এখন পড়ছেন
হোম > রাজনীতি > তৃণমূল > শ্যামাপ্রসাদ স্মরণে বিজেপির অনুষ্ঠানে উপস্থিত হেভিওয়েট তৃণমূল বিধায়ক, দলবদলের তীব্র জল্পনা

শ্যামাপ্রসাদ স্মরণে বিজেপির অনুষ্ঠানে উপস্থিত হেভিওয়েট তৃণমূল বিধায়ক, দলবদলের তীব্র জল্পনা


প্রিয় বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট – বর্তমানে এমনিতেই সেয়ানে সেয়ানে টক্কর চলছে বঙ্গ রাজনীতিতে। কোনো দলের হেভিওয়েট নেতাকে বিরোধী দল নিজেদের দিকে টানছে, আবার বিরোধী দলের হেভিওয়েট নেতাকে নিজেদের দিকে টানতে চেষ্টা চালাচ্ছে শাসকদল। আর এই দলবদলের পালায় রীতিমত শোরগোল তৈরি হয়েছে বঙ্গ রাজনীতিতে। বর্তমানে এই টালমাটাল রাজনৈতিক পরিস্থিতিতে বিভিন্ন নেতা-নেত্রীদের বিভিন্ন আচরনের দিকে নজর রাখছে রাজনৈতিক মহল। কোন নেতার বেগতিক আচরণ দেখলেই তাকে নিয়ে তৈরি হয়ে যাচ্ছে জল্পনা।

এবার তীব্র জল্পনা তৈরি হল ইংরেজবাজার পৌরসভার প্রশাসক তথা তৃণমূল বিধায়ক নীহাররঞ্জন ঘোষকে নিয়ে। বলতে দ্বিধা নেই, শ্যামাপ্রসাদ মুখোপাধ্যায় বিজেপির অন্যতম প্রাণপুরুষ। এদিন বিজেপির পক্ষ থেকে শ্যামাপ্রসাদ মুখোপাধ্যায়ের মৃত্যু দিবস উপলক্ষে একটি স্মরণানুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়েছিল মালদহে। আর শ্যামাপ্রসাদ স্কোয়ারে বিজেপি জেলা কমিটির পক্ষ থেকে সেই অনুষ্ঠানে উপস্থিত থাকতে দেখা গেল তৃণমূলের নীহাররঞ্জন ঘোষকে।

যা নিয়ে এখন রাজনৈতিক মহলে তীব্র জল্পনা সৃষ্টি হয়েছে। হঠাৎ বিজেপির অনুষ্ঠানে কেন উপস্থিত থাকলেন নীহার ঘোষ, তা নিয়ে প্রশ্ন তুলতে শুরু করেছে বিভিন্ন মহল। সূত্রের খবর, এদিনের অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন মালদা উত্তরের বিজেপি সাংসদ খগেন মুর্মু, বিজেপির রাজ্য সহ-সভাপতি বিশ্বপ্রিয় রায়চৌধুরী সহ অন্যান্যরা। আর সেখানেই উপস্থিত থেকে জেলা বিজেপি সভাপতির পাশের চেয়ারে বসতে দেখা যায় ইংরেজবাজার পৌরসভার প্রশাসক তথা তৃণমূল বিধায়ক নীহার রঞ্জন ঘোষকে।

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

কেন হঠাৎ শ্যামাপ্রসাদ মুখোপাধ্যায়ের স্মরণ সভায় উপস্থিত হলেন তিনি? যেখানে তৃণমূলের পক্ষ থেকে বিজেপি এবং শ্যামাপ্রসাদ মুখোপাধ্যায়কে বিভিন্ন সময় নানা ঘটনার জন্য দায়ী করা হয়, সেখানে তৃণমূলের বিধায়ক বিজেপির এই অনুষ্ঠানে উপস্থিত হয়ে কি রাজনৈতিক বিতর্ক বাড়িয়ে দিলেন না! এদিন এই প্রসঙ্গে নীহার রঞ্জন ঘোষ বলেন, “শ্যামাপ্রসাদ মুখোপাধ্যায় রাজনীতির সঙ্গে যুক্ত ছিলেন কি না জানা নেই। তাকে বাঙালি হিসেবে শ্রদ্ধা করি।”

নীহারবাবু এদিন আরও জানান, “পুরসভার পক্ষ থেকে সম্মান জানিয়েছি। তখন বিজেপি ছিল না, ছিল জনসঙ্ঘ। শ্যামাপ্রসাদ মুখোপাধ্যায় জনসঙ্ঘের প্রতিষ্ঠাতা ছিলেন।” তবে নীহাররঞ্জন ঘোষ একথা বললেও তার এই উপস্থিতি ঘিরে রাজনৈতিক মহলে ব্যাপক গুঞ্জন তৈরি হয়েছে। অনেকে বলছেন, নীহারবাবু পুরসভার পক্ষ থেকে সম্মান জানানোর কথা বললেও, এত তৃনমূল নেতা আছেন, তারা কেউ তো শ্রদ্ধা নিবেদন করলেন না! সেক্ষেত্রে শুধুমাত্র তিনিই কেন বিজেপির এই অনুষ্ঠানে উপস্থিত হলেন! একাংশের মতে, তৃণমূলে মালদহ জেলায় এখন ব্যাপক গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব শুরু হয়েছে।

সেদিক থেকে হয়ত নীহাররঞ্জন ঘোষ নিজের রাজনৈতিক অবস্থান পরিবর্তনের কথা ভাবছেন। আর তাই তিনি শ্যামাপ্রসাদ মুখোপাধ্যায়ের মৃত্যু দিবসে বিজেপির অনুষ্ঠানে উপস্থিত হয়ে তার দল তৃণমূল কংগ্রেসকে বার্তা দিলেন‌। এখন নীহার রঞ্জন ঘোষের এই উদ্যোগকে ঘিরে তার দলবদলের কোনো আভাস পাওয়া গেল কিনা, তার দিকেই নজর থাকবে রাজনৈতিক মহলের। প্রসঙ্গত, ২০১৬ সালে তিনি বাম-কংগ্রেস সমর্থিত নির্দল প্রার্থী হিসাবে ইংরেজবাজার থেকে কৃষ্ণেন্দু চৌধুরীকে হারিয়ে জয়ী হন ও পরবর্তীকালে তৃণমূল কংগ্রেসে যোগ দেন।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!