এখন পড়ছেন
হোম > রাজ্য > কলকাতা > সিএএর বিরুদ্ধে প্রতিবাদ করায় বিরোধীদের “লাশ গোনার” হুমকি দিলীপ ঘোষের, বিতর্ক তুঙ্গে!

সিএএর বিরুদ্ধে প্রতিবাদ করায় বিরোধীদের “লাশ গোনার” হুমকি দিলীপ ঘোষের, বিতর্ক তুঙ্গে!

 

বঙ্গ রাজনীতিতে বরাবরই বিতর্কের কেন্দ্রবিন্দুতে থেকেছেন তিনি। বিরোধী দলের আসন দখল করলেও, শাসকের উদ্দেশ্যে তাঁর হুঁশিয়ারি রীতিমতো নজর কেড়েছে রাজনৈতিক পর্যবেক্ষকদের। সরগরম করে তুলেছিল রাজনীতিকে। তবে বর্তমানে নাগরিকত্ব সংশোধনী ইস্যুতে সেই বিতর্কের কেন্দ্রবিন্দুতে থাকা দিলীপ ঘোষ এবং গোটা ভারতীয় জনতা পার্টি কিছুটা হলেও ব্যাকফুটে রয়েছে।

রাজ্যের শাসক দল তৃণমূল কংগ্রেস ও মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় রাস্তায় নেমে এই ইস্যুর বিরুদ্ধে বিজেপির বেকায়দায় ফেলতে তৎপর হয়ে উঠেছে। আর এই পরিস্থিতিতে এবার সেই বিজেপি বিরোধী দল তৃণমূল কংগ্রেস ও অন্যান্য বিরোধী দলগুলোকে কার্যত বিস্ফোরক হুঁশিয়ারি দিলেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ। সূত্রের খবর, এদিন রাজ্য বিজেপির পক্ষ থেকে একটি বিশেষ বৈঠকের আয়োজন করা হয়।

যেখানে উপস্থিত ছিলেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ, মুকুল রায়, কৈলাস বিজয়বর্গীয় সহ অন্যান্যরা। আর সেই বৈঠকের পরই রীতিমতো বিরোধীদের এনআরসি ইস্যুতে বিরোধিতা করা নিয়ে বিস্ফোরক শব্দ প্রয়োগ করেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি। দিলীপ ঘোষ বলেন, “বিরোধীদের বলছি, সারাদেশে আপনাদের লাশ গুনতে হবে। যেখানে যেখানে আমাদের দলের সরকার আছে, সেখানে আন্দোলনের নামে সমাজবিরোধী মূলক কাজ চলছে। এখন সমাজবিরোধীদের যেভাবে শায়েস্তা করা দরকার, সেভাবেই শায়েস্তা করা হবে।”

আর বঙ্গ বিজেপির রাজ্য সভাপতি তথা বিজেপি সাংসদের এই মন্তব্যে তোলপাড় হয়ে উঠেছে রাজ্য রাজনীতি। একাংশ বলছেন, রাজনীতিতে বিরোধিতা থাকবে। কিন্তু তাই বলে বিরোধী রাজনৈতিক দলগুলোর উদ্দেশ্যে এরুপ হুশিয়ারি কেন! এটা কি গণতন্ত্রের পরিপন্থী নয়! এখন তা নিয়ে উঠতে শুরু করেছে প্রশ্ন।

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

তবে এদিন শুধু এই বিতর্কিত মন্তব্য করাই নয়, নাগরিকত্ব সংশোধনী আইন নিয়ে তৃণমূল কংগ্রেসের বিরোধিতা প্রসঙ্গেও প্রশ্ন তোলেন দিলীপ ঘোষ। তিনি বলেন, “এনআরসি ও সিএএ বিরোধিতায় মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় মিছিল করছেন। কিন্তু যখন এই বিলের ওপর ভোটাভুটি হল, তখন তৃণমূলের আটজন সাংসদ কোথায় ছিলেন! কেন তারা বিল পাসের সময় সংসদে ছিলেন না!

একসময় লোকসভার স্পিকারকে কাগজ ছুড়ে মেরেছিলেন, আর তিনি আজ উল্টোপাল্টা কথা বলছেন। মমতার আসল চরিত্র সকলে প্রকাশ করুন। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বিভেদ সৃষ্টি করেন। আগে ওনার কাছে অটলজি ভালো ছিল আডবানীজী খারাপ ছিল। পরে আডবানীজী ভালো, আর মোদীজি খারাপ। আর এখন মোদী ভালো, অমিত শাহ খারাপ। মুখ্যমন্ত্রীর এই দ্বীচারি রাজনীতি মানুষের কাছে তুলে ধরুন।”

পাশাপাশি ঝাড়খন্ডে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের শপথ গ্রহণে যাওয়া নিয়েও এদিন সরব হন দিলীপ ঘোষ। তিনি বলেন, “কায়দা করে মানুষকে ভুল বুঝিয়ে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় অন্য রাজ্যে গিয়ে টাকা দিয়ে আসছেন। দিদিমণি ট্র্যাক রেকর্ড ভালো নয়। যে সরকারের দিকে দৃষ্টি দেয়, সেই সরকার আর বেশিদিন থাকে না।” তবে দীলিপবাবুর সব কথা রাজনৈতিক কথা হিসেবে ধরা গেলেও, কেন তিনি বিরোধীদের এনআরসি নিয়ে বিরোধিতা করার জন্য লাশ ফেলে দেওয়ার হুঁশিয়ারি দিলেন, তা নিয়ে ইতিমধ্যেই সরব হয়েছে বিভিন্ন মহল।

অনেকেরই প্রশ্ন, যে বিজেপি বাংলায় গণতান্ত্রিক পদ্ধতিতে লড়াইয়ের কথা বলে, সেই বিজেপির সর্বোচ্চ সেনাপতি যদি এইভাবে অশালীন মন্তব্য করেন, তাহলে সেই নেতার সম্পর্কে জনমানসে প্রশ্ন ওঠাই স্বাভাবিক। এখন গোটা পরিস্থিতি কোথায় গিয়ে মোড় নেয়, সেদিকেই নজর থাকবে সকলের।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!