এখন পড়ছেন
হোম > রাজ্য > কলকাতা > “কোন দল কখনও এমন কাজ করেছে!” দলীয় দুর্নীতি নিয়ে এবার সাফাই পার্থর

“কোন দল কখনও এমন কাজ করেছে!” দলীয় দুর্নীতি নিয়ে এবার সাফাই পার্থর


প্রিয় বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট –তৃণমূল শীর্ষ নেতৃত্বের কাছে এখন সব থেকে বড় বিরম্বনা দলীয় কর্মীদের দুর্নীতি। বারবার ওপরতলা থেকে নির্দেশ দেওয়া সত্ত্বেও কোনোমতেই নিচুতলার জনপ্রতিনিধিরা দুর্নীতি থেকে নিজেদেরকে সরাতে পারছেন না। ফলে বিরোধীরা যেমন তাদের হাতে নতুন অস্ত্র পেয়ে যাচ্ছে, ঠিক তেমনই জনমানসে তৃণমূলের বিরুদ্ধে প্রচার করে শাসকদলের অস্বস্তি বাড়িয়ে দিচ্ছে বিজেপি নেতৃত্ব।

প্রায় প্রতিনিয়ত নতুন নতুন আঙ্গিকে বিজেপির দিলীপ ঘোষ এই ব্যাপারে তৃণমূলকে কড়া ভাষায় আক্রমণ করছেন। তবে তৃণমূলের পক্ষ থেকে দলকে সতর্ক করে এই ব্যাপারে ক্ষান্ত থাকা হয়েছে। সেভাবে দলের কর্মীদের এই দুর্নীতি নিয়ে তেমন কোনো নেতা-নেত্রী প্রকাশ্যে মুখ খোলেননি। তবে অবশেষে তৃণমূল মহাসচিব তথা শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায় এই ব্যাপারে মুখ খুললেন। বস্তুত, সোমবার থেকে তৃণমূলের লাগাতার কর্মসূচি চলবে।

আর তারই প্রস্তুতিতে রবিবার বেহালার শরৎ সদনে নিজের বিধানসভা এলাকার সংগঠকদের নিয়ে একটি বৈঠক করেন রাজ্যের শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়। আর সেখানেই দলের কর্মীদের নিয়ে তিনি বলেন, “বাংলার 80 হাজার বুথ আছে। তার মধ্যে হাজারখানেক বুথে দুর্নীতির ঘটনা ঘটেছে। শুধু তাড়িয়ে দিলেই হবে না। আমরা দেখব কি শাস্তি দিতে হবে। কোন দল কখনও এমন কাজ করেছে! 34 বছরে অডিটই হত না। কেন্দ্র, রাজ্য এমন কেউ ব্যবস্থা নেয়নি।”

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

অর্থাৎ তৃণমূল মহাসচিব একথা বলে সমালোচকদের সমালোচনা কেড়ে নিয়ে বোঝানোর চেষ্টা করলেন যে, একমাত্র দল তৃণমূল কংগ্রেস, যারা রং না দেখে এখন দলের অনেক নেতার বিরুদ্ধেও ব্যবস্থা নিতে শুরু করেছেন। এদিকে এদিন দিলীপ ঘোষের নানা প্রশ্নের উত্তরের জবাব দিতেও দেখা গেছে পার্থ চট্টোপাধ্যায়কে। “বাংলায় আইনের শাসন নেই” বলে সম্প্রতি সরব হয়েছিলেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি।

এদিন সেই প্রসঙ্গে পার্থবাবু বলেন, “বাংলায় যদি আইনের শাসন না থাকে তবে কি উত্তরপ্রদেশে আছে! দীলিপবাবু আগে সেই দিকে তাকান। দীলিপবাবু যে বলেছিলেন, বদল এবং বদলা দুইই নেবেন, সেটা কি চোখে বলেছিলেন! আসলে নিজের কথায় এরা ঢোক গিলছে।” এদিকে বিজেপি দুষ্কৃতীদের প্রশ্রয় দিচ্ছে বলেও এদিন সরব হন শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়। তিনি বলেন, “দিলীপ ঘোষ আগে নিজের দল সামলান। প্রশাসন প্রশাসনের কাজ করছে।

বিজেপি যে দুষ্কৃতীদের আশ্রয় দিয়েছে, তা স্পষ্ট। দিলীপ নিজেই ভাবুন কি বলছেন! করোনা, ভয়াবহ দুর্যোগের পর বাংলা পুনর্গঠনের কাজে বাধা দিতে দিলীপবাবুর দল সক্রিয় হয়েছে।” রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞরা বলছেন, পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের এই মন্তব্য অত্যন্ত তাৎপর্যপূর্ণ।

কেননা এতদিন বিরোধীদের পক্ষ থেকে যেভাবে তৃণমূলের দুর্নীতিকে হাতিয়ার করে ময়দানে নামা হয়েছিল, তাতে ব্যাপক চাপে পড়েছিল তৃণমূল কংগ্রেস। কিন্তু এবার দলের নেতাকর্মীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে বলে পার্থ চট্টোপাধ্যায় যে দাবি করলেন এবং বিজেপির যেভাবে সমালোচনা করলেন, তাতে তৃণমূল-বিজেপি তরজা রাজ্যে অনেকটাই বৃদ্ধি পাবে বলে মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!