এখন পড়ছেন
হোম > রাজ্য > কলকাতা > এবার সিপিএমকে লোক দিয়ে সাহায্য করতে চান দাপুটে তৃণমূল নেতা! চূড়ান্ত বিভ্রান্ত দলীয় কর্মীরা

এবার সিপিএমকে লোক দিয়ে সাহায্য করতে চান দাপুটে তৃণমূল নেতা! চূড়ান্ত বিভ্রান্ত দলীয় কর্মীরা

 

অনেকে বলেন, তৃণমূলের গঠনটাই হয়েছিল বাম বিরোধিতার মধ্যে দিয়ে। 2011 সালের আগে রাজ্যের তৎকালীন শাসক দল বাম সরকারের বিরুদ্ধে বিভিন্ন ইস্যুতে আন্দোলন গড়ে তুলেছিল তারা। পরবর্তীতে 13 মে ঐতিহাসিক রায়ের পর 21 মে 2011, মুখ্যমন্ত্রী পদে শপথ নেন তৃণমূলের মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তারপর থেকে প্রায় বিভিন্ন ক্ষেত্রে বিগত বাম সরকারের বিরুদ্ধে বিষোদগার করতে দেখা গেছে তৃণমূলের নেতা, মন্ত্রীদের।

কিন্তু 2019 এর লোকসভা নির্বাচনে এসে তৃণমূলকে বামেদের কাছে নয়, উল্টে ধাক্কা খেতে হয়েছে বিজেপির কাছে। আর এরপরই নিজেদের গঠনতন্ত্রের বিরোধী থাকা বামেদের ব্যাপারে কিছুটা নরম সুর পোষন করতে দেখা যাচ্ছে তৃনমূলকে। যা নিয়ে এখন নানা মহলে তৈরি হয়েছে নানা বিভ্রান্তি।

বিশেষজ্ঞরা বলছেন, এবারের লোকসভা নির্বাচনে বামের ভোট রামের দিকে যাওয়াতেই বিজেপির উত্থান হয়েছে। আর যার ফলে অনেক আসনেই তৃনমূলকে হেরে যেতে হয়েছে। আর এই পরিস্থিতিতে বামের ভোট যাতে বামেদের দিকেই থাকে, তার জন্য তৃণমূল নেতাদের এই বামপন্থীদের প্রতি দুর্বল মনোভাব দুর্দিনের বামেদের সঙ্গে লড়াই করে আসা তৃণমূল নেতাদের অস্বস্তিকে প্রবলভাবে বাড়িয়ে দিচ্ছে।

কিন্তু তৃণমূলের কোন নেতা সিপিএমের প্রতি সফট কর্নার প্রকাশ করলেন! অন্য কেউ নন! প্রবল বাম বিরোধী নেতা বলে পরিচিত বীরভূম জেলা তৃণমূলের সভাপতি অনুব্রত মণ্ডল।

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

প্রসঙ্গত, লোকসভা নির্বাচনে হারের পর সম্প্রতি বেশ কিছুদিন ধরেই বীরভূম জেলার বিধানসভা ভিত্তিক পর্যালোচনা করছেন জেলা তৃণমূল সভাপতি। সেইমতো রবিবার বিকেলে নলহাটি হরিপ্রসাদ হাইস্কুল প্রাঙ্গণে নলহাটি বিধানসভার বুথভিত্তিক কর্মী সম্মেলন আয়োজিত হয়।

যেখানে বুথ ধরে ধরে কেন এরকম খারাপ ফলাফল হল, তা অঞ্চল সভাপতি এবং বুথ সভাপতিদের কাছে জানতে চান অনুব্রত মণ্ডল। আর অনেক বুথ এবং অঞ্চল সভাপতির কথাতেই উঠে আসে সিপিএমের ভোট বিজেপিতে ট্রান্সফার হয়ে যাওয়ার ঘটনা। আর এরপরই সিপিএমের ব্যাপারে কিছুটা দুর্বল মনোভাব প্রকাশ করতে দেখা যায় অনুব্রত মণ্ডলকে। কিন্তু প্রবল বাম বিরোধী নেতা হিসেবে পরিচিত অনুব্রত বাবু কেন এই ধরনের কাজ করলেন! এখন তা নিয়ে নানা মহলে উঠতে শুরু করেছে প্রশ্ন। তাহলে কি বিজেপির দাপটে এখন তৃণমূলের কাছে বন্ধু হয়ে গেল সিপিএম?

এদিন এই প্রসঙ্গে অনুব্রত মণ্ডল বলেন, “ধর্মীয় মেরুকরণের ফলে পিছিয়ে পড়েছে, সেটা কয়েকজন নেতার কথা। কিন্তু কোনো ধর্মীয় মেরুকরণের ভোট হয়নি। সামনে বিধানসভার আগেই আমরা রিকভারি করে নেব। সিপিএম নেই, দুই একজন আছে। তাদের আমাদের দলে টানার জন্য বলছি। বিধানসভা ভোটে বিজেপি নয়, সিপিএমের সঙ্গে লড়াই হবে। বিজেপি কোনো পার্টি নয়।” কিন্তু একদিকে অনুব্রত মণ্ডল বলছেন, সিপিএম নেই, আবার অন্যদিকে বলছেন, আগামী বিধানসভায় সিপিএমের সাথে লড়াই হবে। এক মুখে দুই কথায় কর্মীরা কোনটা বিশ্বাস করবেন!

আর এরপরই অনুব্রত মণ্ডল বলেন, “দেখে নেবেন, ওদের সঙ্গেই লড়াই হবে। 34 বছরের খেলোয়াড়। ওরা ঠিক ভোট তৈরি করে নেবে। সভা, মিটিংয়ে সিপিএম লোক চাইলে দেব।” কিন্তু একি বললেন অনুব্রত মণ্ডল! সিপিএমের বিরুদ্ধে আপামর লড়াই করে আসলেও এবার সেই সিপিএমের মিটিং, মিছিলে লোক দেওয়ার কথা বলে তিনি কি দলের দুর্দিনের কর্মীদের ভাবাবেগ নিয়ে ছিনিমিনি খেললেন না!

বিশেষজ্ঞরা বলছেন, অনুব্রত মণ্ডলের এই কথায় কর্মীদের মধ্যে বিভ্রান্তি আরও বেড়ে গেল। কেননা বরাবরই তৃণমূল সিপিএম বিরোধী দল বলে পরিচিত। ফলে সেদিক থেকে বিজেপির উত্থানে সিপিএমের প্রতি অনুব্রত মণ্ডলের এই দরদী মনোভাব, দলের অনেক কর্মীকেই ক্ষিপ্ত করে তুলবে বলে দাবি ওয়াকিবহাল মহলের।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!