ধমকে-চমকে কিছুই করতে পারবে না, তৃণমূলের অন্দরেই চরম বিদ্রোহ: মুকুল রায় বিশেষ খবর রাজ্য April 23, 2018 নিজের রাজনৈতিক গুরু মৃণালকান্তি সিংহরায়ের ‘খুনের’ সাথে হঠাৎ করে জড়িয়ে গেছে মুকুল রায়ের নাম। ঘটনা তিন বছর আগে ঘটলেও, মুকুল রায় তৃণমূল কংগ্রেস ছেড়ে বিজেপিতে যোগ দিতেই, তড়িঘড়ি মৃণালবাবুর বোন সোনলীদেবী তৃণমূল কংগ্রেসে যোগ দেন। আর তারপরেই ব্যারাকপুর থানায় মুকুল রায়ের বিরুদ্ধে নিজের দাদাকে খুন ও পরে প্রভাব খাটিয়ে সেই খুনের তদন্তে বাধা দেওয়ার মত গুরুতর অভিযোগ আনেন। সেই মামলার শুনানিতেই আজ কলকাতা হাইকোর্টে হাজিরা দিয়েছিলেন মুকুল রায়। যথারীতি, রাজ্য পুলিশ সবার আগে মুকুল রায়কে পুলিশি হেফাজতে নিতে জোরালো সওয়াল চালায়। যদিও, পুলিশের ‘ব্যর্থতা’ দেখিয়েই সেই আর্জি খারিজ করে দেন বিচারপতি জয়মাল্য বাগচী। আরো খবর পেতে চোখ রাখুন প্রিয়বন্ধু মিডিয়া-তে আর আদালত থেকে বেরিয়েই এরপর ক্ষোভে ফেটে পড়েন বিজেপি নেতা মুকুল রায়। তীব্র ভাষায় আক্রমন করেন রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মামাত বন্দ্যোপাধ্যায়কে। মুকুলবাবু বলেন, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সরকার প্রতিহিংসার দিক থেকে অতীতের প্রতিটি সরকারকে ছাপিয়ে গিয়েছে। দীর্ঘ ৪০ বছরের বেশি সময় ধরে রাজনীতি করছি। কিন্তু আমার রাজনৈতিক জীবনে অতীতের বাম সরকারও কোনও মামলা করতে পারেনি। অথচ গত নভেম্বর থেকে ছ’মাসে আমার বিরুদ্ধে ১৩টা মিথ্যে মামলা করেছে মমতার সরকার। পালাবদলের বাংলায় মানুষের প্রত্যাশা পূরণ হয়নি। তৃণমূল ক্রমেই জনসমর্থন হারাচ্ছে। তাই গদি টিকিয়ে রাখতে গণতন্ত্রের কন্ঠরোধ করছে এই সরকার। বিরুদ্ধে মুখ খুললেই মিথ্যে মামলায় ফাঁসিয়ে দেওয়া হচ্ছে। আমাকে ধমকে, চমকে কিংবা মিথ্যে মামলায় ফাঁসিয়েও ওরা কিছুই করতে পারবে না। কারণ, তৃণমূলের অন্দরেই এখন শুরু হয়েছে চরম বিদ্রোহ। এবারের পঞ্চায়েতে নির্বাচনে তার প্রভাব অবশ্যম্ভাবী। আপনার মতামত জানান -