এখন পড়ছেন
হোম > রাজ্য > কলকাতা >   সিপিএমের হাত ধরে তৃনমূলকে “উৎখাত” করল বিজেপি! তীব্র চাঞ্চল্য রাজ্য – রাজনীতিতে

  সিপিএমের হাত ধরে তৃনমূলকে “উৎখাত” করল বিজেপি! তীব্র চাঞ্চল্য রাজ্য – রাজনীতিতে

এবার তৃণমূলকে সরাতে সিপিএমের সাহায্য নিল গেরুয়া শিবির। বামেদেরকে সঙ্গে নিয়ে দাঁতন বিধানসভা কেন্দ্রের মোহনপুরে রাজ্যের শাসক দল তৃণমূল কংগ্রেসের একাধিক দলীয় কার্যালয় দখল করার অভিযোগ উঠতে শুরু করল বিজেপির বিরুদ্ধে।তবে দলীয় কার্যালয় দখলের পাশাপাশি তৃণমূলের কর্মীদের এলাকায় চাষও করতে দেওয়া হচ্ছে না বলে অভিযোগ উঠেছে। যে ঘটনায় এখন তীব্র চাঞ্চল্য ছড়িয়ে পড়েছে এলাকায়।

বাম এবং রামের এক হয়ে সবুজকে সরানোর এই লড়াইয়ে অশান্তির আচ করছেন একাংশ। বস্তুত, বিগত পঞ্চায়েত নির্বাচনের সময় রাজ্যের শাসক দল তৃণমূলের বিরুদ্ধে প্রার্থী দিতে না দেওয়ার অভিযোগ তুলেছিল বিরোধীরা। যেখানে এই ব্লকের পাঁচটি পঞ্চায়েতের মধ্যে সবকটি, পঞ্চায়েত সমিতি এবং জেলাপরিষদের সব আসনও দখল করেছিল তৃণমূল। কিন্তু সদ্যসমাপ্ত লোকসভা নির্বাচনে এখানে বিজেপির থেকে অনেকটাই পিছিয়ে পড়ে ঘাসফুল শিবির।

আর তারপর থেকেই এলাকায় একের পর এক তৃণমূলের দখলে থাকা অফিস বিজেপি নিজেদের দখলে নিয়ে নিচ্ছে বলে অভিযোগ তুলতে শুরু করে শাসকদল। আর এই ঘটনায় সিপিএমকে সাথে নিয়ে বিজেপি তাদের পার্টি অফিস দখল করছে বলে অভিযোগ তৃণমূলের। এদিন এই প্রসঙ্গে ব্লক তৃণমূলের সভাপতি প্রদীপ পাত্র বলেন, “আমাদের এই ব্লকের দুটি পঞ্চায়েত এলাকায় আমাদের অবস্থা খুবই খারাপ। মোহনপুরে আমরা আমাদের পঞ্চায়েত অফিস খুলতে পারিনি।”

অন্যদিকে এখানকার তৃণমূল বিধায়ক বিক্রম প্রধান বলেন, “বিজেপি এবং ওদের দলে আসা সিপিএমের হার্মাদরা আমাদের পার্টি অফিস দখল করে নিয়েছে। সিপিএম থেকে আসা হার্মাদরাই বিজেপির সামনের সারিতে দাঁড়িয়ে এখন এলাকায় সন্ত্রাসের রাজত্ব কায়েম করছে। রাজনৈতিক ভাবেই আমরা এই পরিস্থিতির মোকাবিলা করব।” তবে তৃণমূলের করা এই অভিযোগকে সম্পূর্ণরূপে অস্বীকার করেছে বিজেপি।

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

এদিন এই প্রসঙ্গে জেলা বিজেপির সহ-সভাপতি শক্তি নায়েক বলেন, “আমরা কোথাও তৃণমূলের কোনো অফিস দখল করিনি। আসলে ওদের সাথে মানুষ নেই। তাই পুলিশ নিয়ে এলাকায় ফিরতে চাইছে। সিপিএমের যেসব অফিস তৃণমূল দখল করেছিল, আমরা সেইসব অফিস উদ্ধার করছি। কিন্তু সেগুলো তালাবন্ধ থাকছে। সিপিএমের সুদিন যদি ফেরে, আমরা তাদের হাতে ওই সমস্ত অফিস তুলে দেব।”

এদিকে বিজেপির সঙ্গে বামেরা এক হয়ে তৃণমূলের পার্টি অফিস দখল করছে বলে শাসকদলের পক্ষ থেকে অভিযোগ করা হলেও তা সম্পূর্ণরূপে অস্বীকার করেছে সিপিএম। এদিন এই প্রসঙ্গে সিপিএমের জেলা কমিটির সদস্য প্রনব দে বলেন, “আমাদের তৈরি করা পনেরোটা অফিস ক্ষমতায় আসার পর তৃণমূল দখল করে নিয়েছিল। এখন বিজেপি সেগুলো দখল করে নিয়েছে। আমরা লিখিতভাবে প্রশাসনকে জানিয়েছি। কোথাও যদি কেউ কোনো অফিস দখল করে রাখে, তাহলে তা ছেড়ে দিতে হবে। কিন্তু বিজেপি ও তৃণমূলের মধ্যে সেই সদিচ্ছা নেই।”

সব মিলিয়ে এবার সিপিএমের হাত ধরে তৃণমূলকে উৎখাত করার চেষ্টায় বিজেপির পক্ষ থেকে একের পর এক পার্টি অফিস দখল করা হলে তীব্র চাঞ্চল্য শুরু হয়েছে রাজ্য রাজনীতিতে।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!