হালিসহর পুরসভায় বিজেপির বোর্ড গঠন নিয়ে ফের জল্পনা উস্কে দিলেন মুকুল রায়, দাবি গেরুয়া শিবিরই দখল করবে পুরসভা নদীয়া-২৪ পরগনা রাজ্য July 11, 2019 হালিশহর পুরসভার বোর্ড গঠন নিয়ে চরমে উঠল উত্তেজনা। তৃণমূল না বিজেপি কে শেষপর্যন্ত দখলে রাখবে এই পুরসভা এই জল্পনা চলাকালীন এই ইস্যুতে মুখ খুললেন বিজেপির মুকুল রায়। বুধবার তিনি সাফ জানিয়ে দিলেন, আগামী ৭ থেকে ১০ দিনের মধ্যে বিজেপির দখলে চলে আসবে হালিসহর পুরসভা। প্রসঙ্গত, গত পুরনির্বাচনে জিতে হালিসহর পুরসভার নিয়ন্ত্রণ নেয় তৃণমূল কংগ্রেস। পুরসভার ২৩ আসনের মধ্য ২১জন কাউন্সিলরই ছিল তৃণমূলের, অন্যদিকে নির্দল ও বিজেপির একজন করে কাউন্সিলর ছিলেন। ১৯ এর লোকসভা নির্বাচনের পরে এই সমীকরণের দ্রুত পরিবর্তন হয়। লোকসভা ভোট মিটতেই রাজ্য জুড়ে চলা দলবদলের হাওয়া ঢুকে যায় হালিসহর পুরসভার অন্দরেও। জোড়াফুল ছেড়ে পদ্ম শিবিরে যোগদান করেন ১৮ জন কাউন্সিলর। এর ফলে হালিসহর পু্রসভা হাতছাড়া হয় তৃণমূলের। আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে। আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে। আপনার মতামত জানান - এরপর, হঠাৎ পরিস্থিতি অন্যদিকে মোড় নেয় মঙ্গলবার।দিল্লি গিয়ে ভারতীয় জনতা পার্টিতে যোগ দেওয়া ১৮ জন কাউন্সিলারদের মধ্যে ৯ জন তৃণমূলে পুনরায় যোগদান করেন। এইমুহুর্তে ২৩ আসনের পুরসভায় তৃণমূলের কাউন্সিলর সংখ্যা বেড়ে হল ১২ জন। আর বিজেপির হাতে রয়েছে ১০ জন। একবার বিজেপিতে গিয়ে আবার তৃণমূলে ফিরে আসার প্রসঙ্গে হালিসহর পুরসভার চেয়ারম্যান অংশুমান রায় এদিন বলেন, বিজেপির সন্ত্রাসে একসময় দলের কর্মীদের মধ্যে আতঙ্কের পরিবেশ তৈরি হয়ে গিয়েছিল। কিন্তু মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় নিজে এসে আশ্বাস দেওয়ার পর সেই আতঙ্ক দূর হয়েছে। বিজেপি নেতা মুকুল রায় অবশ্য সংখ্যায় পিছিয়ে থাকলেও হালিসহরে বোর্ড গঠন করার ব্যাপারে আশাবাদী। এদিন সাংবাদিকদের সামনে মুকুল জানান খুব শীঘ্রই হালিসহর পুরসভার পুর প্রধান অংশুমান রায়ের বিরুদ্ধে অনাস্থা আনা হবে। আর অংশুমান রায় যে আতঙ্কের পরিবেশের কথা বলেছেন সেই প্রসঙ্গে মুকুল রায়ে বক্তব্য কাউকে ভয় দেখিয়ে বিজেপিতে আনা হয়নি। দলত্যাগী কাউন্সিলররা প্রত্যকেই নিজের ইচ্ছায় দিল্লিতে গিয়েছিলেন। পাশাপাশি তিনি এও জানান লোকসভা নির্বাচনে কাঁচরাপাড়া, হালিসহরে বিজেপি সন্ত্রাস করে জেতেনি। মানুষ স্বতস্ফুর্ত ভাবে ভোট দিয়েছে। বিজেপির প্রতি মানুষের সেই জনসমর্থনের জোরেই এলাকায় তৃণমূল প্রভাব হারিয়ে ফেলেছে। আপনার মতামত জানান -