কালকের শুনানির শেষে কোথায় দাঁড়িয়ে ডিএ মামলা? কি হতে চলেছে ভবিতব্য? কলকাতা বিশেষ খবর রাজ্য July 20, 2018 বকেয়া ডিএ ও কেন্দ্রীয়হারে বেতন না পাওয়ায় রাজ্য সরকারের বিরুদ্ধে কলকাতা হাইকোর্টে অবশেষে মামলা করেন রাজ্য সরকারি কর্মচারীদের একাংশ। সেই মামলায় সুপ্রিম কোর্টের ১৯৫৪ সালের একটি মামলার রায় দেখিয়ে রাজ্যের অ্যাডভোকেট জেনারেল কিশোর দত্ত স্পষ্ট জানিয়ে দেন ডিএ সরকারি কর্মচারীদের অধিকারের মধ্যে পরে না। আর তার পরিপ্রেক্ষিতে মামলাকারীদের পক্ষের দুই আইনজীবী বিকাশ রঞ্জন ভট্টাচার্য ও সর্দার আমজাদ আলিকে নিজের নিজের বক্তব্য রাখার সুযোগ দেন মাননীয় বিচারপতিরা। এবার থেকে প্রিয় বন্ধুর খবর পড়া আরো সহজ, আমাদের সব খবর সারাদিন হাতের মুঠোয় পেতে যোগ দিন আমাদের হোয়াটস্যাপ গ্রূপে – ক্লিক করুন এই লিঙ্কে সময়াভাবে আইনজীবী সর্দার আমজাদ আলি গতকাল বলা সুযোগ পাননি, তাঁর বক্তব্য আগামী মঙ্গলবার শুনবে আদালত বলে জানা গেছে। অন্যদিকে আইনজীবী বিকাশ রঞ্জন ভট্টাচার্য্য তাঁর দুদিনের শুনানিতে যা যা তুলে ধরেছেন – ১. রাজ্য সরকারের আইন বলছে ডিএ সরকারি কর্মাচারদিকে অধিকারের মধ্যে পরে, তাহলে কি করে সেই একই রাজ্য সরকার আদালতে দাঁড়িয়ে বলতে পারে ডিএ অধিকারের মধ্যে পরে না ২. রাজ্যের অ্যাডভোকেট জেনারেল ১৯৫৪ সালের যে রায়ের কথা বলে দাবি করছেন যে ডিএ কর্মচারীদের অধিকারের মধ্যে পরে না তা একটি রায়ের অংশ বিশেষ ৩. সুপ্রিম কোর্টেই ১৯৫৪ সালের পর বহু মামলার যা ডিএ নিয়েই হয়েছে সেখানে স্পষ্ট বলা হয়েছে – ডিএ সরকারি কর্মচারীদের অধিকারের মধ্যে পরে ৪. বছরে দুবার করে ডিএ দিতে হবে ৫. ডিএর হার প্রাইস ইনডেক্স বা পিআইএর উপর নির্ভর করবে (সেটা কেন্দ্রের ইনডেক্স ফলো করেও হতে পারে বা রাজ্যের নিজস্ব ইনডেক্সও হতে পারে) প্রসঙ্গত, বিকাশবাবুর সওয়ালের পর রাজ্যের তরফে দাবি করা হয় যে বিকাশবাবু মামলায় নতুন পয়েন্ট যোগ করেছেন, সুতরাং তাঁদের আবার বলতে দেওয়ার সুযোগ দেওয়া হোক। কিন্তু তার পরিপ্রেক্ষিতে আদালত স্পষ্ট জানিয়ে দেয়, রাজ্যের তরফেই ১৯৫৪ সালের ‘রেফারেন্স’ দেওয়া হয়, বিকাশবাবু তার পরিপ্রেক্ষিতেই বলেছেন। সুতরাং, এখানে যেহেতু কোন নতুন পয়েন্ট যোগ হয় নি, তাই রাজ্যের অনুরোধ রক্ষা করা সম্ভব নয়। আর তাই কালকের শুনানির পর রাজ্য সরকারি কর্মীদের আশা বেড়ে গেল বহুগুন বলে মনে করছেন সংশ্লিষ্ট মহল। আপনার মতামত জানান -