এখন পড়ছেন
হোম > রাজনীতি > তৃণমূল > অভিষেকের হস্তক্ষেপে পদ দিয়ে শতাব্দীকে শান্ত করা হলেও, অনুব্রতর সঙ্গে দূরত্ব আরও স্পষ্ট?

অভিষেকের হস্তক্ষেপে পদ দিয়ে শতাব্দীকে শান্ত করা হলেও, অনুব্রতর সঙ্গে দূরত্ব আরও স্পষ্ট?


প্রিয় বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট – গত শুক্রবার থেকে স্টার সাংসদ সদস্যকে নিয়ে শুরু হয়েছিল রাজ্য রাজনীতিতে তোলপাড়। প্রায় ধরেই নেওয়া হয়েছিল সাংসদ শতাব্দী রায় তৃণমূল শিবির ছেড়ে এবার পা বাড়াতে চলেছেন। অন্যদিকে গেরুয়া শিবির থেকেও ইঙ্গিত দেওয়া হয়েছিল, শতাব্দী রায় হয়তো তাঁদের দিকেই আসতে চলেছেন। কিন্তু পরিস্থিতি সামলাতে সাথে সাথে আসরে নেমে পড়েন কুনাল ঘোষ, সৌগত রায়। এবং সবশেষে শতাব্দী রায়ের সঙ্গে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের দীর্ঘ বৈঠকের পর সমস্ত দ্বিধাদ্বন্দের শেষ হয় এবং শতাব্দী রায় নিজেই ঘোষণা করেন, তিনি দলে থাকছেন। মূলত, এই দীর্ঘ সময়ের টানাপোড়েনের কারণ যে বীরভূম জেলা সভাপতি অনুব্রত মন্ডলের সঙ্গে তাঁর বেড়ে চলা দূরত্ব, তা আর বুঝতে বাকি থাকেনা।

শতাব্দী রায় দলে থাকার পুরস্কার স্বরূপ তাঁকে ইতিমধ্যেই নতুন রাজ্য সহ-সভাপতি পদও দেওয়া হয়েছে। অন্যদিকে বীরভূমের সাংসদ সদস্য শতাব্দী রায় রবিবার রামপুরহাট শহর থেকে জানিয়ে দিলেন, তারাপীঠ রামপুরহাট উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের সদস্যপদ থেকে তিনি অব্যাহতি চান। বীরভূমের সাংসদ এদিন জানিয়েছেন, তিনি দলের ভালোর জন্যই ফেসবুক পোস্ট করেছিলেন। তবে দল তাঁর অভিমান, অভিযোগকে গুরুত্ব দেওয়ায় তিনি যে যথেষ্ট খুশী সে কথা বলেন। রামপুরহাট শহরে এসে সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে এদিন রাজ্য সহ-সভাপতি শতাব্দী রায় জানিয়েছেন, তিনি মানুষের জন্য কাজ করতে চান। শুধুমাত্র নির্বাচনের সময় ভোট চাওয়া তাঁর উদ্দেশ্য নয়।

তবে সাংসদকে নিয়ে দলীয় কর্মসূচি সংগঠিত করার দায়িত্ব কাদের বলে প্রশ্ন উঠেছে। সেক্ষেত্রে শতাব্দী রায় জানিয়েছেন, তিনি ব্লক সভাপতি কিংবা সহ-সভাপতি ছাড়া যদি মানুষের কাছে যান তাহলে দলের সমালোচনা বাড়বে। তাই সবকিছু সিস্টেমের মধ্যে দিয়েই চলার পক্ষপাতী তিনি। অন্যদিকে শতাব্দী রায়ের বক্তব্যের পরিপ্রেক্ষিতে ক্রমশ স্পষ্ট হয়েছে, বিষ্ণুপুরে অনুব্রত মণ্ডলের সঙ্গে তাঁর দূরত্ব। এদিন অনুব্রত জানিয়েছেন, শতাব্দী চাইলেই বিধানসভা ভোটের প্রচারে আসতে পারেন। পাশাপাশি শতাব্দী পাল্টা জানিয়েছেন, তিনি নিজে একজন স্টার ক্যাম্পেনার। তাই রাজ্যজুড়েই দলের হয়ে প্রচার চালাবেন। সেক্ষেত্রে অনুব্রত কি চাইছেন, বা কি চাইছেন না তা নিয়ে শতাব্দি মাথা ঘামাতে রাজি নন।

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

পাশাপাশি শতাব্দী রায় জানিয়েছেন, অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে তিনি কথা বলেছেন এবং অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় কথা দিয়েছেন সময়ের সঙ্গে সব সমস্যার সমাধান হবে। অন্যদিকে তারাপীঠ রামপুরহাট উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের সদস্যপদ ছাড়ার প্রসঙ্গে তিনি জানিয়েছেন, টিআরডিএ-তে মতামত দেওয়ার কোন জায়গা নেই। আর সে কারণেই তাঁর সিদ্ধান্ত যেখানে গুরুত্ব পায়না। সেখানে আলোচনারও জায়গা নেই। অতএব সেই পদ তিনি আটকে রাখতে চাননা। যদিও তিনি জানিয়েছেন, প্রত্যেকটি মিটিংয়েই তিনি ডাক পান। অন্যদিকে শতাব্দী রায় এ দিন জানান, তিনি রাজ্য সহ-সভাপতি হওয়ার পর বীরভূম জেলার কোন নেতা বা মন্ত্রী তাঁর সঙ্গে দেখা বা ফোনে কথা বলেননি।

এ প্রসঙ্গে রামপুরহাট বিধায়ক তথা কৃষিমন্ত্রী আশিস বন্দোপাধ্যায় জানিয়েছেন, তিনি কলকাতা চলে গিয়েছিলেন বলে দেখা করতে পারেননি বীরভূমের সাংসদের সঙ্গে। পাশাপাশি তিনি জানিয়েছেন, শতাব্দীর কথার গুরুত্ব দেওয়া হয়। তারপরেও তাঁর যদি কোন অভিযোগ থাকে তাহলে উনি লিখে জানালে তা অবশ্যই গুরুত্ব দিয়ে দেখা হবে। একুশের বিধানসভা নির্বাচনের প্রাক্কালে এসে প্রতিটি রাজনৈতিক ভাষ্যকার এককথায় মেনে নিচ্ছেন তৃণমূল শিবিরের অন্যতম বড় সমস্যা দলের অন্তর্দ্বন্দ্ব।

শতাব্দী রায়ের অভিমানের অন্যতম কারণ যে বীরভূমের জেলা সভাপতি অনুব্রত মণ্ডল সে কথা স্পষ্ট হয়ে গেছে এই কদিনে। এই অবস্থায় অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের হস্তক্ষেপে শতাব্দী রায় শান্ত হলেও অনুব্রতর সঙ্গে কিন্তু দূরত্ব ক্রমশ বাড়ছে তাঁর। অনুব্রত মণ্ডলের বিরুদ্ধে ইতিমধ্যেই দলের অনেকেরই ক্ষোভ প্রকাশ পেয়েছে। রাজনৈতিক মহলের অনেকেই মনে করছেন, দিদির কেষ্টাকে যদি এখনও না সাবধান করা হয়, তাহলে শতাব্দীকে আটকানো গেলেও পরবর্তীতে যে বাকিদের আটকানো যাবে তার কিন্তু কোনো নিশ্চয়তা নেই।

 

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!