প্রিয় বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট –  করোনা থেকে শুরু করে আমপান, ইয়াস থেকে শুরু করে নানা দুর্যোগ সহ নানা বিষয়ে কেন্দ্রের বিরুদ্ধে সরব হয়েছে রাজ্য সরকার। এক্ষেত্রে কেন্দ্রীয় সরকারকে জনবিরোধী সরকার বলেও আক্রমণ করা হয়েছে রাজ্যের পক্ষ থেকে। আর এবার ভয়াবহ করোনা মহামারী যখন চলছে, তখন করোনা ভাইরাসের ভ্যাকসিন এবং অন্যান্য চিকিৎসা উপর জিএসটি ছাড় না দেওয়ায় কেন্দ্রের বিরুদ্ধে বিস্ফোরক অভিযোগ করলেন রাজ্যের অর্থমন্ত্রী অমিত মিত্র।

অর্থাৎ ভয়াবহ করোনা রোগ নিয়ে যেখানে সকল চিন্তিত, সেখানে অন্যান্য বিষয়ের উপর কর মুকুব করা হলেও, কেন করণা ভাইরাসের ভ্যাকসিন সহ অন্যান্য ওষুধপত্র ক্ষেত্রে তা করা হচ্ছে না, তা নিয়েই প্রশ্ন তুলে দিয়েছেন রাজ্যের অর্থমন্ত্রী। যাকে কেন্দ্র করে যথেষ্ট চাপে পড়ে গিয়েছে কেন্দ্রীয় সরকার বলেই মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা।

বলা বাহুল্য, দীর্ঘদিন ধরেই এই করোনা ভাইরাসের সঙ্গে লড়াই করতে হচ্ছে গোটা দেশকে। বর্তমানে তার দ্বিতীয় ঢেউ আছড়ে পড়েছে। আর এই পরিস্থিতিতে সেই করোনা ভাইরাসের ভ্যাকসিন সহ অন্যান্য ওষুধপত্রের উপর জিএসটি লাগু করা হয়েছে। আর এবার এই গোটা বিষয় নিয়ে কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারামনকে একটি চিঠি দিলেন পশ্চিমবঙ্গের অর্থমন্ত্রী অমিত মিত্র।

যেখানে জিএসটি কাউন্সিলের বৈঠকে জনবিরোধী সিদ্ধান্ত চাপিয়ে দেওয়া হয়েছে বলে সেই চিঠিতে অভিযোগ করেছেন তিনি। পাশাপাশি করোনা ভাইরাস নিয়ে যেখানে সকল চিন্তিত, সেখানে কেন স্পর্শকাতর বিষয়ের উপর জিএসটি চাপিয়ে দেওয়া হচ্ছে, তা নিয়েও প্রশ্ন তুলতে দেখা গেছে পশ্চিমবঙ্গের অর্থমন্ত্রীকে।

বিশ্লেষকরা বলছেন, জিএসটি কাউন্সিলের সদস্য রাজ্যের অর্থমন্ত্রী অমিত মিত্র। সেক্ষেত্রে সমস্ত রাজ্যের মতামত শুনেই জিএসটি কাউন্সিলের তাদের সিদ্ধান্ত গ্রহণ করে। কিন্তু এক্ষেত্রে রাজ্যের কোনো মতামত শোনা হয়নি বলে অভিযোগ করা হয়েছে। করোনা ভাইরাস আসার পরেই আবার নতুন করে ব্ল্যাক ফাঙ্গাস নামে এক রোগের উৎপত্তি হয়েছে। যেখানে এই রোগের জন্য ওষুধপত্র বেশ কিছু ক্ষেত্রে ছাড় দেওয়া হয়েছে।

কিন্তু যে করোনা ভাইরাসের সঙ্গে প্রতিমুহূর্তে লড়াই করতে হচ্ছে দেশকে এবং তার জন্য অর্থনৈতিক মেরুদণ্ড কার্যত ভেঙে যেতে বসেছে, সেখানে কেন জিএসটি লাগু করা হচ্ছে, এখন সেটাই বড় প্রশ্ন অনেকের কাছে। আর সেই প্রশ্ন তুলে ধরেই কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারামনের কাছে অভিযোগ জানিয়ে চিঠি দিলেন রাজ্যের অর্থমন্ত্রী অমিত মিত্র। স্বাভাবিক ভাবেই এই গোটা ঘটনায় কেন্দ্রীয় সরকার যে রাজ্যের অর্থমন্ত্রীর এই বক্তব্যে যথেষ্ট চাপে পড়ে গেল, তা বলার অপেক্ষা রাখে না। সব মিলিয়ে গোটা পরিস্থিতি কোথায় গিয়ে দাঁড়ায়, সেদিকেই নজর থাকবে সকলের।