এখন পড়ছেন
হোম > রাজ্য > কলকাতা > প্রিয় বন্ধুর করা সমীক্ষা আর অমিত শাহকে দেওয়া মুকুল রায়ের রিপোর্ট ‘প্রায়’ মিলে গেল!

প্রিয় বন্ধুর করা সমীক্ষা আর অমিত শাহকে দেওয়া মুকুল রায়ের রিপোর্ট ‘প্রায়’ মিলে গেল!


প্রিয় বন্ধু মিডিয়া এক্সক্লুসিভ – বাংলার পরিবর্তিত রাজনৈতিক সমীকরণ নিয়ে চর্চা করে একদম তৃণমূল স্তরে গিয়ে সমীক্ষা করে দেখে, আমাদের পাঠকদের কাছে রাজ্যের বাস্তব রাজনৈতিক পরিস্থিতি তুলে ধরা আমাদের এক ও একমাত্র লক্ষ্য। আর সেই লক্ষ্যে, বিগত ২০০৯ সাল থেকে আমরা নিরন্তর পরিশ্রম করে চলেছি – বাংলার জনমত সমীক্ষার এক বিজ্ঞানসম্মত ও সর্বজনগ্রাহ্য ‘মেথডোলজি’ প্রতিষ্ঠা করার। প্রথম পাঁচ বছর এই নিয়ে নিরন্তর গবেষণা করার পর – যখন আমরা নিজেদের কাছে স্পষ্ট হয়েছিলাম যে আমরা তৈরী, ঠিক তখনই অর্থাৎ ২০১৪ সাল থেকে আমরা এই নিয়ে ‘পাবলিকলি’ কাজ করতে শুরু করি।

আমাদের অক্লান্ত পরিশ্রম ও গবেষণা যে সেই মেথডোলজি তৈরিতে সঠিক পথেই এগোচ্ছে তা আমাদের করা সেই প্রথম ‘পাবলিক সার্ভে’তেই প্রমান হয়ে যায়। ২০১৪ সালের লোকসভা নির্বাচনে আমাদের দাবি ছিল, বাংলায় তৃণমূল কংগ্রেস ৩৫ টি আসন জিতবে আর বাস্তবে দেখা যায় তৃণমূলের ঝুলিতে গেছে ৩৪ টি আসন। এরপর ২০১৬ সালের কঠিন বিধানসভা নির্বাচনে আমাদের সমীক্ষা বলেছিলো – ক্ষমতায় ফিরছে তৃণমূল। আর আসন সংখ্যা খুব খারাপ হলে ১৮৪ ও খুব ভালো হলে ২১৫ হবে। অনেকেই আমাদের সেই দাবি তখন উড়িয়ে দিলেও – ফলাফল বেরোলে দেখা যায় – তৃণমূল ২১১ আসনে জিতে ক্ষমতায় ফিরেছে।

এরপর ২০১৯-এর লোকসভা নির্বাচনে আমরা যখন বলেছিলাম বাংলায় বিজেপি ১৯ টি আসন জিতবে – তখন অনেকেই অনেক কটূ কথা শুনিয়েছিলেন। কিন্তু, আমরা সততার সঙ্গে করা আমাদের কাজ নিয়ে ‘কনফিডেন্ট’ ছিলাম – আর তাই দেখা গেছে আমাদের সমীক্ষাকে ‘প্রায়’ সত্যি করে বিজেপি জিতেছে ১৮ টি আসন। শুধু তাই নয়, আমরা যে যে আসনে বিজেপি বা তৃণমূল জেতার কথা বলেছিলাম বা যত ‘মার্জিনে’ তাদের জেতার কথা বলেছিলাম – বাস্তবের ফলের সঙ্গে তার ‘প্রায়’ তার হুবহু প্রতিফলন দেখা গেছে। আর তাই, আমাদের কাজের উপর আমাদের পাঠকদের আস্থা আরও বেড়েছে – যার জন্য আমরা তাঁদের কাছে চিরকৃতজ্ঞ।

আর এইসব ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে, আমাদের পাঠকদের অনুরোধে আমরা আগামী বিধানসভা নির্বাচনে বাংলায় কি সাম্ভাব্য ফল হতে পারে, সেই সংক্রান্ত সমীক্ষা নিয়ে এখন থেকেই কাজ করতে শুরু করে দিয়েছি। আমাদের সর্বশেষ করা সমীক্ষা অনুযায়ী, বাংলায় এই মুহূর্তে ভোট হলে তার ফলাফল হতে পারে এইরূপ (প্রিয় বন্ধু মিডিয়া, ২৬ শে জুলাই, ২০১৯ – বিধানসভার ওপিনিয়ন – এই মুহূর্তে ভোট হলে কি হতে পারে বাংলার ২৯৪ আসনের জেলাভিত্তিক চিত্র?) –
বিজেপি – ১৬৬
তৃণমূল – ১১৬
কংগ্রেস – ১২
বামফ্রন্ট – ০
অন্যান্য – ০

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

স্বাভাবিকভাবেই এই সমীক্ষা প্রকাশের পর, একদিকে যেমন আমাদের কাজের প্রশংসা হয়েছে পাঠকমহলে – পাশাপাশিই, একশ্রেণীর পাঠক অকথ্য ভাষায় গালিগালাজও করেছেন। আমাদের সমীক্ষা ঠিক না ভুল তা এই মুহূর্তে প্রমান করার কোনো উপায় আমাদের হাতে নেই – তা প্রমাণিত হবে বিধানসভা ভোট হয়ে গেলে এবং ইভিএম বাক্স খুললে। তবে সেই সময়ের মধ্যে বিভিন্ন রাজনৈতিক সমীকরণ বদলাবে এবং আমরা পর্যায়ক্রমে সেই বদলের সমীকরণকে ধরে, সমীক্ষা তুলে আনব আপনাদের জন্য।

তবে, বিভিন্ন সংবাদমাধ্যমে যে খবর প্রকাশিত হচ্ছে, তাতে আমাদের খবরকে কিছুটা হলেও মান্যতা দিল। বিভিন্ন সংবাদমাধ্যমের খবর অনুযায়ী, গতকাল দিল্লিতে বিজেপির সর্বভারতীয় সভাপতি অমিত শাহ – বাংলার নেতাদের সঙ্গে আলোচনায় বসেন। যেখানে, অন্যতম আলোচ্য বিষয় ছিল – ২০২১-এ বাংলার বিধানসভা নির্বাচন। আর সেই পরিপ্রেক্ষিতে বঙ্গ-বিজেপির অন্যতম শীর্ষনেতা মুকুল রায় অমিত শাহকে এক বিশেষ রিপোর্ট জমা দেন। সেই রিপোর্টে লোকসভায় এগিয়ে থাকা ১২১ টি বিধানসভা আসনের পাশাপাশি আরও ৪৪ টি আসন – অর্থাৎ মোট ১৬৫ টি বিধানসভা আসনের দিকে বিশেষ নজর দিতে কেন্দ্রীয় নেতৃত্ত্বকে অনুরোধ করেন।

যেহেতু রাজনীতিবিদ – তাই একদিকে যেমন মুকুলবাবুর অনুগামী আছে, তেমনই আছে বিরোধীপক্ষ। ফলে তাঁর মতের পক্ষে বা বিপক্ষে বলার মত বহু মানুষই আছেন। তবে মুকুল রায়ের রাজনৈতিক প্রজ্ঞাকে শ্রদ্ধা করেন না এমন রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞ খুঁজে পাওয়া মুশকিল। আর এবার সেই মুকুলবাবুর দেওয়া নিজস্ব রিপোর্ট, তাও আবার দলের সর্বোচ্চ কেন্দ্রীয় নেতৃত্ত্বকে – যা ‘প্রায়’ হুবহু একই সুরে কথা বলছে আমাদের সর্বশেষ সমীক্ষার সঙ্গে। তবে মুকুলবাবুর রিপোর্টের সঙ্গে আমাদের সমীক্ষার একটা ‘বেসিক ডিফারেন্স’ রয়েছে।

মুকুলবাবু তাঁর রিপোর্টে তুলে ধরেছেন লোকসভা নির্বাচনে বিজেপি যে ১২১ টি আসনে এগিয়েছিল ও যে ৪৪ টি আসনে অল্প ব্যবধানে পিছিয়ে ছিল – সেই ১৬৫ টি আসনের কথা। কোন পথে, কোন রণকৌশল সাজালে ওই ১৬৫ টি আসনে বাজিমাত করা যাবে – সেই কথা। অন্যদিকে, আমাদের সমীক্ষায় বিভিন্ন বুথে ঘুরে, সেখানকার মানুষ কি ভাবছেন, সেই তথ্য তুলে এনে – তার সঙ্গে অন্য ‘ফ্যাক্টর ক্যালকুলেট’ করে – এই মূহুর্তে নির্বাচন হলে গোটা বাংলার সমীকরণ কি দাঁড়াতে পারে – তা তুলে আনার প্রচেষ্টা। অর্থাৎ, প্রকৃতিগত দিক দিয়ে দুটি সম্পূর্ণ ভিন্ন বিষয়।

কিন্তু, সংখ্যাতত্ত্বের দিক দিয়ে দেখতে গেলে – মুকুলবাবুর রিপোর্ট বলছে বিজেপির সাম্ভাব্য প্রাথমিক টার্গেট ১৬৫, আর আমাদের সমীক্ষা বলছে বিজেপির সাম্ভাব্য প্রাপ্ত আসন সংখ্যা ১৬৬। ফলে, মুকুলবাবুর মত একজন প্রাজ্ঞ ও প্রথিতযশা রাজনীতিবিদের নিজস্ব রিপোর্ট কার্যত মান্যতা দিল আমাদের মত অতি ক্ষুদ্র সংস্থার আন্তরিক প্রচেষ্টাকে। স্বাভাবিকভাবেই, এই ঘটনা আমাদের আগামীদিনে কাজ করতে আরও উৎসাহ যোগাবে এবং আমরা আমাদের পাঠকদের জন্য সত্য ও সঠিক সমীক্ষা তুলে ধরতে আরও দৃঢ়প্রতিজ্ঞ হব।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!