বিজেপিকে চাঙ্গা করতে এবার আসরে বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী, কতটা কাজ করবে শুভেন্দুর ভোকাল টনিক? বিজেপি রাজনীতি রাজ্য July 19, 2021 প্রিয় বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট – এবার দলকে চাঙ্গা করতে আসরে বিরোধী দলনেতা। ব্যবহার করলেন ভোকাল টনিক। একুশের বিধানসভা নির্বাচনে ব্যাপক প্রচার চালিয়ে ছিল বিজেপি। কার্যত 200 আসনের লক্ষ্যমাত্রা রেখেছিল তাঁরা। একের পর এক পরিকল্পনা করে তৃণমূলকে কোণঠাসা করার চেষ্টা ছিল দেখার মতন। প্রধানমন্ত্রী, স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী থেকে কেন্দ্রের ছোট বড় নেতা থেকে শুরু করে রাজ্যের সব নেতা প্রচার চালিয়ে গেছেন নিয়মিত। এমনকি তৃণমূল গড়ে ব্যাপক ধ্বস নামতেও দেখা গিয়েছিল। কিন্তু ভোটের ফল প্রকাশের পর সম্পূর্ণ অন্য ছবি। যেখানে দুশোর ওপরের আসন নিয়ে তৃণমূল ব্যাপকভাবে জয়লাভ করলো, ঠিক সেখানে মাত্র 77 টি আসনেই থেমে যেতে হয়েছে গেরুয়া শিবিরকে। আর এই জয়ের পিছনে তৃণমূলের একা মমতা ব্যানার্জ্জী যে ছিলেন, তা অস্বীকার করার কোনো জায়গা নেই। অন্যদিকে ভোটের ফলাফল বেরোনোর পর থেকেই গেরুয়া শিবিরে লেগেছে অশান্তি। প্রায়দিনই ভাঙন কিংবা অন্তর্দ্বন্দ্বের খবর। সেই সব বন্ধ করতে এবার উঠে পড়ে লেগেছেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। জেলায় জেলায় তিনি সভা করে দলীয় কর্মীদের চাঙ্গা করার চেষ্টা চালাচ্ছেন। কখনো তাঁকে দেখা যাচ্ছে নন্দীগ্রামে, কখনো তিনি চন্ডীপুরে, আবার কখনো তাঁকে পাওয়া যাচ্ছে চুঁচুড়ায়। কার্যত গেরুয়া শিবির হেরে গেলেও তাঁদের সামনে এখনো লম্বা লড়াই শুরু হতে চলেছে। তাই নতুন উদ্যমে আবার লড়াই শুরু করার জন্য ভোকাল টনিক দিচ্ছেন বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে। আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে। আপনার মতামত জানান - এই মুহূর্তে রাজ্যে রাজ্য বিজেপি সভাপতি দিলীপ ঘোষ রাজ্যের বাইরে। আর ঠিক এই সময় দলের কার্যভার নিজের দায়িত্বে হাতে তুলে নিয়েছেন শুভেন্দু অধিকারী। 24 এর লোকসভা নির্বাচনের আগে সামনে আছে বেশ কয়েকটি হার্ডল। যার মধ্যে উপনির্বাচন এবং পুরভোট রয়েছে বাংলায়। তাই সেই লড়াইয়ের প্রস্তুতিতে দলের মধ্যে আর কোনরকম বিশৃঙ্খলা মানা হবেনা বলে তিনি জানিয়েছেন। সেক্ষেত্রে গোষ্ঠী কোন্দল বন্ধ করার বার্তা দিয়েছেন শুভেন্দু। পাশাপাশি তৃণমূলকে কোণঠাসা করতে একুশের নির্বাচনে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের হারকে মানুষের সামনে তুলে ধরার কথা বলেন তিনি। এমনকি বিধায়ক পদে জয়লাভ না করেও তৃণমূল নেত্রী যেভাবে মুখ্যমন্ত্রীর পদের অধিকারী হয়েছেন, তা নিয়ে ক্রমাগত আক্রমণ চালা্নোর কথা বলেন। মানুষের ক্ষোভের কথা শুনতে হবে, তবেই মানুষের কাছাকাছি পৌঁছানো সম্ভব বলে জানিয়েছেন শুভেন্দু। তাই এবার দেখার, শুভেন্দু অধিকারীর ভোকাল টনিক জেলাস্তরে নেতাদের ওপর কতটা কাজ করছে। একসময়ের ডাকসাইটে তৃণমূল নেতা দলবদল করে গেরুয়া শিবিরে এসে বিরোধী দলনেতা হয়েছেন। সেক্ষেত্রে তাঁকে নিয়ে গেরুয়া শিবিরের আদি নেতাদের মধ্যে যথেষ্ট ছুঁতমার্গ এখনও আছে, সেসব কাটিয়ে গেরুয়া জোট কতটা সঙ্ঘবদ্ধ হতে পারে সেটাই দেখার। আপনার মতামত জানান -