এখন পড়ছেন
হোম > রাজ্য > কলকাতা > বিজেপির মোকাবিলায় বুথ থেকে বাছাই করা নেতা নিয়ে বিশেষ কমিটি করে আসরে তৃণমূল

বিজেপির মোকাবিলায় বুথ থেকে বাছাই করা নেতা নিয়ে বিশেষ কমিটি করে আসরে তৃণমূল

 

লোকসভা নির্বাচনের পরবর্তী সময়ে অনেক জায়গাতেই শাসক-বিরোধী সন্ত্রাস লক্ষ্য করা যায়। যার জন্য অনেকটাই কোণঠাসা হয়ে পড়ে তৃণমূল কংগ্রেস। বিজেপি উত্থানে বিভিন্ন এলাকায় পিছিয়ে পড়তে হয় তাদের। যেমন, ময়না ব্লকের বাকচা গ্রাম পঞ্চায়েত। সম্প্রতি বিজেপির চাপে ইস্তফা পত্র জমা দিয়েছেন বাকচা গ্রাম পঞ্চায়েতের উপপ্রধান শম্পা মন্ডল।

এছাড়াও প্রধান শুকলাল মন্ডল সহ বেশ কয়েকজন তৃণমূলের নেতা কর্মী এলাকাছাড়া রয়েছেন। আর এই পরিস্থিতিতে দলের সংগঠন শক্তিশালী করতে বাকচায় 21 টি বুথের 21 জন নেতাকে নিয়ে বিশেষ কমিটি গঠন করল তৃণমূল কংগ্রেস। জানা গেছে, আগামী পয়লা নভেম্বর এই কমিটি প্রথম বৈঠকে বসে আগামী দিনের পরিকল্পনা নিয়ে আলোচনা করবে।

প্রসঙ্গত, সম্প্রতি দুই দফায় এই বাকচায় কিভাবে সাংগঠনিক কাজকর্ম করা যায়, তা নিয়ে আলোচনায় বসেছিল তৃণমূল নেতৃত্ব। আর সেখানেই একটি কমিটি করার ব্যাপারে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। যার জেরে এই কমিটি তৈরি করা হয়েছে। যার দায়িত্বে রয়েছেন স্থানীয় তৃণমূল নেতা মনোরঞ্জন হাজরা এবং অমিতাভ ভঞ্জ।

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

জানা গেছে, আগামী বেশ কিছুদিনের মধ্যেই এই বাকচায় আসবেন মন্ত্রী শুভেন্দু অধিকারী। আর সেখানেই তিনি ঘরছাড়া নেতাকর্মীদের বাড়িতে ফেরানোর পরিকল্পনা গ্রহণ করবেন। বস্তুত, গত 14 অক্টোবর এই গ্রাম পঞ্চায়েতের আধারিয়া গ্রামে খুন হতে হয় তৃণমূলের প্রাক্তন পঞ্চায়েত সদস্য বসুদেব মন্ডলকে। যার পরে গত 18 অক্টোবর বিজেপির বুথ সভাপতি বিজয় ভৌমিককে পুলিশের পক্ষ থেকে গ্রেফতার করা হলে এলাকায় তীব্র চাঞ্চল্য ছড়ায়।

বিজেপির বিরুদ্ধে অভিযোগ ওঠে যে, তাদের কর্মীকে গ্রেফতার করার জন্য তারা বোমা, গুলি চালানোর পাশাপাশি রাস্তা কেটে এবং রাস্তার উপর গাছের গুঁড়ি ফেলে পথ অবরুদ্ধ করে দেয়। আর এর পর থেকেই গত 19 অক্টোবর থেকে এলাকার বিভিন্ন গ্রামে টহল দিচ্ছে তিনশোর বেশি বাহিনী।

এলাকা এখনও থমথমে রয়েছে। কিন্তু পুজোর ছুটির পর দেখতে দেখতে স্কুল খোলার সময় হয়ে গেল। আজই সমস্ত স্কুল, অফিস- কাছারি খুলে যাবে। ফলে সাধারণ মানুষদের মধ্যে আতঙ্ক কেটেছে কিনা, তা আজকে পড়ুয়াদের স্কুলের উপস্থিতিতেই প্রমাণ হয়ে যাবে বলে মনে করছে একাংশ। তবে এলাকায় শান্তি ফেরাতে এবং সংগঠনকে শক্তিশালী করতে ইতিমধ্যেই তৃণমূলের তরফে এই কমিটি তৈরি করা অত্যন্ত তাৎপর্যপূর্ণ বলেই মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা।

খুব শীঘ্রই নিহত তৃণমূল নেতা বসুদেব মণ্ডলের বাড়িতে যাওয়ার কথা রয়েছে রাজ্যের হেভিওয়েট মন্ত্রী শুভেন্দু অধিকারীর। ফলে শুভেন্দুবাবু এসে একদিকে দলীয় সংগঠনকে চাঙ্গা করা, আর অন্যদিকে ঘরছাড়া নেতাদের ঘরে ফেরাতে ঠিক কতটা সক্রিয় ভূমিকা পালন করেন, এখন সেদিকেই তাকিয়ে সকলে।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!