এখন পড়ছেন
হোম > রাজনীতি > তৃণমূল > মমতা সরকারের চরম ব্যার্থতা! আদালতেই ভরসা জনতার, বিস্ফোরক দাবি বিজেপির!

মমতা সরকারের চরম ব্যার্থতা! আদালতেই ভরসা জনতার, বিস্ফোরক দাবি বিজেপির!


প্রিয়বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট-বর্তমানে পশ্চিমবঙ্গে কি আদৌ কোনো সরকার রয়েছে? যদিও বা থেকে থাকে, তাহলে সেটা নামেই। বাস্তবে তার কোনো অস্তিত্ব রয়েছে বলে বোঝা যাচ্ছে না। অন্তত তেমনটাই দাবি বিরোধী দল ভারতীয় জনতা পার্টির। প্রত্যেকটি বিষয়ে এখন সরকারের কাছে সুবিচার না পেয়ে আদালতে পৌঁছে যাচ্ছেন প্রতিবাদীরা। চাকরিপ্রার্থী থেকে শুরু করে পৌর নিয়োগ, সব ব্যাপারেই আদালতের হস্তক্ষেপে তদন্ত হচ্ছে। যার ফলে এবার সরকারকে চরম বিড়ম্বনায় ফেলে দিলেন বিজেপি নেতা শমীক ভট্টাচার্য। তার মন্তব্যের মধ্যে দিয়ে স্পষ্ট হয়ে গেল যে, এই রাজ্যে নামেই সরকার রয়েছে। কিন্তু সেই সরকার পরিচালিত হচ্ছে হাইকোর্ট থেকে।

প্রসঙ্গত, এদিন এই ব্যাপারে বিজেপি নেতা শমীক ভট্টাচার্যকে একটি প্রশ্ন করা হয়। আর সেই প্রশ্নের উত্তরে তিনি স্পষ্ট জানিয়ে দেন, “এখন রাজ্যে সরকার নামেই রয়েছে। সবটাই চলছে আদালত থেকে। সব ব্যাপারেই আদালতকে হস্তক্ষেপ করতে হচ্ছে। চাকরি প্রার্থীদের বিষয় হোক বা দুর্নীতি ইস্যু, আদালত রাজ্যকে পথ দেখাচ্ছে।” একাংশের বক্তব্য, এটা অত্যন্ত ঠিক কথা। রাজ্য সরকার কোনো ব্যাপারেই সফলতার সঙ্গে কার্যক্রম পালন করতে পারছে না। চাকরি প্রার্থীদের আন্দোলন থেকে শুরু করে নিয়োগ দুর্নীতি, সব ব্যাপারেই আদালত হস্তক্ষেপ করছে। এই সরকারের রন্ধ্রে রন্ধ্রে যে দুর্নীতি জড়িয়ে পড়েছে, তা আজকে দিনের আলোর মত পরিষ্কার হয়ে গিয়েছে। তৃণমূলের একের পর এক বিধায়ক, মন্ত্রীরা জেলে যাচ্ছেন। ফলে মানুষ আজকে আর রাজ্য সরকারের ওপর ভরসা রাখতে পারছে না। তারা সকলেই সুবিচার পেতে আদালতের দ্বারস্থ হচ্ছেন বলেই দাবি বিরোধীদের।

ইতিমধ্যেই গোটা বিষয়ে তৃণমূলকে পাল্টা কটাক্ষ করতে শুরু করেছে বিজেপি। তাদের দাবি, এই সরকার সাধারণ মানুষকে নিরাপত্তা দিতে পারে না। আজকে পুলিশ প্রশাসন বিরোধীদের কণ্ঠরোধ করার জন্য সমস্ত চেষ্টা করে। কিন্তু শেষ পর্যন্ত বিরোধীদেরকেও রাজনৈতিক সভা করতে অনুমতি নিতে হয় আদালতের কাছ থেকে। ফলে একটা জিনিস পষ্ট হয়ে গিয়েছে, এই রাজ্যে শুধুমাত্র ক্ষমতা ভোগ করছেন তৃণমূল নেতারা। কিন্তু কাজের কাজ তারা কিছুই করতে পারছেন না। সব জায়গায় আজকে এই সরকার ব্যর্থ হয়ে গিয়েছে। তাই মানুষ আদালতের দরজায় গিয়ে এই সরকারের যে নির্লজ্জ রূপ, তাও প্রকাশ্য এনে দিচ্ছেন। কিন্তু এরপরেও যদি মুখ্যমন্ত্রী এবং নবান্ন লজ্জিত না হয়, তাহলে রাজ্যের মানুষের আর কিছু করার নেই। আগামী দিন ভোট বাক্সের মধ্যে দিয়েই এই সরকারকে জবাব দেওয়ার জন্য সকলে প্রস্তুত বলেই দাবি গেরুয়া শিবিরের।

পর্যবেক্ষকদের মতে, একের পর এক গুরুত্বপূর্ণ বিষয়ে আদালত হস্তক্ষেপ করার পরেও ঘুম ভাঙছে না এই রাজ্য সরকারের। তারা ভাবছে যে, সব কাজ তো আদালত করেই দিচ্ছে। তাই বারবার আদালতে কানমলা খাওয়ার পরেও তাদের লজ্জা বোধ হচ্ছে না। আর কত ধাক্কা খাওয়ার পর এই সরকারের বিবেক নড়বে, এটাই এখন প্রশ্ন হয়ে দাঁড়িয়েছে সকলের কাছে। অনেকে বলছেন, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এবং তার দলের নেতা-নেত্রীরা বুঝে গিয়েছেন, তাদের শেষের শুরু হয়ে গিয়েছে। তাই এখন রাজ্যটাকে আরও গোল্লায় পাঠিয়ে দিয়ে নিজেরা বসে থেকে আদালতের ওপরেই সবটা ছেড়ে দিয়েছেন কার্যত নামেই এই সরকার রয়েছে। কিন্তু বাস্তবে এদের কোনো অস্তিত্ব নেই। এরা কোন কাজ সঠিকভাবে করতে পারে না। সাধারণ মানুষের পাশে দাঁড়াতে পারে না। তাই এই দায়িত্ব জ্ঞানহীন সরকারের বিরুদ্ধে পদক্ষেপ গ্রহণ করা উচিত বলেও দাবি বিরোধীদের।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!