এখন পড়ছেন
হোম > রাজনীতি > তৃণমূল > সন্দেশখালি নিয়ে সর্বদল বৈঠকের দাবি! হিম্মত হবে না মমতার, বলছে বিরোধীরা !

সন্দেশখালি নিয়ে সর্বদল বৈঠকের দাবি! হিম্মত হবে না মমতার, বলছে বিরোধীরা !


 

প্রিয়বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট- পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় সন্দেশখালি নিয়ে একটি কথাও পর্যন্ত এতদিন বলেননি। কিন্তু আজ আরামবাগ যাওয়ার পথে তিনি আবার বড় বড় গলায় বলেছেন, যাদের বিরুদ্ধে অভিযোগ, তাদের সবাইকেই নাকি গ্রেফতার করা হয়েছে। অথচ উত্তম সর্দার ছাড়া আর কাউকে গ্রেফতার করতে পারেনি এই রাজ্যের অপদার্থ পুলিশ। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় যে আসল অভিযুক্তদের আড়াল করতে চাইছেন, সেই নিয়ে দ্বিমত নিয়ে বিরোধীদের মধ্যে। আর তার মাঝেই বিরোধীদের পক্ষ থেকে আওয়াজ উঠলো সর্বদল বৈঠক করার। যখন এই রাজ্য সরকার যখন মহিলাদের কান্না শুনতে পাচ্ছে না, যখন সন্দেশখালির পরিস্থিতি ক্রমশ আয়ত্তের বাইরে বেরিয়ে যাচ্ছে, তখন তো সরকারের উচিত, সকল রাজনৈতিক দলকে নিয়ে একটি বৈঠকের ডাক দেওয়া। কিন্তু সেটা করার মত ক্ষমতা এই রাজ্যের ফ্যাসিস্ট মুখ্যমন্ত্রীর হবে তো? তা নিয়ে প্রশ্ন তুলতে শুরু করেছেন একাংশ।

প্রসঙ্গত, এদিন এই বিষয় নিয়ে একটি দাবি করেন আইএসএফ বিধায়ক নওশাদ সিদ্দিকী। তিনি বলেন, “সরকার পরিস্থিতি সামলাতে পারছে না। তাই সন্দেশখালির যে উত্তপ্ত পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে, সেটাকে আয়ত্তে আনার জন্য সর্বদল বৈঠকের ডাক দেওয়া উচিত।” অনেকে বলছেন, সন্দেশখালিতে সামান্য বিরোধীরা যেতে চাইছে, সেখানেই তাদের রাস্তায় মাঝপথে বাধা দেওয়া হচ্ছে। সিপিএমের প্রাক্তন বিধায়ক থেকে শুরু করে বিজেপি নেতারা গ্রেফতার হচ্ছেন। ফলে সেখানে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় সর্বদলীয় বৈঠক ডাকবেন, এটা ভাবাটাই তো একটা বড় বোকামো ছাড়া আর কিছু নয়। কারণ দিনের শেষে এই রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী নিজে যেটা ঠিক মনে করবেন, সেটাই ঠিক। তার আইনটাই আইন। বাকি কারওর কথা তিনি শুনবেন না। যার ফলে নিজের ভোটব্যাঙ্ক বাঁচাতে গিয়ে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় মূল অভিযুক্তদের গ্রেপ্তার না করে একটা নাটক করে সেখানকার মহিলাদের রাগ এবং প্রতিবাদকে আরও বাড়িয়ে দিচ্ছেন। যার ফলে তার সরকারের বিরুদ্ধে আগুন জ্বলতে শুরু করেছে। আর সেটা হয়ত তিনি বুঝতে পারছেন। তাই সর্বদলীয় বৈঠক ডেকে বিরোধী নেতাদের মুখোমুখি হওয়ার মত ক্ষমতা এই রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীর নেই বলেই দাবি একাংশের।

ইতিমধ্যেই গোটা বিষয়ে কটাক্ষ করতে শুরু করেছে বিরোধীরা। তাদের দাবি, যদি নিজের গদি বাচাতে চাইতেন, তাহলে সবার সঙ্গে পরামর্শ করতেন এই রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী। কিন্তু তিনি নিজের ভালোটাও হয়ত বুঝতে পারেন না। ক্ষমতার নেশায় তিনি এতটাই মগ্ন যে, সবসময় পুলিশকে সব কাজে ব্যবহার করতে চান। স্বাভাবিকভাবেই যত দমন পীড়ন করা হবে, ততই রাজ্য জুড়ে আন্দোলন বাড়বে। আর সেই আন্দোলনে ধুয়ে মুছে সাফ হয়ে যাবে তৃণমূল বলেই দাবি বিরোধী শিবিরের। পর্যবেক্ষকদের মতে, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এমন একজন রাজনৈতিক ব্যক্তিত্ব, যিনি নিজে যদি একটা মাথায় কিছু ঢুকিয়ে ফেলেন, সেটাই তিনি করে ছাড়বেন। কোনো কোনো সময় প্রশাসকের চেয়ারে বসে গঠনমূলক সমালোচনাকে গ্রহণ করতে হয়।

কিন্তু সেটা করা তো দূরের কথা, উল্টে কি করে বিরোধী শক্তিকে শেষ করে দেওয়া যাবে, কি করে পুলিশকে ব্যবহার করে তার বিরুদ্ধে যে সমস্ত কথা হচ্ছে, সেই ইস্যু গুলোকে ঘুরিয়ে দেওয়া যাবে, সেটাই সব সময় মাথার মধ্যে চলতে থাকে এই রাজ্যের প্রশাসনিক প্রধানের। ফলে পুলিশ যখন সঠিক কাজ করছে না, তখন স্বাভাবিক ভাবেই মানুষের মধ্যে ক্ষোভ বাড়ছে। আর এটার বহিঃপ্রকাশ আগামী দিনে কিভাবে হবে, সেটা সকলে বুঝতে পারলেও এই রাজ্যের প্রশাসনিক প্রধান বুঝতে পারছেন না। যার ফলেই আবার একটা রাজনৈতিক পালা বদলের মুখে দাঁড়িয়ে আছে বাংলা। যদি তিনি সহনশীল হতেন, তাহলে সন্দেশখালির ঘটনা নিয়ে সকলের সঙ্গে আলোচনা করতেন। কিন্তু তা না করে বারবার বিরোধী শক্তিকে দমন করার এই চেষ্টা অত্যন্ত মারাত্মক শাসকের জন্য। দিনের শেষে তেমনটাই বলছেন রাজনৈতিক সমালোচকরা।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!