এখন পড়ছেন
হোম > রাজ্য > কলকাতা > শাসকদলের গোষ্ঠীদ্বন্দ্বে ফের উত্তপ্ত বাসন্তী, বোমাবাজি, গুলিতে আতঙ্কে সাধারণ!

শাসকদলের গোষ্ঠীদ্বন্দ্বে ফের উত্তপ্ত বাসন্তী, বোমাবাজি, গুলিতে আতঙ্কে সাধারণ!

 

মাঝে বেশ কিছুদিন খবরের শিরোনামে উঠে আসতে দেখা যায়নি বাসন্তীকে। রাজনৈতিক মহল থেকে বিশেষজ্ঞরা প্রায় সকলেই আশ্বস্ত হয়েছিল, এবার হয়ত ধীরে ধীরে শান্ত হয়ে যাচ্ছে বাসন্তী। তবে রবিবার ভোর থেকে ফের বোমাবাজির ঘটনায় উত্তপ্ত হতে দেখা গেল এই এলাকাকে। কারণ, সেই শাসকদলের গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব।

জানা গেছে, এদিন কাঠালবেড়িয়া গ্রাম পঞ্চায়েতের শিমুলতলার বাসিন্দা কুতুব মল্লিকের বাড়ি লক্ষ্য করে পরপর পাঁচটি বোমা মারা হয়। আর তাতেই তার ছোট্ট পাঁচ বছরের মেয়ে রুকসানা মল্লিক গুরুতরভাবে জখম হন। ইতিমধ্যেই তাকে ক্যানিং মহকুমা হাসপাতালে ভর্তি করা হলে সেখান থেকে স্থানান্তরিত করা হয় চিত্তরঞ্জন মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল।

আর তারপর তাকে ভর্তি করা হয় এসএসকেএম হাসপাতালে। ইতিমধ্যেই এই ব্যাপারে তৃণমূলের যুব এবং মাদার সংগঠন একে অপরের বিরুদ্ধে অভিযোগ জানাতে শুরু করেছে। যুব সংগঠনের অভিযোগ, মাদার গোষ্ঠীর অনুগতরাই তাদের নেতা কুতুব মল্লিকের বাড়ি লক্ষ্য করে বোমা মেরেছে।

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

অন্যদিকে মাদার তৃণমূল অবশ্য সেই অভিযোগ অস্বীকার করেছে। তাদের পাল্টা দাবি, এর পিছনে যুব বাহিনীরই হাত রয়েছে। সেক্ষেত্রে তৃণমূলের মূল সংগঠনের নেতাদের বক্তব্য, গত শনিবার হাসপাতাল মোড়ে পুলিশকে মারধর এবং গাড়ি ভাংচুরের ঘটনায় অভিযুক্ত ছিল কুতুব মল্লিক। আর সেই ঘটনায় পুলিশ তাকে খুঁজছিল। এই পরিস্থিতিতে গোটা বিষয়টি ঘুড়িয়ে দেওয়ার জন্যই তার বাড়িতে পরিকল্পনামাফিক বোমা মারা হয়েছে এবং তাকে বাঁচানোর চেষ্টা হয়েছে। অন্যদিকে পুলিশের শীর্ষ কর্তাদের মন্তব্যেও তৈরি হয়েছে জল্পনা।

এদিন এই প্রসঙ্গে এক পুলিশ আধিকারিক বলেন, “সাড়ে তিনটা থেকে চারটার মধ্যে বোমা পড়ে। এই সময় ঠান্ডার মধ্যে কোনো শিশুর বাইরে থাকার কথা নয়। তাহলে শিশুটি কিভাবে আহত হল!” অন্যদিকে অনেকে আবার এই প্রশ্নও করতে শুরু করেছেন যে, ঘরের মধ্যে যদি শিশুটি ঘুমিয়ে থাকত, তাহলে সে তো তার মায়ের পাশে শুয়ে ছিল। তাহলে তার মায়ের কোনো আঘাত লাগল না কেন!

তবে গোটা ঘটনা যে পর্যায়ে গিয়েছে তাতে তদন্তকারী থেকে শুরু করে তৃণমূলের দুই গোষ্ঠীর মন্তব্যে তৈরি হয়েছে জল্পনা। ‌তাহলে কি সেই কুতুব মল্লিককে বাঁচানোর জন্যই তৃণমূলের যুব গোষ্ঠী পরিকল্পনামাফিক তার বাড়িতে বোমা ফেলে গোটা বিষয়টি ঘুরিয়ে দিতে চেয়েছে, নাকি এর পিছনে তৃণমূলের মাদার গোষ্ঠীর হাতে রয়েছে! এখন সেই তথ্য অনুসন্ধান করতেই ব্যস্ত সকলে।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!