এখন পড়ছেন
হোম > রাজ্য > কলকাতা > সাংগঠনিকভাবে পিছিয়ে থাকা জেলা নিয়ে নতুন পরিকল্পনা গেরুয়া শিবিরের, জানালেন দিলীপ ঘোষ

সাংগঠনিকভাবে পিছিয়ে থাকা জেলা নিয়ে নতুন পরিকল্পনা গেরুয়া শিবিরের, জানালেন দিলীপ ঘোষ


এবারের লোকসভা নির্বাচনে রাজ্যে ভালো ফল করেছে ভারতীয় জনতা পার্টি। কিন্তু উত্তরবঙ্গের তুলনায় তুলনামূলক ভাবে দক্ষিণবঙ্গের ফলটা অনেকটাই কম। মূলত কলকাতা, 24 পরগনা ইত্যাদি এলাকায় তেমন ভাবে প্রভাব বিস্তার করতে পারেনি ভারতীয় জনতা পার্টির সাংগঠনিক এবং রাজনৈতিক নেতৃত্বরা। ফলে সেই সমস্ত এলাকায় যথেষ্ট সাংগঠনিক দূর্বলতা লক্ষ্য করা যাচ্ছে বঙ্গ বিজেপির।

তাই এবার নিজেদের রণনীতি নতুন করে সাজিয়ে দক্ষিণবঙ্গের ওই বিশেষ এলাকাগুলোতে গেরুয়া সংগঠনকে চাঙ্গা করতে রীতিমতো ঝাঁপিয়ে পড়ল গেরুয়া শিবির। জানা যাচ্ছে, গত মঙ্গলবার কলকাতার ভবানীপুরের মহারাষ্ট্র ভবনে একটি বৈঠকে এই সংক্রান্ত বিষয়ে বিস্তারিত আলোচনা হয়। ওই আলোচনায় দলের রাজ্য সভাপতি কথা মেদিনীপুরের সাংসদ দিলীপ ঘোষ জানিয়েছেন কলকাতা, হাওড়া, দক্ষিণ 24 পরগনা, বীরভূম, মুর্শিদাবাদের মতো কয়েকটি জেলায় সদস্য সংগ্রহ অভিযান ভালো হয়নি। যার প্রভাব পড়েছে দলের সাংগঠনিক নির্বাচনে।

বিজেপির সংবিধান অনুযায়ী, প্রত্যেকটি বুথে সাংগঠনিক নির্বাচনের মাধ্যমে বুথ সভাপতি নির্বাচিত করতে হয়। সেই বুথ সভাপতিরা মন্ডল সভাপতি নির্বাচন করবে এবং মন্ডল সভাপতিরা জেলা সভাপতি নির্বাচন করবেন। কিন্তু উত্তরবঙ্গ রাজ্যের অন্যান্য জায়গায় 95 থেকে 99 শতাংশ বুথে নির্বাচন হয়ে গেলেও দক্ষিণবঙ্গের কিছু ভাগে এখনও পর্যন্ত অনেকবুথেই সাংগঠনিক নির্বাচন পর্যন্ত করতে পারেনি ভারতীয় জনতা পার্টি।

রাজ্য বিজেপির সভাপতির মতে, এই সংগঠনের এই দুর্বলতা কাটানোর জন্য আসছে নভেম্বর মাসের মধ্যে নতুন করে বিজেপির সদস্য সংগ্রহ অভিযান শুরু করা হবে। আর এই সদস্য সংগ্রহ অভিযান মজবুত করার জন্য আরো দুটো প্রক্রিয়া গ্রহণ করা হয়েছে রাজ্যের গেরুয়া শিবিরের তরফ থেকে। সেইখানে দিল্লি থেকে দলের প্রভাবশালী নেতাদেরকে নিয়ে এসে প্রচার প্রক্রিয়ার মাধ্যমে এলাকার মানুষদের মধ্যে তৃণমূল বিরোধী হাওয়া তোলা এবং নিজেদের সাংগঠনিক শক্তি বৃদ্ধি করার মত কাজ করবে ভারতীয় জনতা পার্টি বলে জানা যাচ্ছে।

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

গুরুত্বপূর্ণ এই বৈঠকে রাজ্য নেতাদের পাশাপাশি উপস্থিত ছিলেন বিজেপির সর্বভারতীয় সহ সাধারণ সম্পাদক শিবপ্রকাশ, রাজ্য নেতৃত্বে তরফ থেকে সাধারণ সম্পাদক সহ একাধিক শীর্ষ নেতৃত্বরা। সাংগঠনিক এই সভায় রাজ্য নেতৃত্তের হাত থেকে কিছুটা ভৎসনা শুনতে হয় জেলাস্তরের বিজেপি নেতাদেরকে। দক্ষিণবঙ্গের জেলাগুলিতে আশানুরূপ ভোটের ফল না হওয়া, জেলাজুড়ে কাঙ্খিত সদস্য সংগ্রহ অভিযানে সফলতা না পাওয়া এবং সাংগঠনিক দুর্বলতা নিয়ে এদিনের বৈঠকে সংশ্লিষ্ট জেলার জেলা সভাপতিদেরকে প্রশ্নবানে বিদ্ধ করেন রাজ্য নেতৃত্ব।

আর নতুন নিয়মের মাধ্যমে রীতিমতো জাতীয় নেতৃত্বের তত্ত্বাবধানে সেই সমস্ত জেলার বিজেপি সভাপতিদেরকে কাজ করতে বলা হয়েছে। জানা যাচ্ছে, পরিস্থিতির গভীরতা বুঝতে পেরে ভারতীয় জনতা পার্টির পক্ষ থেকে আগামীদিনে বুথস্তরের নির্বাচন সম্পন্ন হয়ে গেলে জেলার সংগঠনের হাত দেওয়া হবে। কিন্তু নিজেদের হয়ে সাফাই দিতে গিয়ে ওই সমস্ত জেলার একাধিক জেলা সভাপতি জানিয়েছেন, মূলত দুটি কারণে ভিত্তিতে দক্ষিণবঙ্গের ওই বিশেষ অংশগুলিতে নিজেদের ফল খারাপ হয়েছিল।

সংখ্যাগুরু তথা হিন্দু ভোটব্যাঙ্কের রাজনীতি করা ভারতীয় জনতা পার্টির পক্ষে সেই সংশ্লিষ্ট এলাকার সংখ্যালঘু মানুষদের আধিক্য আশানুরূপ ফল করতে দেয়নি। অন্যদিকে আবার রাজ্য তৃণমূল সরকার পুলিশ- প্রশাসনকে কাজে লাগিয়ে এলাকায় নিজেদের সংগঠনকে অনেক বেশি চাঙ্গা করে ফেলেছিল বলে মত সংশ্লিষ্ট নেতাদের। তাই এবারে নিজেদের সর্বশক্তি দিয়ে ঝাঁপিয়ে রাজ্যের সেই সমস্ত এলাকায় নিজেদের সংগঠনকে অনেক বেশি শক্তিশালী করতে মরিয়া হয়ে পড়েছে গেরুয়া শিবির।

অন্যদিকে এই সংক্রান্ত বিষয়ে রাজারহাটের দলীয় চা-চক্রে রাজ্য বিজেপির সভাপতি দিলীপ ঘোষ বলেন, “তৃণমূল সরকারের পতন আসন্ন। প্রশান্ত কিশোরের বিদায় সংবর্ধনা হয়ে গেছে।” তবে দীলিপবাবু যাই বলুক না কেন, উত্তরবঙ্গ থেকে শুরু করে বাঁকুড়া পর্যন্ত বিজেপির ফলাফল ভালো হলেও সংখ্যালঘু অধ্যুষিত এলাকাগুলোতে নিজেদের প্রভাব সেইভাবে বিস্তার করতে পারেনি ভারতীয় জনতা পার্টি। যদিও গোটা ভারতবর্ষের আঙ্গিকে চিরকালই হিন্দুত্বের রাজনীতি করে এসেছে বিজেপি বলে দাবি রাজনৈতিক মহলের।

তবুও বাংলায় নিজেদের ক্ষমতা বৃদ্ধি করতে গেলে তথাকথিত নরেন্দ্র মোদির সবকা সাথ সবকা বিকাশের আশ্রয় নিতে হবে ভারতীয় জনতা পার্টিকে বলে মনে করছেন রাজনৈতিক মহল। ফলে যে সমস্ত এলাকায় বিজেপির ফল অত্যন্ত খারাপ হয়েছে, সেখানে রাজ্য নেতৃত্বের নির্দেশমতো জেলা সভাপতিরা দক্ষ সংগঠনের মধ্যে দিয়ে নিজেদের সাংগঠনিক উন্নতি করতে পারে কিনা, সেদিকে লক্ষ্য থাকবে বিশেষজ্ঞ মহলের

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!