায় প্রবল শোরগোল তৈরি হল পাঞ্জাবে। সূত্রের খবর, মঙ্গলবার পাঞ্জাবের লুধিয়ানায় অবস্থিত এই রাজীব গান্ধীর মূর্তিতে প্রথমে কালি লাগিয়ে তারপর মূর্তির বেশ কিছু অংশ ভেঙে দেওয়া হয়।

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

আর এরই প্রতিবাদে এখন সরগরম হয়ে উঠেছে সেখানকার রাজনীতি। প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী রাজীব গান্ধীর মূর্তি ভাঙার ঘটনায় বিজেপির জোটসঙ্গী শিরোমণি অকালি দলের বিরুদ্ধে অভিযোগ জানিয়েছেন পঞ্জাবের মুখ্যমন্ত্রী অমরিন্দর সিং। এদিন টুইটে শিরোমনি অকালি দলের সুখবীর সিং বাদলকে উদ্দেশ্য করে তিনি লেখেন, “এই মূর্তি ভাঙ্গার ঘটনার পেছনে রয়েছে শিরোমণি অকালি দল। অবিলম্বে দোষীদের গ্রেফতারের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। যারা এই কাজ করেছে তাদের অবিলম্বে ক্ষমা চাওয়া উচিত। আমি এই গোটা ঘটনার তীব্র নিন্দা করছি”।

এদিকে পাঞ্জাবের মুখ্যমন্ত্রী অমরিন্দর সিং এই ঘটনায় সুখবীর সিং বাদলকে টুইটারে ট্যাগ করলে পাল্টা মুখ খুলেছেন সুখবীর সিং বাদলও। পাঞ্জাবের মুখ্যমন্ত্রীকে উদ্দেশ্য করে তিনি বলেন, “উনি যদি সত্যি কারের শিখ হন তাহলে গান্ধী পরিবারের সমালোচনা করতেন, ৮৪-র শিখ নিধনের ঘটনায় অভিযুক্ত সজ্জনকুমার ও কমলনাথকে দল থেকে বিতাড়িত করতেন। কিন্তু উনি এসবের কিছুই করেননি”। রাজনৈতিক মহলের মতে, আসন্ন লোকসভা নির্বাচনের আগে এই মূর্তি ভাঙার রেওয়াজ শুরু হওয়াতে ভারতবর্ষজুড়ে ফের জাতীয় রাজনীতিতে একটা অশনি সংকেতের মেঘ সৃষ্টি হতে চলেছে। তবে এই মেঘ কাটিয়ে শেষ পর্যন্ত কোন রাজনৈতিক দল বাজিমাত করতে পারে এখন সেদিকেই তাকিয়ে সকলে।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!