এবার কলকাতা হাইকোর্টে মুখবন্ধ খামে জমা পড়ল মৃত বিজেপি কর্মীর ডিএনএ রিপোর্ট, আবারও কি নতুন অস্বস্তি রাজ্য সরকারের? কলকাতা বিশেষ খবর রাজ্য July 27, 2021 প্রিয় বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট – রাজ্যের ভোট পরবর্তী হিংসা নিয়ে দীর্ঘদিন ধরে সরব হয়েছিল গেরুয়া শিবির রাজ্য সরকারের বিরুদ্ধে। এমনকি রাজ্য সরকারের বিরুদ্ধে ভোট-পরবর্তী হিংসা সংক্রান্ত ঘটনায় আইন-শৃঙ্খলার অবনতি নিয়ে মুখ খুলেছিলেন রাজ্যপাল জগদীপ ধনকর। এই অবস্থায় জাতীয় মানবাধিকার কমিশনের রিপোর্ট তীব্র চাঞ্চল্য তৈরি করে রাজ্য রাজনীতিতে। জাতীয় মানবাধিকার কমিশনের পক্ষ থেকে ভোট পরবর্তী হিংসায় রাজ্য সরকারকেই দোষী ঠাওরানো হয়। কার্যত রাজ্যের ভোট পরবর্তী হিংসার ফলে বিজেপি নেতা অভিজিৎ সরকারের মৃত্যু হয়েছিল। আর তাই নিয়েই হৈচৈ শুরু করে গেরুয়া শিবির। মামলা আদালতে গেলে আদালতের নির্দেশ অনুযায়ী দ্বিতীয়বার ময়না তদন্ত হয় অভিজিতের। কিন্তু দ্বিতীয়বার ময়নাতদন্ত করার সময় অভিজিতের দেহ শনাক্ত করা যায়নি বলে পরবর্তীতে তাঁর ডিএনএ পরীক্ষার নির্দেশ দিয়েছিল কলকাতা হাইকোর্টের ভারপ্রাপ্ত প্রধান বিচারপতি রাজেশ বিন্দলের ডিভিশন বেঞ্চ। আর সেই মতো অভিজিৎ সরকারের ডিএনএ রিপোর্ট তৈরি করে মুখ বন্ধ খামে জমা পড়ল কলকাতা হাইকোর্টে। উল্লেখ্য, 2 রা মে ভোটের রেজাল্ট বেরোনোর পর কলকাতা কাঁকুড়গাছিতে ব্যাপক গন্ডগোল হয়। আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে। আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে। আপনার মতামত জানান - আর সেই গন্ডগোলের জেরে মৃত্যু হয় বিজেপি কর্মী অভিজিত সরকারের। অভিজিতের পরিবারের অভিযোগ, তৃণমূলের দুষ্কৃতীরা অভিজিৎকে পিটিয়ে মেরে ফেলে। কলকাতা হাইকোর্ট অভিজিৎ সরকারের ময়না তদন্তের নির্দেশ দেয় দ্বিতীয়বার। কিন্তু অভিজিতের দাদা বিশ্বজিৎ সরকার আদালতে জানান, তাঁরা অভিজিতের মৃতদেহ শনাক্ত করতে পারছেননা। সেক্ষেত্রে মৃতদেহটি অভিজিৎ সরকারেরই কিনা তা নিয়েও তাঁরা নিশ্চিত হতে পারছেন না। তারপরে আদালত নির্দেশ দেয় অভিজিৎ সরকারের ডিএনএ পরীক্ষার। কলকাতা কম্যান্ড হাসপাতালে ওভিজিতের ডিএনএ সংগ্রহ করে নমুনা পাঠানো হয় সিএফএসএল অর্থাৎ সেন্ট্রাল ফরেনসিক সায়েন্স ল্যাবরেটরিতে। সেখানেই নমুনা পরীক্ষা হয়, যার রিপোর্ট জমা পড়েছে আজ। তবে রিপোর্টে কী আছে তা এখনো পর্যন্ত জানা যায়নি। কিন্তু ইতিমধ্যেই এই নিয়ে ব্যাপক চাপানউতোর শুরু হয়েছে। খুব স্বাভাবিকভাবেই অভিজিৎ সরকারের ডিএনএ রিপোর্টে যদি গন্ডগোল থাকে, তাহলে ভোট-পরবর্তী হিংসা সংক্রান্ত ঘটনায় আরো একবার চাপের মুখে পড়তে পারে তৃণমূল সরকার। আপাতত কলকাতা হাইকোর্ট আগামী দিনে কি সিদ্ধান্ত গ্রহণ করে সেটাই দেখার। আপনার মতামত জানান -