এখন পড়ছেন
হোম > রাজ্য > কলকাতা > পুলিশি অত্যাচার চরমে, অধিবেশন শুরুর আগেই উত্তেজনা বিধানসভায়! সোচ্চার বিজেপি!

পুলিশি অত্যাচার চরমে, অধিবেশন শুরুর আগেই উত্তেজনা বিধানসভায়! সোচ্চার বিজেপি!


 

প্রিয়বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট- এই রাজ্যে শাসকের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ করা তো দূরের কথা, কথা বলার অধিকার পর্যন্ত নেই। যদি কেউ আন্দোলন করতে চায়, তাহলে তাকেই পুলিশ দিয়ে কন্ঠরোধ করানোর চেষ্টা হয়। এমনকি শেষ পর্যন্ত জেলে ঢুকিয়ে দেওয়া হয়। কিন্তু যে সমস্যা তৈরি হয়, যেভাবে চাকরি চুরি হয় এই রাজ্যে, তাকে সমাধান করার দিকে নজর থাকে না এই রাজ্যের সরকারের। আজ থেকে রাজ্য বিধানসভার বাজেট অধিবেশন শুরু হচ্ছে। তবে কোনোভাবেই নিজেদের প্রতিবাদ, নিজেদের হাহাকার শাসকের কানে পৌঁছতে না পেরে শেষ পর্যন্ত সেই বিধানসভার সামনে চলে গিয়েছিল এসএলএসটি চাকরি প্রার্থীরা। কিন্তু সেখানে যেভাবে তাদের দমন পীরণ করা হলো, যেভাবে তাদের কন্ঠরোধ করা হলো, তাদেরকে লজ্জায় মুখ ঢাকছে বাংলার সংস্কৃতি প্রেমী সাধারণ মানুষ। অনেকে তো বলছেন, এই রাজ্যের সরকারের একমাত্র হাতিয়ার পুলিশ। আর সেই পুলিশ বাজেট অধিবেশন শুরুর প্রথম দিনেই বিধানসভার সামনে এসে যে কলঙ্কিত ঘটনা ঘটালো, তার জন্য ভবিষ্যতে তাদেরকে মাশুল গুনতে হতে পারে।

প্রসঙ্গত, দীর্ঘদিন থেকেই এসএলএসটির চাকরি প্রার্থীরা নিজেদের চাকরির দাবিতে লড়াই করছেন। কিন্তু সেই দিকে কর্ণপাত করার মত সময় হয়নি এই রাজ্যের সরকারের। বিভিন্ন বৈঠক হয়েছে, বিভিন্ন আলোচনা হয়েছে। কিন্তু আসল সমস্যার সমাধান করতে পারেনি এই রাজ্যের সরকার। আসলে চাকরি দেওয়ার মতো ক্ষমতা এই রাজ্য সরকারের নেই। তারা শুধু টাকার বিনিময়ে চাকরি বিক্রি করেছে জন্যেই আজকে একের পর এক নেতা-মন্ত্রীরা জেলে যাচ্ছেন। গোটা শিক্ষা দপ্তরটাই এখন জেলের মধ্যে রয়েছে। আর এই পরিস্থিতিতে চাকরি পাওয়া যাবে না জানা সত্ত্বেও নিজেদের প্রতিবাদটা এই সরকারের কাছে পৌঁছে দিতে চেয়েছিলেন চাকরি প্রার্থীরা। কিন্তু বিধানসভার সামনে তারা পৌঁছে যেতেই পুলিশ রীতিমতো টেনে হিঁচড়ে তাদেরকে নিজেদের গাড়িতে তুলে যে অসভ্যতা এই চাকরিপ্রার্থীদের সঙ্গে এদিন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের দলদাস পুলিশ করেছে, তা সত্যিই কলঙ্কিত ইতিহাসের পাতায় লেখা থাকবে। যদিও বা পুলিশের পক্ষ থেকেও আরও অনেক জঘন্য কাজ এই রাজ্যের বিরোধী থেকে শুরু করে প্রতিবাদী মানুষদের সঙ্গে করা হয়ে থাকে। তবে শিক্ষিত চাকরিপ্রার্থীদের সঙ্গে, যারা নিজেদের দাবির সঙ্গে একশো শতাংশ সঠিক, তাদের যেভাবে এই পুলিশ অপমান করলো, যেভাবে তাদেরকে হেনস্থা করলো, তাতে ভবিষ্যৎ খুব একটা ভালো হবে না এই দলদাস ফ্যাসিস্ট সরকারের বলেই দাবি একাংশের।

ইতিমধ্যেই গোটা বিষয়ে সোচ্চার হতে শুরু করেছে বিজেপি। তাদের দাবি, এই পুলিশের লজ্জা বলতে কিছু নেই। তাদের মেরুদন্ড আজকে সম্পূর্ণরূপে ভেঙে দিয়েছে তৃণমূল কংগ্রেস। আজকে অপরাধীদের দেখে ভয় টেবিলের তলায় লুকোতে বাধ্য হয় এই পুলিশ। কিন্তু যারা শিক্ষিত চাকরিপ্রার্থী, যারা নিজেদের সঠিক দাবির পক্ষে লড়াই করছেন, তাদেরকে হেনস্থা করতে এরা দুবার ভাবে না। পুলিশ প্রশাসনের নিরপেক্ষ হয়ে কাজ করা উচিত। কিন্তু প্রতিমুহূর্তে দলদাসের যে নমুনা মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় নিজের পুলিশকে দিয়ে দিচ্ছেন, তাতে তার অন্তত মাথায় ঢুকিয়ে নেওয়া উচিত যে, ক্ষমতা চিরকাল কারও কুক্ষিগত থাকে না। শিক্ষিত চাকরি প্রার্থীদের সঙ্গে যে ব্যবহার আজকে এই পুলিশ করলো, তার ফল তাদের ভবিষ্যতে পেতে হবে বলেই দাবি গেরুয়া শিবিরের।

পর্যবেক্ষকদের মতে, বিধানসভা পর্যন্ত চাকরি প্রার্থীদের এই বিক্ষোভ আসতই না, যদি একটু মনোযোগ সহকারে তাদের সঙ্গে কথা বলতেন এই রাজ্যের পুলিশ মন্ত্রী। কিন্তু সেই সময় তার নেই। উৎসব করতে তিনি ব্যস্ত, রাজনীতি করতে ব্যস্ত। তাই শিক্ষিত চাকরিপ্রার্থীদের প্রতিমুহূর্তে অপমান করে তাদের রাগকে বাড়িয়ে দিয়ে এই রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী নিজের পুলিশি ক্ষমতা দেখানোর চেষ্টা করলেন্। আজকে রাজ্য বিধানসভার সামনে এসএলএসটি চাকরি প্রার্থীরা তাদের প্রতিবাদ পৌঁছে দিতেই যে আচরণ তাদের সঙ্গে এই পুলিশ করেছে, তা সত্যিই ন্যাক্কারজনক। সত্যিই এই রাজ্যে বিন্দুমাত্র প্রতিবাদ করার অধিকার যে কারওর নেই, সেটা আরও একবার প্রমাণ করে দিল এই রাজ্যের পুলিশ মন্ত্রীর দলদাস পুলিশ। দিনের শেষে তেমনটাই বলছেন রাজনৈতিক সমালোচকরা।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!