এখন পড়ছেন
হোম > রাজনীতি > তৃণমূল > রাজ্যের নেতা শুভেন্দুই, হাসপাতাল থেকে বেরিয়েই বড় বার্তা মিঠুনের!

রাজ্যের নেতা শুভেন্দুই, হাসপাতাল থেকে বেরিয়েই বড় বার্তা মিঠুনের!


 

প্রিয়বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট- ২০২১ সালের পর থেকেই প্রমাণ হয়ে গিয়েছে যে, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের বিরুদ্ধে চোখে চোখ রেখে যদি কেউ পশ্চিমবঙ্গের বুকে লড়াই করতে পারে, তাহলে তার নাম শুভেন্দু অধিকারী। সন্দেশখালি ইস্যুতে এই রাজ্যের সরকার সেই শুভেন্দু অধিকারীর নেতৃত্বে বিরোধী দলের বিধায়কদের বাস মাঝপথেই আটকে দিয়েছে। কিন্তু শুভেন্দু অধিকারীও ছেড়ে দেওয়ার পাত্র নয়। বাসের মধ্যে বসে থেকেই এই সরকার এবং পুলিশ প্রশাসনের বিরুদ্ধে স্লোগান দিতে দেখা যাচ্ছে তাকে। আর এই পরিস্থিতিতে বেশ কিছুদিন হাসপাতালে থাকা মিঠুন চক্রবর্তী আজ ছাড়া পেয়েই সাংবাদিকদের প্রশ্নের উত্তরে এমন কথা বললেন, যার ফলে গোটা রাজ্যে শুভেন্দু অধিকারীর যারা অনুগামী, তারা প্রবল ভাবে উচ্ছ্বসিত। মিঠুন চক্রবর্তীর মত মানুষ, তিনিও বুঝতে পেরেছেন যে, শুভেন্দু অধিকারীই এই রাজ্যের একমাত্র নেতা, যিনি এই সরকারের বিরুদ্ধে সঠিক লড়াইটা করছেন। তাই আজ হাসপাতাল থেকে ছাড়া পেয়েই বড় বার্তা দিলেন মহাগুরু। কিন্তু কি এমন বললেন তিনি?

প্রসঙ্গত, আজ হাসপাতাল থেকে ছাড়া হয় মহাগুরু মিঠুন চক্রবর্তীকে। আর তারপরেই তার সুস্থতা নিয়ে প্রশ্ন করার পাশাপাশি রাজ্য রাজনীতিতে যা চলছে, সেই বিষয় নিয়েও তাকে প্রশ্ন করা হয়। প্রশ্ন করা হয় যে, শুভেন্দু অধিকারী সহ বিরোধী বিধায়কদের মাঝপথে আটকে দেওয়া হয়েছে, এই নিয়ে আপনি কি বলবেন? আর সেই প্রশ্নের উত্তর দিতে গিয়ে মিঠুন চক্রবর্তী বলেন, “ওকে আটকে কোনো লাভ হবে না। আজকে হয়ত আটকে দেবে। কিন্তু কালকে ও আবার সব ভেঙে বেরিয়ে পড়বে। শুভেন্দু অধিকারী এই রাজ্যের শক্তিশালী নেতা।”

অনেকে বলছেন, এতদিন তো তৃণমূলের বিরুদ্ধে লড়াই করার মত বিরোধীদের কোনো মুখ ছিল না। বিগত দিনে বাম এবং কংগ্রেস তৃণমূলের বিরুদ্ধে বিরোধী দলে থাকলেও, তারা সেই ভাবে প্রতিবাদ গড়ে তুলতে পারেনি। সব সময় সেটিং করে এই সরকারের সঙ্গে পথ চলেছিলেন। কিন্তু শুভেন্দু অধিকারী তো কারও মুখাপেক্ষী হয়ে থাকতে চান না। তাই তিনি প্রথম দিন থেকেই এই রাজ্যের ফ্যাসিস্ট মুখ্যমন্ত্রী এবং তার দলদাস পুলিশের বিরুদ্ধে লড়ছেন। তিনি মানুষের মন জয় করে নিয়েছেন বলেই আজকে মিঠুন চক্রবর্তীর মত সুপারস্টার অভিনেতাও বলতে বাধ্য হলেন যে, শুভেন্দু অধিকারী এই রাজ্যের শক্তিশালী নেতা। তাকে আটকে কোনো লাভ হবে না। অর্থাৎ এই রাজ্যে এতদিন বিরোধীদের মুখ না থাকলেও, এবার কিন্তু সব মহলের কাছেই সেই জায়গাটা পূরণ করে নিয়েছেন শুভেন্দুবাবু বলেই মনে করছেন একাংশ।

ইতিমধ্যেই মিঠুন চক্রবর্তীর এই বক্তব্য নিয়ে প্রবল উৎসাহ তৈরি হয়েছে বিজেপি এবং শুভেন্দু অধিকারীর অনুগামীদের মধ্যে। তাদের দাবি, চোখে চোখ রেখে লড়াই করছেন রাজ্যের বর্তমান বিরোধী দলনেতা। তিনি যেভাবে এই সরকারকে বিপাকে ফেলছেন, তাতে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় প্রতি মুহূর্তে চিন্তিত হয়ে পড়ছেন। রাজ্যের পরিস্থিতি হাতের বাইরে চলে গিয়েছে। তাই সাধারণ মানুষের কাছে পৌঁছে যেতেই শুভেন্দু অধিকারীকে সব রকম ভাবে আটকে দেওয়ার চেষ্টা হচ্ছে। কিন্তু এসব করে লাভ হবে না। রাজ্যের মানুষের সঙ্গে শুভেন্দু অধিকারীর আত্মার আত্মীয়ের সম্পর্ক তৈরি হয়েছে। আগামী দিনে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে সরাতে রাজ্যের বর্তমান বিরোধী দলনেতা প্রধান মুখ হয়ে দাঁড়াবেন বলেই দাবি একাংশের।

পর্যবেক্ষকদের মতে, এই রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী যদি শুভেন্দু অধিকারীকে ভয় নাই পাবেন, তাহলে কেন তাকে বিধানসভার ভেতরে অধ্যক্ষকে নির্দেশ দিয়ে সাসপেন্ড করালেন? কেন নিজের পুলিশকে দিয়ে সন্দেশখালির বহু আগেই সেই শুভেন্দু অধিকারীর নেতৃত্বে বিরোধী বিধায়কদের বাসকে আটকে দিলেন? তার এত কিসের ভয়! তিনি তো নাকি একাই একশো। তাহলে তারপরেও কি শুভেন্দু আতঙ্ক তার মনে কাজ করছে! কারন এই শুভেন্দু অধিকারী তাকে পরাজিত করেছেন। তাই মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বুঝতে পারছেন যে, শুভেন্দু অধিকারী যেভাবে লড়াই করছেন, তাতে খুব তাড়াতাড়ি কুর্সি দখল করে নিতে পারে বিজেপি! আর সেই আতঙ্ক যে এই রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীর মনে ভালোভাবেই কাজ করেছে, সেটা বুঝতে পেরেছেন স্বয়ং মিঠুন চক্রবর্তীও। তাই শুভেন্দু অধিকারীর লড়াইয়ের পাশে থাকার কথা যেমন বললেন, ঠিক তেমনই বুঝিয়ে দিলেন, তৃণমূলের বিরুদ্ধে লড়াইয়ের অন্যতম মুখ শুভেন্দু অধিকারী। দিনের শেষে তেমনটাই বলছেন রাজনৈতিক পর্যবেক্ষকরা।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!