এখন পড়ছেন
হোম > রাজ্য > কলকাতা > ফের মুকুল -শোভন তৃণমূলে, জোর বিতর্ক রাজ্যে!

ফের মুকুল -শোভন তৃণমূলে, জোর বিতর্ক রাজ্যে!


রাজ্য রাজনীতিতে এবার জোর বিতর্ক শুরু রাজ্য সরকারের স্কুলগুলির সিলেবাস নিয়ে। সম্প্রতি দেখা যায়, রাজ্য সরকারের সিলেবাসে বিজেপি নেতাদের নাম রয়েছে। ঘটনাটি সামনে আসতে রাজনৈতিক মহলে জোর চাঞ্চল্য শুরু হয়েছে। এমনিতেই দুই যুযুধান রাজনৈতিক শিবির তৃণমূল ও বিজেপি। এই অবস্থায় যখন শাসকদলের অন্তর্গত শিক্ষা ব্যবস্থায় বিরোধীদলের নেতাদের নাম ওঠে তখন স্বাভাবিকভাবেই তা নিয়ে চাঞ্চল্য শুরু হবে বৈকি। তবে এই খবর রাজ্য বিজেপি শিবিরে যাওয়ার সাথে সাথে বিজেপি দলের অন্দরেও শুরু হয়েছে গুঞ্জন।

রাজ্য সরকারের স্কুল পাঠ্যে দেখা যাচ্ছে মুকুল রায় এবং শোভন চট্টোপাধ্যায়ের নাম আর তা তৃণমূল নেতা হিসাবেই।খুব স্বাভাবিকভাবেই রাজ্যের শিক্ষামহলে শুরু হয়েছে চাঞ্চল্য।  ইতিমধ্যে শিক্ষা দফতরের কর্তারা পড়েছেন বেকায়দায়। যদিও যাদের নাম রয়েছে স্কুলপাঠ্যে, তাঁরা অতীতের তৃণমূলের উল্লেখযোগ্য নেতা হিসেবে একসময় বিখ্যাত ছিলেন। কিন্তু বর্তমানে তাঁরা বিজেপি শিবিরে যোগদান করেছেন। আপাতত এই ভুল শোধরানোর ব্যাপারে তড়িঘড়ি ভাবনাচিন্তা করা শুরু হয়েছে স্কুল শিক্ষা দপ্তর থেকে।

সূত্রের খবর, রাজ্যের অষ্টম শ্রেণীর ইতিহাস বইতে বেশ কয়েকজন তৃণমূল নেতার নাম আছে। কিন্তু মুশকিল হয়েছে তৃণমূলের নেতা-নেত্রীদের সঙ্গে জুড়ে গেছেন বিজেপি দুই নেতার নাম। শিক্ষাদপ্তর যতই বলুক অতীতের দুই তৃণমূল নেতা হিসেবে মুকুল রায় এবং শোভন চট্টোপাধ্যায়ের নাম রয়েছে সিলেবাসে, কিন্তু একথা কিছুতেই এড়িয়ে যাওয়া যায় না যে দু বছরের বেশি আগে তৃণমূল ছেড়েছেন মুকুল এবং নতুন সিলেবাস হওয়ার আগেই শোভন চট্টোপাধ্যায়ও তৃণমূল শিবির ছেড়ে এসে যোগ দিয়েছেন বিজেপি শিবিরে। তা সত্বেও এ বছরের সংশোধিত বইতে এই দুই বিজেপি নেতার নাম রয়ে গেছে। শিক্ষা দপ্তর থেকে এই ভুলটিকে অনিচ্ছাকৃত চোখে দেখার ভুল হিসাবে বর্ণনা করা হয়েছে। অন্যদিকে, শিক্ষা আধিকারিকদের একটি অংশ আবার এই দুই নেতার নাম বাদ দেওয়া ঠিক মেনে নিতে পারছেন না।

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

উল্লেখ্য, সরকারি স্কুলের ইতিহাস বইটির একটি অধ্যায় রাখা হয়েছে সিঙ্গুর আন্দোলন নিয়ে। আর এই অংশে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় সহ তৎকালীন তৃণমূল নেতাদের নাম এসেছে। অন্যদিকে বিরোধী দলের দাবি, রাজনৈতিক কর্মসূচি কি করে পাঠ্য হিসাবে ছোট ছোট ছেলেমেয়েদের পড়ানো হতে পারে? আবার, রাজনৈতিক মহলের একাংশের মতে রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীর নাম পাঠ্য হিসেবে থাকলেও তৃণমূলের অন্যান্য নেতাদের নাম কিভাবে পাঠ্যবইতে জুড়ে যায়?

ইতিমধ্যে 2020-21 এর শিক্ষাবর্ষের বইগুলি প্রতিটি স্কুলে পৌঁছে গেছে এবং সেগুলি সংশোধিত রূপেই পৌঁছেছে। এবার সমস্যা যেটি হচ্ছে, সেটি হলো যখনই এই সিলেবাসটি স্কুলে স্কুলে পড়ানো হবে তখন অবধারিতভাবে প্রশ্ন উঠে আসবে মুকুল – শোভনকে নিয়ে, যা শিক্ষক-শিক্ষিকারা কোনোভাবেই এড়িয়ে যেতে পারবেন না। সে ক্ষেত্রে দুই বিজেপি নেতার কার্যকলাপ তাঁদেরকে বর্ণনা করতে হবে। অন্যদিকে, স্কুল পাঠ্য বইতে তৃণমূল দলের নেতা-নেত্রীদের নাম থাকা নিয়ে ইতিহাস শিক্ষক সোমনাথ সামন্ত জানিয়েছেন, ‘কিশোর-কিশোরীদের দলে টানতেই তৃণমূল নেতা-মন্ত্রীদের কথা স্কুলে পড়ানো হচ্ছে। তবে সাবালক হওয়ার পর তারা কতটা ওই নেতা-মন্ত্রীদের শ্রদ্ধা করবে তা নিয়ে সন্দেহ আছে।’

অন্যদিকে, এই খবর মুকুল রায়ের কানে যাওয়ার পর খুব স্বাভাবিকভাবেই তিনি অত্যন্ত অবাক হয়েছেন। তবে এ প্রসঙ্গে তিনি প্রকাশ্যে কোনো মন্তব্য এখনো পর্যন্ত করেননি। তবে মুকুল ঘনিষ্ঠ শিবিরের মন্তব্য, স্কুলে পাঠ্যবইয়ের জায়গায় কখনই রাজনৈতিক কোন বিষয় রাখা উচিত নয়। অন্যদিকে এ প্রসঙ্গে কথা বলার জন্য শোভন চট্টোপাধ্যায়ের সাথে যোগাযোগ করা যায়নি । আবার, শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়ও এ ব্যাপারে কোনো সদুত্তর দেননি এখনো অব্দি।

সম্প্রতি পশ্চিমবঙ্গের ধুন্ধুমার কাণ্ড শুরু হয়েছে নাগরিকত্ব ইস্যুকে কেন্দ্র করে, যে ঘটনাকে কেন্দ্র করে শাসক শিবির ও বিরোধী দল বিজেপির মধ্যে তুমুল বাদানুবাদ চলছে। এই মুহূর্তে দাঁড়িয়ে পাঠ্যপুস্তকে বিজেপি নেতাদের নাম যথারীতি অবাক করেছে রাজ্যের ওয়াকিবহাল মহলকে। অন্যদিকে রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞদের মতে, স্কুলের পাঠ্যবই এর মাধ্যমে রাজনৈতিক বিতর্ক কখনোই ছোট ছোট ছাত্রছাত্রীদের মধ্যে ছড়িয়ে দেওয়া উচিত নয়। আপাতত শিক্ষা দপ্তরের ভুলের মাশুল এখন তাঁরা কিভাবে দেয়, সে দিকেই লক্ষ্য রাখবে রাজনৈতিক মহল।আর এই খবর সামনে আসতেই অনেকে আবার এই নিয়ে মজা করে বলছেন এবার ফের তৃণমূলেই কি ফিরছে শোভন, মুকুল।

যারা গল্প পড়তে ভালোবাসেন। তাদের জন্য প্রিয়বন্ধুর –  ‘গল্পে -আড্ডায়”

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!