এখন পড়ছেন
হোম > রাজ্য > শিক্ষামহলের জন্য সুখবর- রাজ্যের স্কুলগুলিতে এবার বাড়তি শিক্ষক, জানুন বিস্তারিত

শিক্ষামহলের জন্য সুখবর- রাজ্যের স্কুলগুলিতে এবার বাড়তি শিক্ষক, জানুন বিস্তারিত

এবার 2015 সাল পর্যন্ত উচ্চ মাধ্যমিকে উন্নীত স্কুলগুলিতে ঠিক কতজন শিক্ষকের প্রয়োজন রয়েছে তার হিসেব চেয়ে রাজ্যের বিভিন্ন জেলায় একটি নির্দেশ নামা পাঠাল বিকাশ ভবন। প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, গত 2015 সাল থেকে প্রায় হাজারের মতো স্কুল উচ্চ মাধ্যমিক স্তরে উন্নীত করা হয়েছে। কিন্তু বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই সেখানে অতিরিক্ত শূন্যপদ এখনও পর্যন্ত পূরনই হয়নি।

তাই এবার সেই শূন্যপদ পূরণেরই উদ্যোগ নিল রাজ্য। জানা গেছে, এই শূন্যপদ পূরণে বিকাশ ভবন থেকে পাঠানো এক চিঠিতে মূল অর্ডারের সঙ্গে একটি ফরম্যাটও দেওয়া হয়েছে। যেখানে সংশ্লিষ্ট স্কুলগুলি যে চারটি বিষয় পড়ানোর অনুমতি পেয়েছে তার প্রতিটির জন্য একটি করে শিক্ষকের রিকুইজিশন অর্থাৎ অন্তত দুজন শিক্ষক করে পাওয়া যাবে বলে মনে করছেন অনেকে।

পাশাপাশি স্কুলের নাম, উচ্চ মাধ্যমিক স্তরে উন্নীত হওয়ার স্বীকৃতি হিসেবে মেমো নাম্বার, অর্থবর্ষ, অনুমোদিত বিষয়ের সংখ্যা, মাধ্যমিক পর্যন্ত বিভিন্ন বিষয়ে শিক্ষকদের সংখ্যাও এই ফরম্যাটে জানতে চাওয়া হয়েছে। জানা গেছে এই শূন্য পদ পূরণের ক্ষেত্রে রাজ্য শিক্ষা দফতরকে আগে অর্থ দপ্তরের অনুমোদন নিতে হয়। তাই এবারে এই অর্থ দপ্তর শূন্যপদে ঠিক কতজন শিক্ষকের অনুমোদন দেন তার দিকেই তাকিয়ে শিক্ষা দপ্তর।

তবে এই অনুমোদন দেওয়া শূন্যপদ শিক্ষকের সংখ্যা যে 2 হাজার থেকে 4 হাজার পর্যন্ত বাড়তে পারে সেই বিষয়ে আশাবাদী শিক্ষা মহলের একাংশ। কিন্তু হঠাৎ এই শূন্যপদ পূরণে এহেন সিদ্ধান্ত কেন? একাংশের ধারণা, সম্প্রতি রাজ্যের উত্তর দিনাজপুরের ইসলামপুরের দাড়িভিট কান্ড এবং উচ্চমাধ্যমিক নিয়োগে একই পদে যোগ দেওয়ার জন্য একাধিক প্রার্থী উপস্থিত হওয়া নিয়ে বিভ্রাট ঘটাতেই এহেন সিদ্ধান্ত নিল শিক্ষা দপ্তর।

পাশাপাশি রাজ্যের একাধিক শিক্ষক-শিক্ষিকাকে যদি তাদের পছন্দের স্কুলে বদলি করানো যায় তাহলে লোকসভা ভোটের আগে সেটা রাজ্যের ক্ষেত্রে অনেকটাই সুখকর হবে। আর তাই এহেন সিদ্ধান্ত নিতে চলেছে শিক্ষা দপ্তর।

ফেসবুকের কিছু টেকনিকাল প্রবলেমের জন্য সব খবর আপনাদের কাছে পৌঁছেছে না। তাই আরো খবর পেতে চোখ রাখুন প্রিয়বন্ধু মিডিয়া-তে

 

এবার থেকে প্রিয় বন্ধুর খবর পড়া আরো সহজ, আমাদের সব খবর সারাদিন হাতের মুঠোয় পেতে যোগ দিন আমাদের হোয়াটস্যাপ গ্রূপে – ক্লিক করুন এই লিঙ্কে

অন্যদিকে এই ঘটনাকে সরকারের বিলম্বিত বোধোদয় বলে উল্লেখ করেছেন বঙ্গীয় শিক্ষক ও শিক্ষাকর্মী সমিতির রাজ্যের সহসাধারণ সম্পাদক স্বপন মন্ডল। এদিন তিনি বলেন, “আমাদের মনে হয় এই কাজ সরকারের আরও আগে করা উচিত ছিল। তাহলে দাড়িভিট কান্ড সহ অনেক বিভ্রান্তিমূলক ঘটনাই এড়ানো যেত।” সব মিলিয়ে শূন্যপদ নিয়োগে রাজ্যের সিদ্ধান্তে হাসি ফুটছে শিক্ষা মহলে।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!