এখন পড়ছেন
হোম > রাজ্য > রাজ্যে শাসক দল বাঙালীকে বোকা বানাচ্ছে, আক্রমণাত্মক রাজ্য বিজেপি সভাপতি

রাজ্যে শাসক দল বাঙালীকে বোকা বানাচ্ছে, আক্রমণাত্মক রাজ্য বিজেপি সভাপতি


সংশোধিত নাগরিকত্ব আইন ও জাতীয় নাগরিকপঞ্জি নিয়ে ইতিমধ্যে দেশজুড়ে প্রতিবাদের ঝড় উঠেছে। পশ্চিমবঙ্গ সরকারও পিছিয়ে নেই। মোদি সরকারের বিরুদ্ধে কলকাতায় মহামিছিল হয়েছে। যেখানে দলীয় সমর্থকদের সঙ্গে পা মিলিয়ে রীতিমতো তুলোধোনা করছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় কেন্দ্রীয় নেতৃত্বকে। মোদি সরকারের নাগরিকত্ব আইনের প্রতিবাদের মিছিল কলকাতা পেরিয়ে সারা পশ্চিমবঙ্গে ছড়িয়ে পড়েছে। তবে এবার পশ্চিমবঙ্গের নাগরিকদের এনআরসি নিয়ে বোঝাতে বিজেপি বেশকিছু পদক্ষেপ গ্রহণ করেছে ইতিমধ্যেই। বিজেপির পক্ষ থেকে পশ্চিমবঙ্গের বিভিন্ন জেলায় এনআরসিকে  সাপোর্ট করে বিভিন্ন সভা এবং মিছিল হওয়া শুরু হয়েছে। এরকমই হাওড়া্র একটি সভা থেকে এদিন মন্তব্য রাখলেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ।

সারাদেশে যখন এনআরসি এবং সিএএ নিয়ে তুলকালাম চলছে, ঠিক সেসময় পশ্চিমবঙ্গের নবনির্বাচিত রাজ্য বিজেপি সভাপতি দিলীপ ঘোষ এ রাজ্যের বাংলাদেশ থেকে আসা সংখ্যালঘুদের রীতিমতো আশ্বাস দিয়ে বললেন যে তাঁদের সঠিক পরিচয় পত্র পেলে নাগরিকত্ব দিয়ে দেওয়া হবে। এদিন তিনি হাওড়ার জনসভা থেকে বলেন, যেসব নাগরিকরা বাংলাদেশ থেকে এসেছেন, তাঁদের নাগরিকত্বের জন্য আবেদন করতে হবে। এ প্রসঙ্গে দিলীপ ঘোষ পরিষ্কার করে বলে দেন, আধার কার্ড বা ভোটার কার্ড কোনোভাবেই নাগরিকত্বের প্রমাণ হতে পারে না। একমাত্র পাসপোর্ট থাকলেই সেটি প্রমাণ হিসেবে গণ্য হবে।

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

এদিন হাওড়ায় অভিনন্দন যাত্রার আয়োজন করা হয়। সেই পদযাত্রায় বেরিয়ে দিলীপ ঘোষ সরাসরি রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে কড়া ভাষায় আক্রমণ করেন। তিনি বলেন, মুখ্যমন্ত্রী এখানে কাউকে ফর্ম ফিলাপ করতে দিচ্ছেননা। কিন্তু যদি ফর্ম ফিলাপ করা না হয়, তাহলে কোন ভাবেই নাগরিকত্ব পাওয়া যাবে না এদেশে থাকার জন্য। দিলীপ ঘোষের এদিন প্রধানমন্ত্রী মোদির বক্তব্যকেই আরেকবার মনে করিয়ে দিলেন। দিলীপ ঘোষ বলেন, কেন্দ্রীয় নেতৃত্বের তরফ থেকে ফর্ম ফিলাপ করার জন্য তিন চার মাস সময় পাওয়া যাবে, তার মধ্যে আবেদন করতে হবে এবং এর জন্য কোন নথিপত্র লাগবে না। শুধুমাত্র জানাতে হবে কবে ভারতে আসা হয়েছে এবং তার সাথে বাবার নাম।

অন্যদিকে, দিলীপ ঘোষ এদিন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে আক্রমণ করতে গিয়ে আবারও একটি বিতর্কিত মন্তব্য করেন। এদিন তিনি বলেন, নাগরিকত্ব অর্জন করার জন্য যে ফর্ম ফিলআপ করতে হবে, সেখানে সঠিক তারিখ জানাতে হবে ভারতে আসার। 2014 সালের 31 ডিসেম্বর পর্যন্ত যাঁরা এদেশে এসেছেন, তাঁদের প্রত্যেককেই নাগরিকত্ব দেওয়া হবে এবং তার জন্য বাবা-মায়ের কোন জন্মতারিখ লাগবেনা। কিন্তু তারপরেই তিনি সেই বিতর্কিত মন্তব্য করেন। তিনি বলেন, ‘যাঁদের মা- বাপের ঠিক নেই, তাঁদেরই চিন্তা। তাঁরাই লোককে ভুল বোঝাচ্ছে।’

সারা দেশজুড়ে নাগরিকত্ব ইস্যুতে তীব্রভাবে লড়াই চলছে। হিন্দু-মুসলমান নির্বিশেষে প্রত্যেকে নাগরিকত্ব আইন এর প্রতিবাদ করে চলেছে। দেশের জনসাধারণের মধ্যে ইতিমধ্যে সংশোধনী নাগরিকত্ব আইন নিয়ে ধোঁয়াশা তৈরি হয়েছে। এইরকম বিভ্রান্তি ছড়ালেও তা এখনো কোনো সমাধানের রাস্তা দেখেনি বরং পরস্পরবিরোধী তথ্য উঠে জটিলতা আরও কয়েকগুণ বাড়িয়ে দিচ্ছে। রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞদের মতে, এনআরসি নিয়ে যেভাবে সারাদেশে বিক্ষোভের আগুন জ্বলে উঠেছে, তাতে দেশের কেন্দ্রীয় নেতৃত্ব স্বাভাবিকভাবেই একটু কোণঠাসা। আপাতত এনআরসি নিয়ে রাজনৈতিক পরিস্থিতি কোন দিকে মোড় নিতে চলেছে, সেদিকেই নজর রাখছে রাজনৈতিক পর্যবেক্ষকরা।

 

যারা গল্প পড়তে ভালোবাসেন। তাদের জন্য প্রিয়বন্ধুর –  ‘গল্পে -আড্ডায়”

 

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!