“রাজ্যপালের সিদ্ধান্ত কোনও মতে মানব না!” রাজ্য-রাজনীতিতে ঝড় তুললেন পার্থ চট্টোপাধ্যায় কলকাতা বর্ধমান রাজ্য June 2, 2020 এই ভালো তো এই খারাপ। কিছুদিন সরকারের সঙ্গে রাজ্যপালের সম্পর্ক ভালো থাকলেও, এবার ফের রাজ্যপালের সঙ্গে দ্বন্দ্বে জড়িয়ে পড়লেন রাজ্যের শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়। জানা গেছে, সোমবার বর্ধমান বিশ্ববিদ্যালয়ের সহ-উপাচার্য অধ্যাপক গৌতম চন্দ্রকে নিয়োগ করেছেন আচার্য তথা রাজ্যপাল জগদীপ ধনকর। রাজ্যপালের এই সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধেই বিস্ফোরক মন্তব্য করতে দেখা গেছে রাজ্যের শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়কে। যেখানে রাজ্যপালের এই সিদ্ধান্ত কোনভাবেই মানা হবে না বলে জানিয়ে দিয়েছেন রাজ্যের শিক্ষামন্ত্রী। আর রাজ্যের সাংবিধানিক প্রধানের উদ্দ্যেশ্যে শিক্ষামন্ত্রীর এই মন্তব্যকে কেন্দ্র করে এখন তীব্র শোরগোল সৃষ্টি হয়েছে রাজ্য রাজনীতিতে। বস্তুত, রাজ্যের রাজ্যপালের দায়িত্ব নেওয়ার পর থেকেই বিভিন্ন বিষয় নিয়ে সরকারের সঙ্গে মতানৈক্য সৃষ্টি হতে দেখা গেছে রাজ্যপাল জগদীপ ধনকরের। কখনও আইন-শৃঙ্খলা, আবার কখনও বা রাজ্যের শিক্ষাব্যবস্থা নিয়ে মন্তব্য করে রাজ্য সরকারের অস্বস্তি বাড়িয়ে দিয়েছেন তিনি। তবে সাম্প্রতিক কালে করোনা পরিস্থিতিতে এবং ভয়াবহ দুর্যোগের পরে রাজ্য সরকারের সঙ্গে সমন্বয় রেখে কাজ করতে দেখা গিয়েছিল রাজ্যপাল জগদীপ ধনকরকে। কিন্তু এবার বর্ধমান বিশ্ববিদ্যালয়ের সহ উপাচার্য পদে নিজের পছন্দমত নিয়োগ করায় রাজ্যপালের বিরুদ্ধে রীতিমতো কড়া মন্তব্য করে বসলেন রাজ্যের শিক্ষামন্ত্রী। আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে। আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে। আপনার মতামত জানান - শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায় বলেন, “রাজ্যপাল বিজেপির প্রতিনিধিকে নিয়োগ করেছেন। এই সিদ্ধান্ত কোনমতে মানব না।” শুধু তাই নয়, নবনিযুক্ত দায়িত্বপ্রাপ্ত সহ-উপাচার্য পদের এই ব্যক্তিকে ঢুকতে দেওয়া হবে না বলেও জানিয়ে দিয়েছেন শিক্ষামন্ত্রী। যদিও বা রাজভবনের তরফে শিক্ষামন্ত্রীর বক্তব্যকে সম্পূর্ণরূপে খন্ডন করা হয়েছে। তাদের দাবি, রাজ্যপাল যা করেছেন, তা নিয়ম মেনেই করেছেন। রাজনৈতিক পর্যবেক্ষকরা বলছেন, পরিস্থিতি যে দিকে এগোচ্ছে, তাতে এই বিষয় নিয়ে রাজ্য বনাম রাজ্যপালের সংঘাত চরম আকার ধারণ করতে পারে। বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর আচার্য রাজ্যপাল। সেদিক থেকে রাজ্যপাল এই বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য পদে নিয়োগ করার পরেই যেভাবে রাজ্যের শিক্ষামন্ত্রী “এই সিদ্ধান্ত মানবেন না” বলে জানিয়ে দিলেন, তাতে রাজভবন অসম্মানিত বোধ করছে বলেই দাবি একাংশের। ফলে এই পরিস্থিতিতে রাজ্যপাল শিক্ষামন্ত্রীর এই মন্তব্যের পরিপ্রেক্ষিতে সরকারের অস্বস্তি বাড়িয়ে দিয়ে আবার নতুন কোনো মন্তব্য করেন কিনা এবং তার পরিপ্রেক্ষিতে রাজ্য বনাম রাজ্যপালের সম্পর্ক কোথায় গিয়ে দাঁড়ায়, সেদিকেই নজর থাকবে গোটা রাজনৈতিক মহলের। আপনার মতামত জানান -