এখন পড়ছেন
হোম > আন্তর্জাতিক > করোনা অবহেও সীমান্তে চূড়ান্ত উত্তেজনা! যে মুহূর্তে শুরু হতে পারে ভারত-চীন যুদ্ধ?

করোনা অবহেও সীমান্তে চূড়ান্ত উত্তেজনা! যে মুহূর্তে শুরু হতে পারে ভারত-চীন যুদ্ধ?


করোনার পর এবার কি ভারতের সামনে নতুন বিপদ আসন্ন? তাহলে এবার কি সীমান্তে লাগতে চলেছে ভারত চীন যুদ্ধ? সূত্রের খবর, মঙ্গলবার দিল্লিতে দুটি হাইপ্রোফাইল বৈঠক এবং বেজিংয়ের একটি বক্ত্যব্যেই জোরালো হয়েছে এমনই সব প্রশ্ন। গত কয়েক দিনে যেভাবে সীমান্তে দুই দেশের মধ্যে অর্থাৎ ভারত ও চীনের মধ্যে উত্তাপ বাড়ছে, সেই পরিপ্রেক্ষিতে এবার নতুন করে যুদ্ধ লাগতে চলেছে ভারত ও চীনের মধ্যে বলে মনে করা হচ্ছে। পরিস্থিতির গুরুত্ব আরো বাড়ছে প্রতিরক্ষা মন্ত্রী রাজনাথ সিংহের কথায়।

এদিন তিনি চীন লাদাখের নিয়ন্ত্রণ রেখার ওপারে সেনা ও যুদ্ধাস্ত্র বাড়ালে ভারতের তরফেও যেন পাল্লা দিয়ে সেনা মোতায়েন হয় সে কথা জানিয়ে দিলেন। উপরন্তু চীনের যে বিষয়ে আপত্তি অর্থাৎ ভারতের পরিকাঠামো উন্নয়ন এর কাজও চলবে বলে জানিয়ে দেওয়া হয়েছে সামরিক বাহিনীর শীর্ষ কর্তাদের বৈঠকে বলে জানা গেছে। অন্যদিকে চীনা প্রেসিডেন্ট শি চিনফিং সম্প্রতি যুদ্ধের প্রস্তুতি রাখতে চীনা সেনা প্রশিক্ষণ বাড়ানোর ওপর জোর দিয়েছেন বলে জানা গেছে।

অন্যদিকে করোনা বিপর্যয় নিয়েও চীনের ওপর আন্তর্জাতিক স্তরে যে ক্রমাগত চাপ বাড়ছে সে কথা বলাই বাহুল্য। অন্যদিকে ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীও ভারত চীন পরিস্থিতি নিয়ে বৈঠকে বসেছেন জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা অজিত ডোভাল, চিফ অব ডিফেন্স স্টাফ বিপিন রাওয়ত ও তিন সামরিক বাহিনীর কর্তাদের সঙ্গে। এর আগে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি প্রতিরক্ষা মন্ত্রী রাজনাথ সিংহের সঙ্গেও বৈঠক করেছেন বলে জানা গেছে।

এছাড়াও প্রধানমন্ত্রী আগামীকাল সেনাপ্রধান জেনারেল মনোজমুকুন্দ নরবণে ও সেনাবাহিনীর শীর্ষ কর্তাদের সঙ্গে বৈঠকে বসবেন বলে খবর। গত 5 মে থেকে লাদাখের পশ্চিম ভাগে নিয়ন্ত্রণরেখায় ক্রমাগত সংঘাত চলছে বলে জানা গেছে। চীনের প্রথম আপত্তি শুরু হয় ‘ফিঙ্গার থ্রি’ ও ‘ফিঙ্গার ফোর’ এর মধ্যে রাস্তা তৈরির কাজ নিয়ে। একই সঙ্গে গালওয়ান ভ্যালির সঙ্গে সংযোগকারী রাস্তা নিয়েও চীন তার আপত্তি জানায়। সূত্রের খবর, 5 মে রাতে পূর্ব লাদাখের প্যাংগং লেক এর কাছে ভারতীয় সেনা নজরদারি বাহিনীর কাছে চীনের পক্ষ থেকে প্রথম বাধা আসে।

তারপর থেকেই ওই দুটি এলাকায় দু’দেশের সেনা একে অপরের ওপর তীব্র দৃষ্টি নিক্ষেপ করে দাঁড়িয়ে আছে বলে জানা গেছে। অন্যদিকে উত্তর সিকিমে মে মাসের শুরুতে দুই সেনাবাহিনীর মধ্যে সংঘাত লেগেছিল বলে খবর। যেখানে উত্তরাখণ্ড ও হিমাচল প্রদেশের অংশ শান্ত থাকলে সেখানেও এবার বিক্ষিপ্ত ঘটনা ঘটতে শুরু করেছে যা চূড়ান্ত অস্বস্তিজনক বলে মনে করা হচ্ছে। পুরো পরিস্থিতি নিয়ে প্রতিরক্ষামন্ত্রী সামরিক কর্তাদের সঙ্গে বৈঠকে আলোচনা করেছেন বলে জানা গেছে।

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

তবে সূত্রের খবর, চীন ভারত বিবাদের মীমাংসা একমাত্র কূটনৈতিক আলোচনার মাধ্যমেই সম্ভব হবে বলে ঠিক হয়েছে। তবে ততদিন পর্যন্ত ভারতীয় সেনা ক্রমাগত নিজেদের অবস্থান আরো মজবুত করবে বলে জানা গেছে। অন্যদিকে সেনা সূত্র থেকে পাওয়া খবর অনুযায়ী জানা গেছে, উপগ্রহ চিত্রের মাধ্যমে দেখা যাচ্ছে, নিয়ন্ত্রণ রেখার ওপারে চীন প্রায় হাজার দশেক সেনা মজুদ করেছে। শুধু তাই নয়, তিব্বতের গারি গুনশা ঘাঁটিতেও নির্মাণকাজ চলছে বলে জানা যাচ্ছে।

বেশকিছু যুদ্ধবিমান হাজির হয়েছে সেখানে বলে খবর। অন্যদিকে গতকাল ভারত থেকে নিজেদের নাগরিকদের ফিরিয়ে নিয়ে যাওয়ার প্রস্তাব দিয়েছে চীন। আর এই প্রস্তাবেই ঘনিয়ে আছে যাবতীয় আশংকার কালো মেঘ। এরই মধ্যে চীনা প্রেসিডেন্ট শি চিনফিং জানিয়েছেন, ‘‘সেনাকে যুদ্ধের জন্য প্রস্তুত করে তুলতে হবে। সে জন্য  সামগ্রিক প্রশিক্ষণ জরুরি।“ অন্যদিকে কূটনীতিকদের দাবি, করোনা নিয়ে যেভাবে চীনকে কোণঠাসা করা হচ্ছে, তার ওপর তাইওয়ান পরিস্থিতি এবং ভারতের সঙ্গে সীমান্ত সংঘাতের যে বাতাবরণ সৃষ্টি হয়েছে তা নিয়েই তিনি চিনা সেনাকে বার্তা দিতে চেয়েছেন।

তবে ভারতের সঙ্গে চীন সীমান্তে যেভাবে আবহাওয়া উত্তপ্ত হয়ে উঠেছে, সেদিকে নজর রেখে চীনা প্রেসিডেন্টের মন্তব্যকে বিশেষ গুরুত্ব দিয়ে দেখছে নয়াদিল্লি বলে মনে করা হচ্ছে। সাম্প্রতিক কালে ডোকলামে শেষবার দুই দেশের মধ্যে এমন উত্তেজনা তৈরি হয়েছিল। তবে ওয়াকিবহাল এর মতে, এবারের পরিস্থিতি কিন্তু তার থেকেও বেশি গুরুতর। কারণ সিকিম এবং লাদাখ দুই জায়গাতেই এবার মাথাচাড়া দিয়েছে চীন-ভারত বিবাদ নতুন করে।

অন্যদিকে বিশেষজ্ঞরা সম্প্রতি নেপালের সঙ্গে ভারতের যে সীমান্ত বিবাদ হয়েছিল তাতেও বেজিংয়ের ইন্ধনকেই মুখ্য রূপে দেখছেন। এই মুহূর্তে চীন যে বেশ কোণঠাসা হয়ে পড়েছে সে নিয়ে কোন সন্দেহ রাখছেন না বিশেষজ্ঞরা। একে করোনা পরিস্থিতি নিয়ে আমেরিকার মুহুর্মুহু চাপ সৃষ্টি চলছে চীনের ওপরে। তার ওপরে নতুন করে তাইওয়ানের বিক্ষোভকারী দল চীনের মাথাব্যথার কারণ হয়ে উঠেছে। আপাতত নতুন করে ভারত চীন সীমান্ত নিয়ে চীনা প্রেসিডেন্ট কোন অভিযানে নামবেন কিনা তা নিয়েও বিভিন্ন মহলে আলোচনা শুরু হয়েছে।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!