পেট্রল-ডিজেলও কি জিএসটির আওতায়? বড় তথ্য জানালেন অর্থমন্ত্রী জাতীয় রাজ্য July 25, 2018 অনেকদিন ধরেই জল্পনা চলছিল। অবশেষে মঙ্গলবার রাজ্য বিধানসভার প্রশ্নোত্তর পর্বে পেট্রোপন্যকে জিএসটির আওতায় আনার ব্যাপারে নিজেদের মত ব্যাক্ত করলেন রাজ্যের অর্থমন্ত্রী অমিত মিত্র। এদিন বিধানসভার বিরোধী দলনেতা অর্থমন্ত্রীর কাছে জানতে চান যে, পেট্রোল ডিজেলের ওপর জিএসটি বসানোর ক্ষেত্রে রাজ্যের কোনো ভাবনা রয়েছে কি না? আর সেই প্রশ্নেরই উত্তর দিতে গিয়ে রাজ্যের অর্থমন্ত্রী অমিত মিত্র বলেন, “যতক্ষন না 2015-16 অর্থবর্ষকে ভিত্তি করে দেশের সবকটি রাজ্যের রাজস্ব 14% বৃদ্ধি হচ্ছে ততক্ষন পর্যন্ত জিএসটি কাউন্সিলের অগ্রাধিকারে পেট্রোপন্যকে নিয়ে আসা হবে না।” আরো খবর পেতে চোখ রাখুন প্রিয়বন্ধু মিডিয়া-তে ——————————————————————————————- এবার থেকে প্রিয় বন্ধুর খবর পড়া আরো সহজ, আমাদের সব খবর সারাদিন হাতের মুঠোয় পেতে যোগ দিন আমাদের হোয়াটস্যাপ গ্রূপে – ক্লিক করুন এই লিঙ্কে। প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, উপযুক্ত পরিকাঠামো ছাড়াই তড়িঘড়ি জিএসটি চালু করায় প্রথম থেকেই কেন্দ্রের এই সিদ্ধান্তের বিরোধীতা করে এসেছিল রাজ্য সরকার। এদিন নিজের বক্তব্যে সেই কথা তুলে জিএসটির চালুর ঘাটতি কাটিয়ে গত মার্চ মাসে যে মোটে তিন শতাংশ উদ্বৃত্ত রাজস্বের মুখ দেখেছে রাজ্য সরকার তাও উল্লেখ করেন রাজ্যের অর্থমন্ত্রী। এদিন কেন্দ্রকে জিএসটি ইস্যুতে কটাক্ষ করে অমিত মিত্র আরও বলেন, “এই জিএসটি ত্রুটিপূর্ন হওয়ায় আজ কর ফাঁকি, হাওলার মত ঘটনা বাড়ছে। ভুয়ো নথি ব্যাবহার করে কয়েকটি কমিশন কোটি কোটি টাকা কামাচ্ছে।” আর এত সবের মধ্যেও ই-ওয়ে বিলের সীমা এক লক্ষ টাকা পর্যন্ত বাড়ানো হলেও রাজ্য সরকার শিল্পের জব ওয়ার্কারদের এই ই-ওয়ে বিল তৈরি থেকে রেহাই দিয়েছে বলে জানান রাজ্যের অর্থমন্ত্রী অমিত মিত্র। এদিন পটাশপুরের বিধায়খ জ্যোতির্ময় করের এক প্রশ্নের উত্তরে অমিত মিত্র বলেন, “তড়িঘড়ি চালু করতেই এই সমস্যা তৈরি করেছে কেন্দ্র। নেটওয়ার্কে গোলযোগের কারনেই জিএসটি চালুর আগে যে মজুত পন্য রেখেছিল সংস্থাগুলি সেসবের ভ্যাট বা ইনপুট ট্যাক্স ক্রেডিট নেওয়ার কাজই সারিয়ে উঠতে পারেনি তাঁরা।” সব মিলিয়ে পেট্রোপন্যে জিএসটি এখনই লাগু না করে জিএসটি ইস্যুতে হঠকারী সিদ্ধান্ত নেওয়ায় ফের কেন্দ্রকে কাঠগড়ায় তুললেন রাজ্যের অর্থমন্ত্রী অমিত মিত্র। আপনার মতামত জানান -