এখন পড়ছেন
হোম > রাজ্য > কলকাতা > নাগরিকত্ব সংশোধনী আইনের প্রতিবাদে রাজ্যে বিক্ষোভের জন্য মমতাকেই দায়ী করলেন তাঁর প্রাক্তন সৈনিক, জোর চাঞ্চল্য

নাগরিকত্ব সংশোধনী আইনের প্রতিবাদে রাজ্যে বিক্ষোভের জন্য মমতাকেই দায়ী করলেন তাঁর প্রাক্তন সৈনিক, জোর চাঞ্চল্য


 

বিজেপি দলের পক্ষ থেকে নিঃসন্দেহে তৃণমূলের বিরোধীতা হবে, এটাই স্বাভাবিক। কিন্তু যদি তৃণমূলের কোনো প্রাক্তন নেতা বিজেপিতে গিয়ে সেই তৃণমূলের বিরোধিতায় সরব হন, তাহলে তা নিঃসন্দেহে আকর্ষণীয় হয়ে ওঠে রাজনৈতিক মহলের কাছে। বর্তমানে গোটা ভারতবর্ষ নাগরিকত্ব সংশোধনী আইন নিয়ে উত্তপ্ত অবস্থায় রয়েছে।

আর এই আইন প্রতিষ্ঠিত হওয়ার পর থেকেই বাংলার বিভিন্ন প্রান্ত বিক্ষোভের আগুনে জ্বলতে শুরু করেছে। কোথাও ট্রেন পুড়িয়ে দেওয়া, কোথাও বাসে আগুন লাগানো, আবার কোথাও বা পথ অবরোধ করে বিক্ষোভকে চরম আকার দিয়েছেন বিক্ষোভকারীরা। তবে প্রথম থেকেই এই আইনের বিরোধিতা করলেও, সেই বিক্ষোভ যাতে শান্তিপূর্ণ হয়, তার জন্য আহ্বান জানাতে দেখা গেছে রাজ্যের শাসক দল তৃণমূল কংগ্রেসকে।

কিন্তু তা সত্ত্বেও বিক্ষোভকারীরা দমেননি। যার ফলে রাজ্যে লাগাতার জ্বলন্ত বিক্ষোভে কিছুটা হলেও ব্যাকফুটে পরে রাজ্যের শাসক দল তৃণমূল কংগ্রেস। কেননা যে আইনের বিরুদ্ধে বিক্ষোভ হচ্ছে, তা কেন্দ্রীয় সরকারের বিরুদ্ধে। কিন্তু রাজ্যে এহেন জ্বলন্ত বিক্ষোভ রাজ্য প্রশাসনের আইন-শৃঙ্খলার দিকেই বড়সড় প্রশ্ন তুলে দেয়। তাই সেদিক থেকে বিজেপি প্রথম থেকেই এত বড় বিক্ষোভ সত্ত্বেও প্রশাসন নীরব বলে অভিযোগ করতে শুরু করেছিল। আর এবার নাগরিকত্ব সংশোধনী আইনের বিরুদ্ধে রাজ্যে বিক্ষোভের পেছনে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় দায়ী বলে অভিযোগ করলেন প্রাক্তন তৃণমূল সাংসদ তথা বর্তমান বিজেপি সাংসদ সৌমিত্র খাঁ।

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

জানা যায়, শনিবার বিজেপির পক্ষ থেকে কোটাসুরে এই নাগরিকত্ব সংশোধনী আইনের বিপক্ষে যারা বিক্ষোভ চালাচ্ছে, তাদের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ জানাতে একটি সভার আয়োজন করা হয়। আর সেই সভা থেকেই মুখ্যমন্ত্রীকে নিশানা করেন সৌমিত্র খাঁ। তিনি বলেন, “মুখ্যমন্ত্রী নিজেই ভাংচুরের নেত্রী। তাই সমাজে বিভেদ করতে তিনি নিজেই রাজপথে নামছেন। ভাঙচুর চালাচ্ছেন।” পাশাপাশি তৃণমূলের ভাঙ্গন নিয়েও প্রশ্ন তুলেছেন সৌমিত্র খাঁ।

তিনি বলেন, “তৃণমূলের মন্ত্রিসভায় ভাঙ্গন ধরেছে। জানুয়ারি মাসে পূর্ব মেদিনীপুরের এক মন্ত্রী সহ একাধিক বিধায়ক তৃণমূল ছাড়ছেন।” তবে রাজ্যে বিক্ষিপ্ত অশান্তির জন্য মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে সৌমিত্র বাবু দায়ী করলেও, এদিন বিজেপির এই সমাবেশে গেরুয়া শিবিরের কর্মী সমর্থকদের হাতে মোটা লাঠি দেখতে পাওয়ায় তীব্র বিতর্ক তৈরি হয়েছে।

কেন দলের সমাবেশ এইভাবে লাঠি হাতে দেখা গেল বিজেপির নেতা কর্মীদের? এদিন এই প্রসঙ্গে জেলা বিজেপির সভাপতি শ্যামাপদ মন্ডল বলেন, “লাঠি আর দণ্ডের তফাৎ আছে। কর্মীদের ওপর দলীয় পতাকা লাগিয়ে এনেছিলেন। লাঠি হাতে কর্মীরা ঝামেলা করতে চাইলে পুলিশ সামলাতেও পারত না। তাই দন্ড তাদের কাছে বড় কথা নয়। আসলে এটা দেখে তৃণমূল ভয় পেয়ে গিয়েছে।”

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!