এখন পড়ছেন
হোম > রাজনীতি > তৃণমূল > তৃণমূলের শান্তি মিছিল বনাম বিজেপির হল্লাবোল! গেরুয়া নেতা খুনে বদলাচ্ছে অর্জুন-গড়ের সমীকরণ?

তৃণমূলের শান্তি মিছিল বনাম বিজেপির হল্লাবোল! গেরুয়া নেতা খুনে বদলাচ্ছে অর্জুন-গড়ের সমীকরণ?


প্রিয় বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট – ব্যারাকপুর শিল্পাঞ্চলে এখন প্রবল রাজনৈতিক উত্তেজনা। বিজেপি নেতা মনীশ শুক্লার হত্যাকান্ড ঘিরে ইতিমধ্যেই অশান্তির উপক্রম সেখানে। মনীশ শুক্লা হত্যার পর প্রায় দু সপ্তাহ হয়ে গেছে, কিন্তু তাও হত্যাকাণ্ডের রেশ এখনো রয়ে গেছে। বিশেষজ্ঞদের মতে, একুশের বিধানসভা নির্বাচনের আগে এই হত্যা রাজনৈতিক স্তরে অন্য মাত্রা যোগ করেছে। শুধু তাই নয়, এই হত্যা তৃণমূল এবং বিজেপির রাজনৈতিক দ্বন্দ্বকে আরো বেশ কিছুটা উস্কে দিয়েছে বলেই মনে করছে রাজনৈতিক মহলের একাংশ।

এই পরিস্থিতিতে গত বুধবার ব্যারাকপুর এলাকায় তৃণমূল মন্ত্রী ফিরহাদ হাকিমের নেতৃত্বে বিশাল বড় শান্তি মিছিল করে তৃণমূল। আর এবার তৃণমূলকে পাল্টা দিতে গেরুয়া শিবিরের হাল্লাবোল মিছিল। গেরুয়া শিবিরের মিছিলে নেতৃত্ব দিতে প্রস্তুুত দলের সর্বভারতীয় সহ-সভাপতি মুকুল রায়। প্রসঙ্গত, গত 14 অক্টোবর রবিবার রাত আটটা নাগাদ টিটাগড়ে বি টি রোডের উপরে বিজেপি পার্টি অফিসের সামনে এলাকার হেভিওয়েট বিজেপি নেতা মনীশ শুক্লাকে পয়েন্ট ব্ল্যাঙ্ক রেঞ্জে গুলি করে কিছু অজ্ঞাতপরিচয় দুষ্কৃতী।

হত্যা করে দুষ্কৃতীরা এলাকা ছেড়ে চম্পট দেয়। মনীশ শুক্লাকে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হলেও তাঁকে বাঁচানো যায়নি। এই ঘটনায় প্রথম থেকেই বিজেপি তৃণমূলকে দায়ী করে আসছে। ইতিমধ্যে মনীশ খুনের কিনারার দায়িত্ব নিয়েছে রাজ্য গোয়েন্দা দপ্তর। এবং তদন্তে নেমে বেশ কয়েকজন শ্যুটার এবং এক ব্যবসায়ীকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে পুলিশের পক্ষ থেকে। জানা গিয়েছে পুলিশের হাতে ধৃত খুররাম নামক এক ব্যবসায়ীর সঙ্গে মনীশ শুক্লার দীর্ঘদিনের সংঘাত ছিল।

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

অন্যদিকে টিটাগর থানার ঢিলছোড়া দূরত্বে মনীশ শুক্লাকে ভর সন্ধ্যেবেলা গুলি করে হত্যার ঘটনায় প্রশ্ন উঠেছে থানার ভূমিকা নিয়ে। ব্যারাকপুরের বিজেপি সাংসদ অর্জুন সিং দাবি করেছেন, পুলিশের সঙ্গে যোগসাজশ করেই মনীশ শুক্লাকে মারা হয়েছে। যদিও তদন্তকারীদের দাবি, মনীশ শুক্লা্র হত্যাকাণ্ডে কোন রাজনৈতিক যোগ নেই। ব্যক্তিগত আক্রোশ থেকেই মনীশকে খুন হতে হয়েছে। অন্যদিকে মনীশ কিভাবে খুন হয়েছে বা কারা তাঁকে খুন করেছে তদন্ত সূত্রে এখনো সে কথা প্রকাশ্যে না এলেও দুই দলের রাজনৈতিক দ্বন্দ কিন্তু নিশ্চিতভাবে বেড়ে গেছে এলাকায়।

দুই দলই নিজেদের শক্তি প্রদর্শনের লক্ষ্যে অবিচল। অন্যদিকে বিজেপি অভিযোগ করেছে, তৃণমূলের পক্ষ  থেকে ব্যারাকপুরে মনীশ হত্যার ঘটনার সুবাদে যে মিছিল হয়েছিল, তাতে কোন স্থানীয় লোক ছিলনা। কিন্তু বিজেপির মিছিলে এলাকার স্থানীয় লোকেরাই যোগ দেবে আজকের বিজেপির মিছিলে বলে দাবী করা হয়। খুব স্বাভাবিক ভাবেই বোঝা যাচ্ছে, তৃণমূল প্রশাসনের বিরুদ্ধে এই মিছিল থেকে সুর চড়াবেন নেতারা। ব্যারাকপুর পুলিশ কমিশনারেট থেকে সতর্কতামূলক ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে, যাতে কোনরকম অশান্তি না ছড়ায়।

অন্যদিকে মনীশ শুক্লা হত্যা্র ঘটনায় ইতিমধ্যেই সিবিআই তদন্তের দাবি করেছে গেরুয়া শিবির। আপাতত মনীশ শুক্লার হত্যার ঘটনায় শিল্পাঞ্চলের রাজনীতি যে ফের উত্তপ্ত হয়ে উঠেছে তা বলাই বাহুল্য। ক্রমাগত দুই রাজনৈতিক দলের পারস্পরিক দোষারোপের হাত ধরে শুরু হয়েছে নতুন রাজনৈতিক লড়াই। আর এই লড়াই নিঃসন্দেহে একুশের নির্বাচনেরন্যতম ইস্যু হয়ে উঠতে চলেছে বলে মনে করা হচ্ছে। আপাতত এই ঘটনার মোড় এখন কোন দিকে নেয় সে দিকেই লক্ষ্য রাখছে ওয়াকিবহাল মহল।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!