কিছুদিন আগেই মহারাষ্ট্রের বিধানসভা নির্বাচন সম্পন্ন হয়েছিল। যেখানে মুখ্যমন্ত্রীর দাবিদার শিবসেনা থাকায় সেই শিবসেনার সঙ্গে জোট সম্ভব হয়নি ভারতীয় জনতা পার্টির। যার পরেই বিজেপিকে চাপে ফেলে শিবসেনা, কংগ্রেস এবং এনসিপি মিলে মহারাষ্ট্র সরকার গঠন করে। কিন্তু এবার শিবসেনার সঙ্গে মিলেই মহারাষ্ট্র সরকার গঠন করতে চাইছে বিজেপির একাংশ।

কিন্তু অতীতে কদিন আগেই যে দল মুখ্যমন্ত্রী না পাওয়ার জন্য শিবসেনার সঙ্গে সমস্ত সম্পর্ক শেষ করেছিল, সেই দলের অভিমুখ এখন কি করে পাল্টে গেল! তা নিয়ে নানা মহলে তৈরি হয়েছে প্রশ্ন। এই প্রসঙ্গে বিজেপির অন্দরের খবর চলতি বছরের মাঝামাঝি ফের সরকার গড়ার চেষ্টা করা হবে।

বিশেষজ্ঞদের একাংশ বলছেন, এনসিপি, কংগ্রেস এবং শিবসেনার মধ্যে জোট গঠন করে সরকার গড়া হলেও, মাঝেমধ্যেই শিবসেনা এবং কংগ্রেসের মধ্যে দ্বৈরথ সৃষ্টি হচ্ছে। তাই এই দলগুলোর বিবাদের সুযোগ নিয়ে এখন বিজেপি নতুন ঘুটি সাজিয়ে ক্ষমতা দখল করতে পারে বলে মনে করছে একাংশ। এদিন কেন্দ্রের বিজেপি সরকারের মন্ত্রী প্রকাশ জাভড়েকর বলেন, “মহারাষ্ট্রের শাসক জোট ক্ষমতা ধরে রাখতেই ব্যস্ত। দুর্ভাগ্য, এখন শিবসেনা বালাসাহেব ঠাকরেকেই আর হিন্দু হৃদয় সম্রাট বলেন না।”

তবে মহারাষ্ট্রে এই জোট সরকার টিকে থাকার পেছনে এনসিপির শরদ পাওয়ারের মত ব্যক্তিত্ব রয়েছে বলেই মনে করছেন বিজেপির একাংশ। কিন্তু বিজেপি সরকার গড়ার ব্যাপারে উদ্যোগী হলেও, শিবসেনার উদ্ধব ঠাকরে কি তাতে রাজি হবেন! শুধু তাই নয়, কিছুদিন আগেই যে কংগ্রেস এবং এনসিপির সঙ্গে জোট করে শিবসেনা সরকার গড়েছিল, যদি তাদের সঙ্গে জোট ভেঙে যায়, তাহলে সেই দুই দল কি শিবসেনাকে ছেড়ে দেবে! এদিন এই প্রসঙ্গে এক কংগ্রেস নেতা বলেন, “বিজেপির স্বপ্নপূরণ হবে।” এখন সবথেকে বড় প্রশ্ন, মহারাষ্ট্রে আবার সরকার পরিবর্তন হবে কি না!