এখন পড়ছেন
হোম > রাজনীতি > বামফ্রন্ট > দেরিতে হলেও ফিরছে হুঁশ, ঘুরে দাঁড়াতে মাস্টারস্ট্রোক বামেদের!

দেরিতে হলেও ফিরছে হুঁশ, ঘুরে দাঁড়াতে মাস্টারস্ট্রোক বামেদের!


প্রিয় বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট –  2011 সালে ক্ষমতা থেকে বিদায় নেওয়ার পর দিনকে দিন রাজ্য রাজনীতিতে অপ্রাসঙ্গিক হয়ে যেতে শুরু করেছিল বামফ্রন্ট। এক্ষেত্রে দলের প্রবীণ তন্ত্র মাথাচাড়া দেওয়ার পাশাপাশি কর্মীদের মতামতকে গুরুত্ব না দেওয়া যে তার অন্যতম প্রধান কারণ ছিল, তা ঠিকমত উপলব্ধি করতে পারেনি দলের রাজ্য নেতৃত্ব। আর সেই কারণেই যত সময় গিয়েছে, ততই দেওয়ালে পিঠ ঠেকে গিয়েছে বাম শিবিরের। এমনকি 2016 থেকে 2021 সাল পর্যন্ত রাজ্যে কিছুটা হলেও তারা প্রাসঙ্গিক থাকলেও, 2021 সালের বিধানসভা নির্বাচনে কার্যত শূন্য হয়ে গিয়েছে বামেরা।

আব্বাস সিদ্দিকীর দল এবং কংগ্রেসের সঙ্গে জোট করেও লাভের লাভ হয়নি তাদের। বর্তমানে সেই বাম এবং কংগ্রেসের দখলে থাকা বিরোধী আসন লাভ করেছে ভারতীয় জনতা পার্টি। রাজ্যে প্রধান লড়াই হচ্ছে গেরুয়া শিবির এবং শাসক দল তৃণমূল কংগ্রেসের মধ্যে। সেদিক থেকে ধরাছোঁয়ার বাইরে রয়েছে বাম এবং কংগ্রেস। আর এই পরিস্থিতিতে 34 বছর ধরে রাজ্যের ক্ষমতা নিজেদের হাতে রাখা বামেদের কিছুটা হলেও হুঁশ ফিরতে শুরু করল। 2021 এর বিধানসভা নির্বাচনে ব্যাপক ভরাডুবির পর এবার নিচুতলার কর্মীদের মতামতকে গুরুত্ব দিতে উদ্যত হয়েছে আলিমুদ্দিন স্ট্রিটের নেতা-নেত্রীরা।

আর সেই কারণেই আগামী জুলাই মাসের 4 তারিখ থেকে নীচুতলার কর্মীদের কাছে সদ্য সমাপ্ত বিধানসভা নির্বাচনে ভরাডুবির কারণ ব্যাখ্যা করার উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। অর্থাৎ একদিকে কর্মীদের মন বোঝার চেষ্টা এবং অন্যদিকে যাতে নীচুতলার কর্মীদের সঙ্গে সরাসরি সমন্বয় বজায় থাকে রাজ্যস্তরের নেতা নেত্রীদের এবং তার সঙ্গেই যাতে ঘুরে দাঁড়ানো যায়, তার জন্যই সিপিএমের পক্ষ থেকে এই উদ্যোগ নেওয়া হল বলে মনে করা হচ্ছে।

প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, 2021 এর বিধানসভা নির্বাচনে ব্যাপক ভরাডুবির পর রাজ্য নেতৃত্বের পক্ষ থেকে নানা বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়েছে। বৈঠকে বামেদের অনেক শরিকদল ঠিক কি কারণে এই ভরাডুবি, তা ব্যাখ্যা করেছে। যার জেরে বামেদের বড় শরিক সিপিএমকে নানা প্রশ্নের মুখে পড়তে হয়েছে‌। রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞদের একাংশ বলতে শুরু করেছেন, সিপিএমের সবথেকে বড় ভুল, দলের প্রবীণতন্ত্রকে বেশি গুরুত্ব দেওয়া। এমনকি ক্ষমতা থেকে বিদায় নেওয়ার পর সেভাবে কর্মীদের সঙ্গে সমন্বয় বজায় রাখেনি দল। আর সেই কারণে যত সময় গিয়েছে, ততই সিপিএম ভাঙতে শুরু করেছে।

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

যার জেরে একসময় রাজ্যজুড়ে প্রভাব বিস্তার করা সিপিএমের শূন্য আসন লাভ দেখতে হয়েছে নেতাদের। অর্থাৎ সর্বহারার নেতা বলে নিজেদের পরিচয় দেওয়া সিপিএমের রাজ্য স্তরের নেতারা দিনকে দিন কর্মীদের সঙ্গে যোগাযোগ রাখতে ভুলে যাচ্ছিলেন। আর সেই কারণেই নীচুতলার কর্মীরা দলের ওপর ক্ষুব্ধ হয়ে ভোটবাক্সে তার জবাব দিয়েছেন। যার জেরে কার্যত রাজ্য বিধানসভা থেকে হারিয়ে গিয়েছে বামেরা।

তবে ভবিষ্যতে যাতে এই পরিস্থিতি থেকে ঘুরে দাঁড়ানো যায়, তার জন্য এখন থেকেই পদক্ষেপ গ্রহণ করতে শুরু করল মার্কসবাদী কমিউনিস্ট পার্টি। জানা গেছে, ভার্চুয়ালি আগামী জুলাই মাসের প্রথমে পার্টির নীচুতলার কর্মী-সমর্থকদের সঙ্গে বৈঠক করবেন সিপিএমের রাজ্য সম্পাদক সূর্যকান্ত মিশ্র। যেখানে কর্মীদের অভাব-অভিযোগ শুনবেন তিনি।

পর্যবেক্ষকরা বলছেন, ঠেলায় না পড়লে বিড়াল গাছে ওঠে না। এক্ষেত্রে 34 বছর ধরে রাজ্যের ক্ষমতায় থাকা সিপিএম একটিও আসন না পেয়ে এখন কার্যত কোণঠাসা। কর্মীদের সঙ্গে যোগাযোগের অভাব যে সব থেকে বড় ব্যর্থতার কারণ, তা বুঝতে শুরু করেছে সিপিএমের রাজ্য নেতৃত্ব। আর সেই কারণেই বিন্দুমাত্র সময় নষ্ট না করে এখন কর্মীদের সঙ্গে যোগাযোগ রক্ষা করতে ময়দানে নামতে হচ্ছে সিপিএমের রাজ্য সম্পাদক সূর্যকান্ত মিশ্রকে।

তবে এখন সিপিএমের রাজ্য নেতৃত্ব এই উদ্যোগ নিলেও, তা অনেকটাই দেরি হয়ে গেছে বলে দাবি করছেন একাংশ। তবে ক্ষতে প্রলেপ লাগিয়ে সূর্যকান্ত মিশ্র ভার্চুয়ালি দলের নীচুতলার কর্মী-সমর্থকদের মনোভাব বুঝতে আগামী মাস থেকে নয়া রননীতি শুরু করলেও, তা কতটা কার্যকরী হয়, সেদিকেই নজর থাকবে সকলের।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!