এখন পড়ছেন
হোম > রাজ্য > নদীয়া-২৪ পরগনা > বহিস্কৃত হেভিওয়েট নেতা যোগ দিলেন তৃণমূলে! শাসকদলের অন্দরেই উঠছে প্রশ্ন !

বহিস্কৃত হেভিওয়েট নেতা যোগ দিলেন তৃণমূলে! শাসকদলের অন্দরেই উঠছে প্রশ্ন !


প্রিয় বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট –ভয়াবহ দুর্যোগের পর ক্ষতিপূরণের টাকা আত্মসাৎ করা নিয়ে রাজ্যে সব থেকে বেশি অভিযোগ উঠেছে তৃণমূলের নানা জনপ্রতিনিধিদের বিরুদ্ধে। পরিস্থিতি আঁচ করে শাসকদলের পক্ষ থেকে সেই সমস্ত দুর্নীতিগ্রস্ত নেতাদের শোকজ করা হচ্ছে। দেওয়া হচ্ছে শাস্তির বিধান। তবে বিরোধীদের পক্ষ থেকে এই ঘটনার পরেও যখন তৃণমূলের দুর্নীতি নিয়ে তাদেরকে চেপে ধরা হচ্ছে, ঠিক তখনই তৃণমূলের পক্ষ থেকে দাবি করা হচ্ছে যে, তারা যে সমস্ত নেতাকে বরখাস্ত করছেন, তাদেরকে স্বাগত জানাচ্ছে বিরোধী দল বিজেপি।

কিন্তু ঘাসফুল শিবির এই অভিযোগ করলেও, এবার তাদের দিকেই এই ব্যাপারে পাল্টা অভিযোগ আসতে শুরু করল। দুর্নীতির অভিযোগে সম্প্রতি কংগ্রেস থেকে বহিস্কৃত হয়েছিলেন বাদুড়িয়ার আটুরিয়া পঞ্চায়েতের সদস্য আনারুল সরদার। যে তৃণমূল বিরোধীদের উদ্দেশ্যে দুর্নীতিগ্রস্ত নেতাদের দলে নেওয়া নিয়ে প্রশ্ন তুলছে, এবার সেই তৃণমূলকেই কংগ্রেস থেকে বহিস্কৃত এই দুর্নীতিগ্রস্ত নেতাকে দলে গ্রহণ করতে দেখা গেল। যার ফলে এবার বিরোধীদের তরফ থেকে তৃণমূলের বিরুদ্ধে উঠতে শুরু করেছে প্রশ্ন।

সূত্রের খবর, এদিন আনারুল সর্দার তৃণমূল কংগ্রেসে যোগদান করলে আর তাকে মালা পরিয়ে তৃণমূলের স্বাগত জানান তৃণমূলের নেতাকর্মীরা। আর এই ঘটনা তুলে ধরে এখন শাসক শিবিরকে কটাক্ষ করতে শুরু করেছে কংগ্রে। এদিন এই প্রসঙ্গে কংগ্রেস বিধায়ক আব্দুর রহিম দিলু বলেন, “দুর্নীতির অভিযোগে আমরা যাকে বহিষ্কার করলাম, তাদেরই গলায় মালা পরিয়ে বুকে টেনে নিচ্ছে তৃণমূল। ওদের দলে যে কোনো নীতি, আদর্শ অবশিষ্ট নেই, তা এই ঘটনা থেকেই প্রমাণ হয়ে গেল।” সত্যিই তো তাই! যেখানে তারা এত বেশি প্রশ্ন তুলছেন, দুর্নীতিগ্রস্ত নেতাদের দলে গ্রহণ করছে বিরোধীরা বলে সরব হচ্ছেন, সেখানে সেই তৃণমূলই কংগ্রেস থেকে বহিস্কৃত দুর্নীতিগ্রস্ত নেতাকে কেন দলে নিলেন?

এদিন এই প্রসঙ্গে বাদুড়িয়া ব্লক তৃণমূল সভাপতি কবিদাস সর্দার বলেন, “আমাদের দলের নিয়ম অনুযায়ী কেউ যোগ দিতে চাইলে তাকে রাজ্য নেতৃত্বের কাছে আবেদন করতে হবে। তার ভিত্তিতে মহকুমা পর্যায়ে সেই ব্যক্তির কর্মকাণ্ডের খোঁজখবর নিয়ে জানানোর পরে জেলা নেতৃত্ব যদি যোগ্য মনে করে, তবেই দলে নেওয়া হবে। এক্ষেত্রে আমাদের সম্পূর্ণ অন্ধকারে রেখে ব্লক যুব সভাপতি মিজানুরের উপস্থিতিতে আনারুলের গলায় মালা পরিয়ে দিয়ে তার দপ্তরে তৃণমূলের পতাকা তোলা হয়েছে। বিষয়টি জেলা নেতৃত্বকে জানানো হয়েছে।”

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

অর্থাৎ ব্লক সভাপতির কথাতেই স্পষ্ট যে, তৃণমূলের একাংশকে না জানিয়েই কংগ্রেস থেকে বহিস্কৃত এই নেতাকে দলে নেওয়া হয়েছে। কিন্তু এই ব্যাপারে কি বলছেন ব্লক যুব তৃনমূলের সভাপতি মিজানুর রহমান? এদিন তিনি বলেন, “কংগ্রেসের ব্লক নেতা আনারুল তার দলীয় কার্যালয় তৃণমূল কর্মীদের হাত থেকে তুলে দিয়েছেন। তা দেখতে সকলের সঙ্গে আমিও গিয়েছিলাম। তবে আনারুলকে দলে নেওয়ার বিষয়ে কোনো সিদ্ধান্ত হয়নি। দলের কাছে তিনি তৃণমূলে যোগ দেওয়ার জন্য আবেদন করেছেন।”

কিন্তু মালা পরিয়ে তাকে দলে স্বাগত জানালেন তৃনমূলের কর্মী-সমর্থকরা, আর ব্লক যুব তৃনমূলের সভাপতি কিনা বলছেন যে, তাকে দলে স্বাগত জানানো হয়নি। এ কেমন ঘটনা? যাকে নিয়ে এত কিছু, এদিন সেই কংগ্রেস থেকে বহিস্কৃত নেতা আনারুল ইসলাম অবশ্য বলেন, “কিছুদিন ধরেই আমি কংগ্রেস ছেড়ে তৃণমূলে যোগ দিতে চাইছিলাম। তাই আমার বিরুদ্ধে মিথ্যা অভিযোগ করে তড়িঘড়ি বহিষ্কার করা হল। আমি এখন মন থেকে তৃণমূল হয়ে গিয়েছি।” বিশেষজ্ঞরা বলছেন, গোটা ঘটনায় তৃণমূল নিঃসন্দেহে চাপে পড়েছে।

কেননা এতদিন এই তৃণমূল কংগ্রেসের মুখ থেকেই শোনা যাচ্ছিল, কোনো দুর্নীতিগ্রস্ত নেতাকে তারা আশ্রয় দেবে না। কিন্তু এবার নিজেদের দলের দুর্নীতিগ্রস্ত নেতাকে বরখাস্ত করে তৃণমূল স্বচ্ছতার পরিচয় দিলেও, বিরোধী দল থেকে বহিষ্কৃত হওয়া দুর্নীতির অভিযোগে তাকে যেভাবে তারা দলে স্বাগত জানাল, তাতে তৃণমূলের চাপ ক্রমশ বাড়ছে। তবে পরিস্থিতি বেগতিক জেনে এখন তৃণমূল নেতারা সেই নেতাকে দলে পাকাপাকিভাবে যোগদানের কথা স্বীকার করতেও, কিছুটা কুণ্ঠাবোধ করছেন। সব মিলিয়ে এখন গোটা পরিস্থিতি তৃণমূলের প্রতিকূলে যাওয়ায় অস্বস্তিতে পড়ছে শাসক দল।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!