এখন পড়ছেন
হোম > বিশেষ খবর > এবার কি ঠান্ডা লড়াই শুরু হয়ে গেল দিলীপ ঘোষ ও মুকুল রায়ের মধ্যে?

এবার কি ঠান্ডা লড়াই শুরু হয়ে গেল দিলীপ ঘোষ ও মুকুল রায়ের মধ্যে?

সদ্য গতকালই তৃণমূল কংগ্রেস ছেড়ে বিজেপিতে যোগদান করেছেন একসময়ের শাসকদলের অঘোষিত দুনম্বর নেতা মুকুল রায়। আর গতকাল এই প্রসঙ্গে বক্তব্য রাখতে গিয়ে বেশ গদগদই শোনায় বিজেপির রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষের গলা। তিনি উপস্থিত সাংবাদিকদের জানান, মুকুলবাবু দলে আসাতে অবশ্যই উপকৃত হবে বিজেপি। এতদিনে বিজেপি সন্তপর্ণে রাজ্যে প্রধান বিরোধী হয়ে উঠেছে, কিন্তু মুকুল রায়ের মত ‘মুখ’ দলে আসাতে বিজেপি এবার রাজ্যের শাসকদল হওয়ার দিকেই টার্গেট করবে।আগামী কয়েকদিনের মধ্যেই শাসকদলে আরো বড় ভাঙন অপেক্ষা করে আছে।
কিন্তু ২৪ ঘন্টা কাটতে না কাটতেই প্রায় ১৮০ ডিগ্রি ঘুরে গেলেন দিলীপবাবু।তিনি জানান মুকুলবাবু দলে আসাতে যাঁরা শাসকদল থেকে বিজেপিতে আসতে দ্বিধাগ্রস্ত ছিলেন, তাঁদের এবার সিদ্ধান্ত নিতে সুবিধা হবে। কিন্তু শাসকদলের ভাঙ্গন মুকুল রায়ের হাত ধরে নয়, বরং তাঁর হাত ধরেই হবে। রাজ্যনেতাদের সম্পূর্ণ অগ্রাহ্য করে মুকুলবাবুর মতো ‘হেভিওয়েট’ নেতার বিজেপিতে অভিষেক হয়েছে দিল্লিতে, কেউ কেউ অতি উৎসাহী হয়ে এখনই আওয়াজ তুলে দিয়েছে বিজেপির পরবর্তী রাজ্য সভাপতির নাম মুকুল রায়। আর তাই কি সেই চাপ অনুভব করে ‘ঠান্ডা’ লড়াই শুরু হয়ে গেল বিজেপির বর্তমান রাজ্য সভাপতির সঙ্গে সদ্য দলে যোগ দেওয়া মুকুল রায়ের? রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞদের অবশ্য একাংশের ধারণা মুকুল রায়কে ‘সেফ গার্ড’ করতেই দিলীপবাবুর এহেন মন্তব্য।প্রথমত এখনই কোনো বড় নেতা তৃণমূল ছেড়ে বিজেপিতে যোগ না দিলে লোকে মুকুলবাবুর দিকে আঙ্গুল তুলতে পারবে না, কেননা ওই বিষয়টি বকলমে মুকুলবাবু নয় সামলাচ্ছেন দিলীপবাবু। দ্বিতীয়ত, যদি শাসকদলের বড় কোনো নেতা যোগ দেনও, তাহলেও তৃণমূল নেতৃত্ত্ব মুকুলবাবুকে ‘গদ্দার’ বলতে পারবেন না বা ‘দল ভাঙ্গানোর’ দোষে দুষ্ট করতে পারবেন না, এক্ষেত্রেও সামনে থেকে ‘খেলবেন’ সেই দিলীপবাবুই।তাই এটি একটি পরিকল্পিত রাজনৈতিক ‘কূটচাল’ বলেই সংশ্লিষ্ট মহলের ধারণা।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!