এখন পড়ছেন
হোম > রাজ্য > ফের বাংলার আকাশে দুর্যোগের ঘনঘটা, চিন্তায় ঘুম উড়ছে নবান্নের! জারি সর্তকতা!

ফের বাংলার আকাশে দুর্যোগের ঘনঘটা, চিন্তায় ঘুম উড়ছে নবান্নের! জারি সর্তকতা!


প্রিয় বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট –  একটি দুর্যোগের সঙ্গে মোকাবিলা করার সাথে সাথেই এসে পড়ল আর একটি দুর্যোগ। একদিকে করোনা মহামারী তো রয়েইছে। তার মধ্যেই একের পর এক দুর্যোগে রীতিমত বিপর্যস্ত হয়ে গিয়েছে গোটা পশ্চিমবঙ্গ। কিছুদিন আগেই “ইয়াস” নামক ভয়াবহ ঘূর্ণিঝড়ের দাপট তৈরি হয়েছিল গোটা রাজ্যে। উপকূলবর্তী জেলাগুলোতে ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। যা সামাল দিতে তৎপর রাজ্য প্রশাসন। কিন্তু ইয়াসের ভয়াবহ স্মৃতি কাটতে না কাটতেই পূর্ণিমার ভরা কোটাল চিন্তায় ফেলেছে গোটা রাজ্যকে। যার ফলে সুন্দরবনের মত উপকূলবর্তী এলাকাগুলিতে সাধারণ মানুষ নিরাপদে থাকবেন কিনা, তা নিয়ে প্রশাসনের অন্দরে তৈরি হয়েছে চিন্তা।

প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, “ইয়াস” নামক দুর্যোগের পর এমনিতেই উপকূলবর্তী এলাকাগুলো বিধ্বস্ত হয়ে গিয়েছিল। কিন্তু পূর্ণিমার ভরা কোটাল এবং বর্ষার বৃষ্টির কারণে সুন্দরবনের মানুষের মধ্যে তৈরি হয়েছে আতঙ্ক। ইতিমধ্যেই শুক্রবার সকাল থেকে সুন্দরবনের ছয়টি ব্লকের বিভিন্ন নদীতে জল বাড়তে শুরু করেছে। যার ফলে একমাস কাটতে না কাটতেই প্রকৃতির চরম রোষের মুখে পড়তে হতে পারে সেখানকার সাধারণ মানুষকে।

ইতিমধ্যেই প্রশাসনের পক্ষ থেকে এই ব্যাপারে সর্তকতা জারি করা হয়েছে। অবস্থা যাতে কোনোমতেই আয়ত্তের বাইরে বেরিয়ে না যায়, তার জন্য প্রস্তুত থাকতে বলা হয়েছে বিপর্যয় মোকাবিলা দপ্তরকে। এছাড়াও সাধারণ মানুষকে যাতে নিরাপদ স্থানে নিয়ে আসা যায়, তার জন্য সমস্ত রকম নির্দেশ দিয়েছে প্রশাসন।

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

বিশেষজ্ঞরা বলছেন, 2020 সাল এমনিতেই খুব একটা ভালো যায়নি। করোনা মহামারি এবং তার পরবর্তীতে আমপান নামক দুর্যোগ বহু মানুষের শেষ সম্বলটুকু কেড়ে নিয়েছিল। উপকূলবর্তী এলাকার মানুষদের মধ্যে তৈরি হয়েছিল আতঙ্ক। কিন্তু তার মাঝেই আবার এক বছরের মধ্যেই “ইয়াস” নামক দুর্যোগ আছড়ে পড়ে। যার ফলে ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয় সুন্দরবন, দীঘা সহ উপকূলবর্তী এলাকার সাধারন মানুষদের।

আর এই পরিস্থিতিতে একদিকে পূর্ণিমার ভরা কোটাল এবং অন্যদিকে বর্ষার বৃষ্টিতে নদীগুলো গর্জন শুরু করেছে। আর সেই কারণেই উপকূলবর্তী এলাকার মানুষদের পাশাপাশি চিন্তা বাড়ছে প্রশাসনের। তাই প্রথম থেকেই যাতে কোনোরকম বিপত্তি না হয়, তার জন্য সর্তকতা অবলম্বন করতে শুরু করেছে প্রশাসন। সব মিলিয়ে উপকূলবর্তী এলাকার মানুষদের শেষ সম্বলটুকু বাঁচাতে প্রশাসনের সঙ্গে প্রকৃতির লড়াইয়ে কে জয়ী হয়, সেদিকেই নজর থাকবে সকলের।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!