এখন পড়ছেন
হোম > রাজ্য > কলকাতা > খামোখা মিথ্যা বলে বিভ্রান্তি সৃষ্টি করছেন পার্থবাবু? রাজ্যপাল-শিক্ষামন্ত্রী সংঘাত চরমে

খামোখা মিথ্যা বলে বিভ্রান্তি সৃষ্টি করছেন পার্থবাবু? রাজ্যপাল-শিক্ষামন্ত্রী সংঘাত চরমে


কেশরীনাথ ত্রিপাঠীর পর নতুন রাজ্যপাল হিসেবে জগদীপ ধনকার রাজভবনের কর্তা হওয়ার পরই যত দিন যেতে থাকে, ততই তার সাথে রাজ্যের শিক্ষা বিভাগের মন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের সম্পর্কের অবনতি হতে শুরু করে। অনেকে বলছেন, বিভিন্ন ইস্যুতে সরকারের তরফ থেকে শিক্ষামন্ত্রীর রাজ্যপাল বিরোধী মন্তব্য রাজভবন বনাম নবান্নের সম্পর্কের তিক্ততা দিনকে দিন বাড়িয়ে দিচ্ছে।

এবার ফের রাজ্যের শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের বিরুদ্ধে মিথ্যা বক্তব্য দেওয়ার অভিযোগ তুলল রাজভবন। যা নিয়ে এখন সরগরম রাজ্য রাজনীতি। জানা গেছে, মঙ্গলবার সংস্কৃত বিশ্ববিদ্যালয়ের এক সময়কার উপাচার্য পলা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে বৈঠকে বসেছিলেন রাজ্যের রাজ্যপাল জগদীপ ধনকার। আর সেখানেই একসময় শিক্ষামন্ত্রীর বক্তব্য নিয়ে আলোচনা হতে হতেই এই ব্যাপারে আশ্চর্য হয়ে যান রাজ্যের রাজ্যপাল। কিন্তু কী সেই বক্তব্য! যা নিয়ে শিক্ষামন্ত্রীর প্রতি হতবাক হয়ে গেলেন রাজ্যের সাংবিধানিক প্রধান!

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

বস্তুত, এই বৈঠকে পলা বন্দ্যোপাধ্যায় রাজ্যপালের সঙ্গে আলোচনা করতে করতেই সাংস্কৃত তাকে রাজ্যপাল শোকজ করতে বলেছিলেন বলে শিক্ষামন্ত্রী বিদ্যাসাগরের জন্মবার্ষিকী অনুষ্ঠানে জানিয়েছিলেন বলে জানিয়ে দেন পলা বন্দ্যোপাধ্যায়। আর এই সমস্ত কিছু শুনে হতবাক হয়ে গিয়ে তার বিরুদ্ধে আনা সমস্ত অভিযোগ অস্বীকার করেন রাজ্যের রাজ্যপাল। তিনি স্পষ্ট ভাষায় পলাদেবীকে জানিয়ে দেন, এইরকম কোনো নির্দেশ তার তরফে দেওয়া হয়নি।

পাশাপাশি উপাচার্যের মেয়াদ বৃদ্ধি সংক্রান্ত কোনো ফাইল তার গোচরে আসেনি বলেও জানিয়ে দেন রাজ্যপাল। তবে বিশেষ সূত্র মারফত শিক্ষামন্ত্রীর করা এই মন্তব্যের পরিপ্রেক্ষিতে রাজ্যপাল আশ্চর্য হয়ে গেলেও প্রকাশ্যে এই নিয়ে তার তরফে এখনও কোনো বিবৃতি পাওয়া যায়নি।কেন হঠাৎ রাজ্যপালের নাম ব্যবহার করে পলাদেবীকে শোকজ করতে বলেছিলেন রাজ্যপাল, এমনটা কথা বলেছেন শিক্ষামন্ত্রী! তা নিয়ে ইতিমধ্যেই বিভিন্ন মহলে তৈরি হয়েছে জল্পনা। তাহলে কি তিনি তৎকালীন সংস্কৃত বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যকে শিখন্ডী করে আচার্য তথা রাজ্যপালের ভাবমূর্তি কলঙ্কিত করার চেষ্টা করলেন!

এটাই কি ছিল শিক্ষামন্ত্রীর পরিকল্পনা! সমালোচক মহলের একাংশ এই দাবি করলেও এদিন এই প্রসঙ্গে শিক্ষামন্ত্রীকে ফোন করা হলেও তার সাথে যোগাযোগ করা সম্ভব হয়নি। তবে এই গোটা ঘটনার পেছনে এখন কতটা সত্য রয়েছে আর কতটা মিথ্যা রয়েছে, সেই রহস্য উন্মোচনের দিকেই তাকিয়ে রয়েছেন সকলে। তবে রাজ্যপাল এবং পলা বন্দোপাধ্যায়ের আলোচনায় শিক্ষামন্ত্রীর এরুপ মন্তব্য উঠে আসায় সেই সত্য, মিথ্যা যাচাইয়ের আগে হালকা হলেও যে আরও একবার রাজভবন বনাম নবান্নের মধ্যে দ্বৈরথ সৃষ্টি হতে চলেছে, সেই ব্যাপারে নিশ্চিত ওয়াকিবহাল মহল।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!