জামাতিদের ‘শিক্ষার অভাব’ সঙ্কট ডেকেছে! তাদের সাথে জঙ্গিদের মতো ব্যবহারের নিদান বিজেপি নেতার জাতীয় May 14, 2020 গোটা বিশ্বের মত ভারতেও করোনার দাপট ক্রমশ বাড়ছে। যেহেতু এখনও এই মারণ ভাইরাসের কোনো প্রতিষেধক সামনে আসে নি, তাই করোনার হাত থেকে রক্ষা পেতে লকডাউনের পথে হেঁটেছিল ভারত। সেই লকডাউন বর্তমানে প্রায় তৃতীয় ধাপ শেষ করে চতুর্থ ধাপের দিকে এগোচ্ছে। কিন্তু লকডাউনের প্রথম পর্যায়েই চরম বিতর্ক শুরু হয়েছিল দিল্লির নিজামুদ্দিনের ঘটনায়। যদিও সকলেই জানিয়েছিলেন, এই কঠিন পরিস্থিতিতে তাবলীগি জামাতদের সেই জমায়েতকে ধর্মীয় রঙ দেওয়া ঠিক হবে না। কিন্তু লকডাউনের এই পর্যায়ে এসেও সেই ঘটনা নিয়ে বিতর্ক একটুও যেন কমছে না। আর এবার সেই বিতর্কের আগুনে ঘি ঢাললেন এক হেভিওয়েট বিজেপি নেতা। সূত্রের খবর, জামাতিদের বিরুদ্ধে মন্তব্য করে এবার বিতর্কে জড়ালেন মুজফফরপুরের বিজেপি নেতা অজয় নিশাদ। আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে। আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে। আপনার মতামত জানান - হেভিওয়েট এই বিজেপি নেতার দাবি, তবলিঘি জামাতদের জন্যই করোনা সংক্রমণের বৃদ্ধি হয়েছে দেশে। আর তাই একজন জঙ্গির সাথে রাষ্ট্র যে আচরণ করে ঠিক তেমন আচরণ জামাতিদের সাথে কেন্দ্রীয় সরকারের করা উচিত বলে মন্তব্য করেন গেরুয়া শিবিরের এই নেতা। অজয় নিশাদ-এর দাবি জামাতিদের “শিক্ষার অভাব”-এর কারণেই দেশের এই সংকটজনক পরিস্থিতি। স্বাভাবিকভাবেই তাঁর এই বিতর্কিত মন্তব্যের পর সমালোচনার ঝড় উঠেছে দেশজুড়ে। প্রসঙ্গত, ঘোষিত তৃতীয় দফার লকডাউনের শেষের দিকে করোনার প্রকোপে বর্তমানে দেশে আক্রান্তের সংখ্যা প্রায় ৭০ হাজার ৭৬৮ জন এবং মৃতের সংখ্যা প্রায় ২,২৯৪ জন। গত ৭ দিনে মহারাষ্ট্রে আক্রান্তের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে প্রায় ৪২ শতাংশ। দেশের করোনা আক্রান্তের প্রায় ৩৮ শতাংশ মহারাষ্ট্রে, এমনটাই জানা গেছে। ঔরঙাবাদকে নতুন করে হটস্পট হিসেবে চিহ্নিত করা হয়েছে। তামিলনাড়ু ও গুজরাটেও বাড়ছে করোনা প্রকোপ। তবে গোটা দেশে সুস্থ হয়ে উঠছে প্রায় ৩১ শতাংশ। কিন্তু বিশেষজ্ঞরা বলছেন, বিজ্ঞানের দয়ায় হয়ত করোনার মত মহামারীর হাত থেকে একদিন রক্ষা পাওয়া যাবে। কিন্তু, যেভাবে ধর্মীয় ভেদাভেদের রাজনৈতিক বান চলছে তার নিস্তার কোথায়? করোনা মহামারী তো কোনো ধর্ম দেখে কাউকে আক্রান্ত করে না। কিন্তু, বর্তমান পরিস্থতিতে এই ধরনের প্ররোচনামূলক কথাবার্তায় যদিও ধর্মীয় অসহিষ্ণুতা বাড়ে তার দায় কে নেবে? আর তাই, সকলেই মনে করছেন, জাতিগত ভেদাভেদ ভুলে, মানবজাতিকে রক্ষা করতে সকলেই এক হয়ে করোনার বিরুদ্ধে লড়বেন। আপনার মতামত জানান -