এখন পড়ছেন
হোম > রাজনীতি > তৃণমূল > শুভেন্দুর দলবদলে কি প্রভাব পড়বে তৃণমূলের ছাত্রসংগঠনেও! বাড়ছে গুঞ্জন!

শুভেন্দুর দলবদলে কি প্রভাব পড়বে তৃণমূলের ছাত্রসংগঠনেও! বাড়ছে গুঞ্জন!


প্রিয় বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট – তৃণমূলে থাকার সময় শুভেন্দু অধিকারীকেই বলা হত ছাত্র-যুবর আইকন। উপরে উপরে সকলে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়কে নিজেদের নেতা হিসেবে মেনে নিলেও, তলায় তলায় তৃণমূলের ছোট-বড়-মাঝারি সকল স্তরের নেতাকর্মীরাই যোগাযোগ রাখতেন অধিকারী পরিবারের শান্তিকুঞ্জে বাসকারী মেজো ছেলের সাথে। প্রকাশ্যে সমালোচক মহলের পক্ষ থেকে একথা বলা হলেও তৃণমূলের সকল স্তরের নেতারাই এখন তা এক লহমায় অস্বীকার করবেন।

কিন্তু বাস্তব যে অত্যন্ত করুণ, তা জানেন প্রত্যেকেই।  আর তাই তো শুভেন্দু অধিকারী তৃণমূল ছেড়ে বিজেপিতে নাম লেখানো সাথে সাথেই হুরমুড়িয়ে ভেঙে পড়েছে তৃণমূলের ঘরের চালা। এক এক করে খসে পড়তে শুরু করেছে বড় বড় স্তম্ভ। সুনীল মণ্ডল থেকে শুরু করে শীলভদ্র দত্ত, দেবাশিস মজুমদার থেকে শুরু করে সত্যেন্দ্রনাথ রায়, বিভিন্ন জেলার হেভিওয়েট তৃণমূলের প্রাক্তন এবং জনপ্রতিনিধিরা এখন নিজেদের দাদার শুভেন্দু অধিকারীর সাথে গেরুয়া শিবিরে।

তবে তৃণমূলের মাদার সংগঠনে শুভেন্দু অধিকারী চলে গেলে যে ফাটল ধরবে, এটা আগেভাগেই আশঙ্কা করা হয়েছিল। কিন্তু সেই ফাটল যে তৃণমূলের ছাত্রসংগঠনে গিয়েও লাগবে, তা সত্যিই অনুভব করতে পারেননি তৃণমূলের বর্তমান যুবরাজ অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। সূত্রের খবর, শুভেন্দু অধিকারী বিজেপিতে নাম লেখানোর সাথে সাথেই তৃণমূল কংগ্রেস ছেড়ে দেওয়ার কথা ঘোষণা করেছেন পূর্ব মেদিনীপুর জেলা তৃণমূল ছাত্র পরিষদের সভানেত্রী অন্বেষা জানা। তার জেলাকে এবং তার নেতাকে “বিশ্বাসঘাতক” বলা হয়েছে অভিযোগ তুলে তৃণমূলের সঙ্গে সমস্ত সম্পর্ক ছিন্ন করার কথা জানিয়ে দিয়েছেন তিনি।

আর তার পরিপ্রেক্ষিতেই ছাত্র সংগঠনে যেভাবে শুভেন্দু অধিকারী চলে যাওয়ার পর ভাঙ্গন ধরেছে, তাতে এরপর মহিলা থেকে শুরু করে যুব, শ্রমিক থেকে শুরু করে কৃষক সকল সংগঠনেই শুভেন্দু অধিকারী হাত বাড়াবেন বলে আশঙ্কা করছেন বিশ্লেষকরা। অনেকে বলছেন, শুভেন্দু অধিকারী দলত্যাগ করার পর তৃণমূলের পক্ষ থেকে তাকে আক্রমণের রাস্তা বেছে নেওয়া হয়েছিল। মেদিনীপুরের মাটিতে দাঁড়িয়ে সভা করে তাকে “গদ্দার”, “মীরজাফর” বলেছিলেন ফিরহাদ হাকিম থেকে শুরু করে সৌগত রায়। আর এরপরই বিদ্রোহ পোষণ করতে দেখা যাচ্ছে পূর্ব মেদিনীপুর জেলা তৃণমূল ছাত্র পরিষদের সভানেত্রী অন্বেষা জানাকে।

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

অনেকে বলছেন, শুধু পূর্ব মেদিনীপুর নয়, তৃণমূলে উত্তরবঙ্গের গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্বে ছিলেন শুভেন্দু অধিকারী। মালদহ থেকে শুরু করে মুর্শিদাবাদ, দক্ষিণ দিনাজপুর থেকে শুরু করে উত্তর দিনাজপুর জেলায় বিভিন্ন সময় সভা-সমিতি করতে দেখা গেছে তাকে। স্বাভাবিকভাবেই এই সমস্ত জেলার তৃণমূলের মাদার সংগঠনের পাশাপাশি ছাত্র থেকে যুব বিভিন্ন সংগঠনের নেতাকর্মীরাই এখন দোলাচলে রয়েছেন। একাংশ বলছেন, আদর্শ নির্বাচনী আচরণবিধি চালু হওয়ার পর এই সমস্ত জেলার তৃণমূলের সকল সংগঠনের নেতাকর্মীরা শুভেন্দু অধিকারীর হাত ধরতে শুরু করবেন।

কেননা এখন যদি তারা শুভেন্দুবাবুর সঙ্গে যোগাযোগ শুরু করেন, তাহলে তাদের পুলিশ দিয়ে মিথ্যা মামলায় ফাঁসিয়ে দেওয়া হতে পারে। তাই সেই আতঙ্ক থেকে বাঁচতেই এখন তৃণমূল কংগ্রেসে সক্রিয় ভূমিকা পালন করলেও, তলায় তলায় যে তারা বিজেপি অর্থাৎ শুভেন্দু অধিকারীর সঙ্গে যোগাযোগ রাখছেন, সেই আশঙ্কায় প্রহর গুনছেন তৃণমূলের অনেক শীর্ষ নেতারাও। আর এই আশঙ্কাই এখন ঘুম কেড়ে নিচ্ছে ঘাসফুল শিবিরের। সব মিলিয়ে শুভেন্দু অধিকারীর বিজেপিতে যোগ দেওয়া যে শুধু তৃণমূল কংগ্রেস নয়, ছাত্র থেকে যুব, মহিলা থেকে শ্রমিক সংগঠনকে ব্যাপক চিন্তায় ফেলে দিল, সেই ব্যাপারে নিশ্চিত রাজনৈতিক মহল। সব মিলিয়ে গোটা পরিস্থিতি কোথায় গিয়ে দাঁড়ায়, সেদিকেই নজর থাকবে সকলের।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!