আমপান বিধ্বস্ত কলকাতাকে আরও সতেজ করে গড়ে তুলতে বড়সড় পদক্ষেপ ঘোষণা মমতার কলকাতা রাজ্য June 2, 2020 কবি লিখে গিয়েছিলেন, “অন্ধ ভূমিগর্ভ হতে জন্মেছিলে, তুমি বৃক্ষ আদি প্রাণ।” জীবনে বেঁচে থাকার অন্যতম অঙ্গ হিসেবে খাদ্য, বস্ত্র, বাসস্থানকে যদি ধরতে হয়, তাহলে নিশ্চিত করেই বেঁচে থাকার রসদ হিসেবে ধরতে হবে সবুজকে। বিভিন্ন সময় নানা স্বেচ্ছাসেবী সংস্থা থেকে শুরু করে সরকারের পক্ষ থেকে সবুজকে বাঁচাতে নানা উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে।বৃক্ষরোপণ কর্মসূচির মত কর্মসূচির মধ্য দিয়ে সকলের কাছে আবেদন করা হয়েছে, গাছ লাগান প্রাণ বাঁচান। কিন্তু সম্প্রতি রাজ্যের উপর দিয়ে বয়ে গিয়েছে ভয়াবহ ঘূর্ণিঝড় আমপান। যে ঝড়ের দাপটে একের পর এক সবুজ ধ্বংস হয়ে গিয়েছে। উপরে গিয়েছে বহু দামি গাছ। তাই এই পরিস্থিতিতে একের পর এক গাছ ধ্বংস হলেও সবুজকে রক্ষা করতে এবার উদ্যোগ নিল রাজ্য সরকার। যেখানে আগামী 5 জুন বিশ্ব পরিবেশ দিবসকে বেছে নিয়ে বৃক্ষরোপণ কর্মসূচির কথা ঘোষণা করেছে সরকার। সূত্রের খবর, দক্ষিণ কলকাতার একটি পুরনো গাছ রিপ্ল্যান্ট করে এই কর্মসূচির উদ্বোধন করবেন পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। আর তার মধ্যে দিয়েই সবুজ বাচানোর বার্তা দেবেন মুখ্যমন্ত্রী বলে মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা। প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, ভয়াবহ সাইক্লোন আমপানের দাপটে কলকাতার বিভিন্ন এলাকায় বহু গাছ উপড়ে পড়েছে। কলকাতা পৌরসভার পক্ষ থেকে ইতিমধ্যেই নতুন করে গাছ লাগানোর কথা বলা হয়েছে। আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে। আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে। আপনার মতামত জানান - আর এবার পরিবেশ দিবসের দিনকে বেছে নিয়ে হরিশ পার্কের উপরে যাওয়া একটি গাছ রিপ্ল্যান্ট করে সবুজ বাঁচানোর বার্তা দেবেন মুখ্যমন্ত্রী। তবে মুখ্যমন্ত্রী কর্মসূচির সূচনা করে দেওয়ার সাথে সাথেই বিভিন্ন জেলায় গাছ লাগানোর কর্মসূচি শুরু হবে বলে জানা গেছে। অর্থাৎ সবুজ যে আমাদের জীবনের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ মাধ্যম এবং তাকে যে ভালোভাবেই লালন করতে হবে, তা মানুষের কাছে তুলে ধরতেই সরকারের পক্ষ থেকে এই উদ্যোগ। ভয়াবহ দুর্যোগে অনেক গাছ নষ্ট হয়ে যাওয়ায় সবুজ যাতে নতুন করে রক্ষিত হয়, তার জন্যই বিশ্ব পরিবেশ দিবসে সবুজের বার্তা দিতে চাইছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। পরিবেশবিদরা বলছেন, বাংলায় সুন্দরবন ছিল বলে, আমপানের ক্ষয়ক্ষতি অনেক কম হয়েছে। অর্থাৎ গাছ থাকাতেই কার্যত কিছুটা হলেও বেঁচে গেছে বাংলা। নাহলে এই ক্ষতির পরিমান বেড়ে যেত বহুগুন। আর তাই পরিবেশে ভারসাম্য ফিরিয়ে আনতেই মানবিক উদ্যোগ নিতে চান মুখ্যমন্ত্রী বলে মনে করছেন সাধারণ মানুষ। আপনার মতামত জানান -