এখন পড়ছেন
হোম > রাজ্য > উত্তরবঙ্গ > দলে ফিরতে চাওয়া নেতা-নেত্রীদের গ্রহণ করার সময় জানিয়ে দিল তৃণমূল, ব্যাপক চাপে বিজেপি!

দলে ফিরতে চাওয়া নেতা-নেত্রীদের গ্রহণ করার সময় জানিয়ে দিল তৃণমূল, ব্যাপক চাপে বিজেপি!


প্রিয় বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট –  বিধানসভা নির্বাচনের আগে গেরুয়া ঝড় যখন রাজ্যে তীব্র আকার ধারণ করেছিল, তখন তৃণমূল থেকে অনেকেই বিজেপিতে যোগদান করতে শুরু করেছিলেন। বিভিন্ন জেলার পাশাপাশি রাজ্যস্তরের শাসকদলের অনেক হেভিওয়েট নেতা, নেত্রীরা ঘাসফুলের গুরুত্বপূর্ণ পদ ছেড়ে যোগদান করেছিলেন গেরুয়া শিবিরে। আর তাদের এই যোগদানের ফলে স্পষ্ট হয়ে গিয়েছিল যে, সেই সমস্ত নেতা নেত্রীরা বুঝে গিয়েছেন, রাজ্যে আর তৃণমূল কংগ্রেস থাকবে না। তাই তারা এখন আগে থেকেই বিজেপির সঙ্গে যোগ দিয়ে রাজ্যে পরিবর্তনের সঙ্গী হতে চাইছেন। কিন্তু ফলাফলের পর জনতার রায়ে স্পষ্ট হয়ে গিয়েছে, রাজ্যে আবারও সরকার গঠন করতে চলেছে তৃণমূল কংগ্রেস।

ইতিমধ্যেই নতুন মন্ত্রিসভা গঠন হয়ে গিয়েছে। কাজ শুরু করে দিয়েছে তৃণমূল কংগ্রেসের সরকার। আর এই পরিস্থিতিতে ভোটের আগে বিজেপিতে যাওয়া তৃণমূলের হেভিওয়েট নেতা-নেত্রীরা আবার নিজেদের প্রাক্তন দলে ফিরতে চেয়ে আবেদন করতে শুরু করেছেন। তবে বর্তমান পরিস্থিতিতে যে সেই সমস্ত নেতা-নেত্রীদের কোনোমতেই দল গ্রহণ করবে না, তা জানিয়ে দিয়েছে তৃণমূল শীর্ষ নেতৃত্ব। আর এই পরিস্থিতিতে রাজ্যস্তরের পাশাপাশি জেলাস্তরেও একসময় দল থেকে বিজেপিতে যোগদানকারী নেতা-নেত্রীরা আবেদন করে দলে ফিরতে চাওয়ার জন্য কার্যত অতিষ্ঠ হয়ে উঠেছেন। জলপাইগুড়ি জেলায় এমনই ছবি সামনে আসতে শুরু করেছে।

তবে রাজ্য নেতৃত্বের নির্দেশ অনুযায়ী, আগামী ছয় মাস যে কোনোভাবেই তারা দলবদলকারী নেতা-নেত্রীদের নিয়ে চিন্তা-ভাবনা করবে না, তা জানিয়ে দিয়েছে জেলা তৃণমূল নেতৃত্ব। অর্থাৎ ছয় মাস পরে তৃণমূল এই ব্যাপারে পদক্ষেপ গ্রহণ করলেও করতে পারে বলে মনে করা হচ্ছে। সেদিক থেকে যারা এখন বিজেপি ছেড়ে তৃণমূলে আসার ব্যাপারে আগ্রহ প্রকাশ করেছেন, তাদের ছয় মাস অপেক্ষা করা ছাড়া আর কোনো উপায় নেই বলেই মনে করছেন একাংশ।

বিশেষ সূত্র মারফত খবর, গোটা জলপাইগুড়ি জেলাজুড়ে 25 জন হেভিওয়েট বিজেপি নেতা এখন তৃণমূলে যোগ দিতে চাইছেন। এক্ষেত্রে বিজেপির পুরনো নেতারা যেমন রয়েছে, তেমনই তৃণমূল থেকে ভোটের আগে বিজেপিতে যোগ দেওয়া নেতা-নেত্রীরাও রয়েছেন বলে খবর। তবে বর্তমান পরিস্থিতিতে দল ক্ষমতায় আসার সাথে সাথেই এই সমস্ত নেতা নেত্রীরা যোগদান করতে চাইলেও, যে তাদের এখন গ্রহণ করা হবে না, তা জানিয়ে দিয়েছে তৃণমূল রাজ্য নেতৃত্ব।

আর রাজ্য নেতৃত্বের সেই পথ অনুসরণ করেই এই ব্যাপারে কঠোর পদক্ষেপ নিয়েছে জেলা তৃণমূল নেতৃত্ব। কেননা ভোটের সময় যে সমস্ত নেতা-কর্মীরা দলের হয়ে পরিশ্রম করেছেন, এক্ষেত্রে ভোটের আগে যারা বিজেপিতে যোগ দিয়েছিলেন, তারা এখন ফিরতে চাইলেও তাদের যদি গ্রহণ করা হয়, তাহলে পুরনো তৃণমূল কর্মীদের মনোবলে আঘাত লাগতে পারে। তাই সেদিকে লক্ষ্য রেখেই তৃণমূল জেলা নেতৃত্বের এই পদক্ষেপ বলে মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা।

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

এদিকে বিজেপি ছেড়ে হেভিওয়েট নেতা নেত্রীরা তৃণমূলে ফিরতে চাওয়ায় কার্যত অস্বস্তিতে পড়ে গিয়েছে ভারতীয় জনতা পার্টি। সামনেই পৌরসভা নির্বাচন। তার আগে যদি এইভাবে তাদের দল ছেড়ে শাসকদলের নাম লেখানোর হিড়িক পড়তে শুরু করে, তাহলে তারা কিভাবে পরবর্তী নির্বাচনগুলোতে লড়াই করবে, এখন তা নিয়ে চিন্তা শুরু হয়ে গিয়েছে গেরুয়া শিবিরের অন্দরমহলে।

এদিন এই প্রসঙ্গে জলপাইগুড়ি জেলা তৃণমূল সভাপতি কৃষ্ণকুমার কল্যাণী বলেন, “রাজ্য নেতৃত্ব পরিষ্কার ভাষায় জানিয়ে দিয়েছে, আগামী ছয় মাস বিজেপি থেকে কাউকে দলে নেওয়া যাবে না। তাছাড়া যাকেই নেওয়া হবে, খুব ভেবেচিন্তে নেওয়া হবে। রাজ্য নেতৃত্বের সম্মতি ছাড়া কিছুই হবে না।” বিশেষজ্ঞরা বলছেন, তৃণমূল অতীত থেকে শিক্ষা নিতে চাইছে। কেননা যারা দলবদল করেন, তারা সুবিধেবাদী বলেই পরিচিত একাংশের কাছে। সেদিক থেকে বর্তমান সময়ে তৃণমূলের সুখের দিনে বিজেপিতে যাওয়া নেতা-নেত্রীরা আবার ফিরে আসতে চেয়ে আবেদন করছেন।

পরবর্তীতে তারা আবার দলের দুর্দিনে দলবদল করবেন না, এই নিশ্চয়তা নেই কারোর কাছে। তাই সেক্ষেত্রে বুঝে শুনে সঠিক ব্যক্তিকে দলে গ্রহণ করার রাস্তায় হাঁটবে তৃণমূল কংগ্রেস। তবে আপাতত 6 মাস পরেই যে এই ব্যাপারে সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হবে, তা জানিয়ে দিয়েছে ঘাসফুল শিবির। তবে যদিও বা ভবিষ্যতে তাদের দলের নেতা-নেত্রীরা তৃণমূলে যোগদান করতে শুরু করেন, তাহলে তারা কিভাবে সেই ভাঙ্গন আটকাবে? এদিন এই প্রসঙ্গে জলপাইগুড়ি জেলা বিজেপির সভাপতি বাপি গোস্বামী বলেন, “যারা মন থেকে বিজেপি করেন, পদ বা অন্য কোনো লোভে রাজনীতি করেন না, তারা বিজেপিতেই থাকবেন।” সব মিলিয়ে গোটা পরিস্থিতি কোথায় গিয়ে দাঁড়ায়, সেদিকেই নজর থাকবে সকলের।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!