এখন পড়ছেন
হোম > রাজ্য > উত্তরবঙ্গ > দলবিরোধী কাজ করে শাস্তির কোপে পরেও বেঁচে গেলেন প্রভাবশালী তৃণমূল নেতা, জল্পনা দলের অন্দরেই

দলবিরোধী কাজ করে শাস্তির কোপে পরেও বেঁচে গেলেন প্রভাবশালী তৃণমূল নেতা, জল্পনা দলের অন্দরেই


প্রিয় বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট – তৃণমূলের অন্দরে বারবার অভিযোগ উঠেছে, প্রথমে দল বিরোধী কাজের জন্য বহু নেতাকে শোকজ বা সাসপেন্ড করা হয়। পরবর্তীতে তাদের সেই সাসপেনশন কিছুদিন যেতে না যেতেই তুলে নেওয়া হয়। যার ফলে এই প্রবণতা দেখে অনেকেই অপরাধমূলক কাজ করার সাহস পেয়ে যান। অনেকেই ভাবতে শুরু করেন, হয়ত দল সাসপেন্ড করবে। কিন্তু তার কিছুদিন পর সেই সাসপেনশন তুলেও নেবে।

ফলে সেভাবে তৃণমূল কর্মীদের মনে দলের কড়া অবস্থানের পরিপ্রেক্ষিতে কোনরূপ ভয় কাজ করে না বলেই দাবি করে সমালোচক মহল। আর এরকমই একটি ঘটনা ঘটল শীতলকুচিতে। জানা যায়, কিছুদিন আগেই শীতলকুচি তৃণমূল কংগ্রেসের নেতা সাহের আলী মিয়াকে সাসপেন্ড করা হয়। কিন্তু মঙ্গলবার হঠাৎ করেই সাংবাদিক সম্মেলন করে ওই চিঠি প্রত্যাহার করে নেওয়া হয়। আর এতেই তীব্র জল্পনা ছড়িয়ে পড়েছে রাজনৈতিক মহলে।

কেন শোকজ করেও সেই নেতার সাসপেনশন প্রত্যাহার করে নিল তৃণমূল কংগ্রেস, এখন তা বড় প্রশ্ন হয়ে দাঁড়িয়েছে সকলের কাছে। প্রসঙ্গত, গত 22 মে এই সাহের আলিকে দল বিরোধী কাজের জন্য কোচবিহার জেলা তৃণমূল সভাপতি বিনয় কৃষ্ণ বর্মন শোকজ করেছিলেন। সাত দিনের মধ্যে এই তৃণমূল নেতাকে তার জবাব দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছিলেন তিনি। কিন্তু এর কিছুদিন যেতে না যেতেই মঙ্গলবার দলীয় নেতৃত্বের পক্ষ থেকে সাংবাদিক সম্মেলন করে সেই শোকজ তুলে নেওয়া হয়? কেন তা তুলে নেওয়া হল?

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

এদিন এর কারণ হিসেবে কোচবিহার জেলা তৃণমূল সভাপতি তথা মন্ত্রী বিনয় কৃষ্ণ বর্মন বলেন, “সাহে্য আলী মিয়ার বিরুদ্ধে দলের বিধায়ক তথা বিধানসভা এলাকার চেয়ারম্যানকে না জানিয়ে কমিটি গঠন ও দলীয় কর্মসূচি পালন না করার অভিযোগ করা হয়েছিল। ওই নেতা দলের কাছে নিজের কৃতকর্মের জন্য ক্ষমা প্রার্থনা করেছেন। আমি সেই চিঠি রাজ্য নেতৃত্বকে পাঠালে সেখান থেকে নির্দেশ আসে, যাতে কোনোভাবে উনি বিরোধে জড়িয়ে পড়েন। দলের নির্দেশ, শৃঙ্খলা মেনে চলতে হবে। শোকজ প্রত্যাহার করে নেওয়া হয়েছে। তবে এরপর দল বিরোধী কাজের অভিযোগ এলে দল কড়া পদক্ষেপ নেবে।”

এদিকে এই ব্যাপারে শীতলকুচির তৃণমূল বিধায়ক হিতেন বর্মণ বলেন, “আমি জেলা ও রাজ্য নেতৃত্বকে ওর বিরুদ্ধে অভিযোগ জানিয়েছিলাম। সেখান থেকে ওকে শোকজ করা হয়েছিল। শোকজের কি জবাব দিয়েছে জানি না। দল যেটা ভালো মনে করবে, সেটাই সবাইকে মেনে নিতে হবে।” তবে প্রথমদিকে সেই তৃণমূল নেতার বিরুদ্ধে কড়া পদক্ষেপ নিলেও, কিছুদিনের মধ্যেই তার তুলে নেওয়ায় এখন দলের শৃঙ্খলা নিয়ে অনেকেই প্রশ্ন তুলতে শুরু করেছেন।

অনেকেই বলছেন, এভাবে যদি চলতে থাকে, তাহলে পরবর্তীতে আরও অনেক নেতা দলের অন্দরে বিদ্রোহী হয়ে উঠতে পারেন। ফলে আরও সমস্যা বাড়বে বলেই আশঙ্কা করছেন তৃণমূলের নেতাকর্মীরা। যদিও বা এদিন শোকজ তুলে নেওয়ার পরেই দলের কাছে নিজে কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেছেন সেই সাহের আলী মিয়া। তিনি বলেন, “আমি দলের একনিষ্ঠ কর্মী। দলীয় কর্মীদের নিয়ে কাজ করতে গিয়ে ভুল ত্রুটি হয়ে যেতে পারে। দলের নির্দেশ মেনে চলব। আগামী দিনে আমাকে যে দায়িত্ব দেওয়া হবে, সেটাই পালন করব।”

সব মিলিয়ে হেভিওয়েট নেতাকে প্রথমে শোকজ করেও, এবার সেই শোকজ তুলে নিল তৃণমূল কংগ্রেস। তবে এখন দলের শৃঙ্খলা অটুট রাখতে সেই নেতা কতটা কার্যকরী ভূমিকা পালন করেন, তার দিকেই নজর থাকবে সকলের।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!