দুষ্কৃতীদের হাতে লুন্ঠিত রায়গঞ্জের গণতন্ত্র, ‘দেদার ছাপ্পার’ খবর করতে গিয়ে আক্রান্ত সংবাদমাধ্যম উত্তরবঙ্গ রাজ্য April 18, 2019 এবারের লোকসভা নির্বাচনে বাংলার ৪২ টি লোকসভা কেন্দ্রের মধ্যে বোধহয় সবথেকে বেশি আগ্রহ তৈরী হয়েছিল রায়গঞ্জ লোকসভা কেন্দ্র নিয়ে। কেননা সেখানে প্রার্থী হিসাবে দাঁড়িয়েছিলেন চার হেভিওয়েট – তৃণমূল কংগ্রেসের কানাইয়ালাল আগরওয়াল, বিজেপির দেবশ্রী চৌধুরী, সিপিএমের মহম্মদ সেলিম এবং কংগ্রেসের দীপা দাশমুন্সি। ফলে চতুর্মুখি লড়াইয়ে টানটান উত্তেজনার মধ্যে খুব অল্প ব্যবধানে জয় পরাজয় নির্ধারিত হবে বলেই মনে করা হচ্ছিল এই কেন্দ্রে। কিন্তু নির্বাচনের দিন সকাল থেকেই কার্যত দুষ্কৃতীদের দখলে রায়গঞ্জ কেন্দ্র। নির্বাচন কমিশন প্রায় ৮০% বুথে কেন্দ্রীয় বাহিনীর ব্যবস্থা করলেও – সকাল থেকেই রায়গঞ্জের বিভিন্ন এলাকা থেকে দেদার ছাপ্পার খবর। ভোটারদের মেরে, ভোটকেন্দ্র থেকে তাড়িয়ে, বুথ দখল করে – ভোট লুঠেরারা নিজেদের কাজ শুরু করে দিয়েছে। স্থানীয় অধিবাসীদের বক্তব্য, পঞ্চায়েত নির্বাচনে যেভাবে বিরোধী শূন্য করার মরিয়া প্রয়াস দিয়ে গণতন্ত্রকে হত্যা করা হয়েছিল, সেই একইভাবে লোকসভা নির্বাচন প্রক্রিয়াকেও কার্যত প্রহসনে পরিণত করা হচ্ছে। আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে। আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে। আপনার মতামত জানান - এমনকি, গোয়ালপোখর ও হেমতাবাদে দেদার ছাপ্পা ভোট দেওয়ার খবর আসতেই, তা কভার করতে যেতেই সাংবাদিকদের ধরে বেধড়ক পেটানো হয়েছে। কলকাতার এক জনপ্রিয় নিউজ চ্যানেলের সাংবাদিক ও চিত্র সাংবাদিককে মেরে মাথা ফাটিয়ে দেওয়া হয়েছে, ক্যামেরা ভেঙে গুঁড়িয়ে দেওয়া হয়েছে। তাঁদের প্রাথমিক চিকিৎসার জন্য দেখা মেলে নি কোনো রাজ্য পুলিশ বা কেন্দ্রীয় বাহিনীর। কোনোরকমে তাঁদের স্থানীয় হাসপাতালে নিয়ে গিয়ে চিকিৎসার ব্যবস্থা করেন সহকর্মীরাই। ফলে, যেখানে সংবাদমাধ্যম এইভাবে আক্রান্ত, সেখানে সাধারণ মানুষ যখন অভিযোগ করছেন – নির্বাচনের নামে কার্যত প্রহসন হচ্ছে, তার সারবত্তা তো নিশ্চয় থাকে। আর সবথেকে মজার কথা প্রতিটা ক্ষেত্রেই অভিযোগের আঙুল এক বিশেষ রাজনৈতিক দলের দিকে। যেন তেন প্রকারেন জেতার জন্য কার্যত গোয়ালপোখর বা হেমতাবাদের বিস্তৃত এলাকা দখল করে নিয়েছে দুষ্কৃতীরা বলেই সূত্রের খবর। তবে, এই খবর সামনে আসর পরেও নির্বাচন কমিশন কি করছে সেই প্রশ্নটিই সবথেকে বড় হয়ে উঠছে। সবমিলিয়ে দ্বিতীয় দফার ভোট শুরু হতেই – আক্রান্ত, রক্তাক্ত বাংলার গণতন্ত্র। আপনার মতামত জানান -