এখন পড়ছেন
হোম > রাজনীতি > তৃণমূল > নবান্নতে পালাবদল আসন্ন! মমতার প্রাক্তন সতীর্থের গলায় এ কোন সুর? জেনে নিন!

নবান্নতে পালাবদল আসন্ন! মমতার প্রাক্তন সতীর্থের গলায় এ কোন সুর? জেনে নিন!


 

প্রিয়বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট- সন্দেশখালির ঘটনা সকলের মনেই একটা ক্ষত চিহ্ন তৈরি করেছে। গোটা রাজ্যের মানুষ আজকে আতঙ্কিত যে, সন্দেশখালির মত হয়ত এরকম আরও অনেক জায়গা আছে, যেখানে তৃণমূল নেতারা মেয়েদের ভোগ্যপণ্য হিসেবে ব্যবহার করতেন। সকলের একটাই দাবি যে, কবে গ্রেফতার করা হবে অভিযুক্তদের? পুলিশ যে দলদাসের মত আচরণ করছে, তা স্পষ্ট। অনেকে আবার এটাও বলছেন যে, এই সন্দেশখালিতে যেভাবে জনজাগরণ হয়েছে, যেভাবে মা-বোনেরা রাস্তায় বেরিয়ে পড়েছেন, সেটা অনেকটা বিগত বাম আমলে নন্দীগ্রামের মত। সেই নন্দীগ্রাম থেকেই কিন্তু বাম সরকারের বিদায়ের ঘন্টা বেধে ছিল। তাই কি এই সন্দেশখালি থেকেও বিদায়ের ঘন্টা বাঁচতে চলেছে তৃণমূল সরকারের? এই সমস্ত প্রশ্ন যখন উঠছে, ঠিক তখনই হাসপাতাল থেকে ছাড়া পেয়েই ইঙ্গিতপূর্ণ মন্তব্য করলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের প্রাক্তন সতীর্থ। তার বক্তব্যের মধ্যে দিয়ে একটা আভাস পাওয়া গেল যে, এবার হয়ত রাজ্যে আবার একটা পালাবদল হতে চলেছে। বিসর্জন যেতে চলেছে তৃণমূল কংগ্রেসের সরকার। কিন্তু কে এমন কথা বললেন! আর কিই বা বললেন তিনি!

প্রসঙ্গত, বেশ কিছুদিন অসুস্থ থাকার পর আজ হাসপাতাল থেকে ছাড়া পান বিশিষ্ট অভিনেতা মিঠুন চক্রবর্তী। আর তারপরেই তাকে রাজ্যের বিভিন্ন বিষয় নিয়ে প্রশ্ন করা হলে তিনি একটি ইঙ্গিতপূর্ণ মন্তব্য করেন। সুপারস্টার এই অভিনেতা বলেন, “সময় চলে এসেছে। মানুষ জাগতে শুরু করেছে। যেটা হচ্ছে, সেটা গ্রহণযোগ্য নয়।” অনেকে বলছেন ঠিক কথাই বলেছেন মিঠুন চক্রবর্তী। তৃণমূল এখন হয়ত নিজেদের প্রাক্তন সতীর্থকে অনেক আক্রমণ করবে। সেটা তারা করতেই পারে। কিন্তু একটা পরিস্থিতি, একটা ইঙ্গিত দেখে বোঝা যায় যে, কি হতে চলেছে রাজ্যের রাজনৈতিক ভবিষ্যৎ। ঠিক যেমনটা বিগত বাম সরকারের শেষের দিকে হয়েছিল, যেভাবে মানুষ এই সরকারের বিরুদ্ধে প্রকাশ্যে মুখ খুলতে শুরু করেছিলেন, ঠিক তেমনটাই হচ্ছে তৃণমূল সরকারের বর্তমান সময়ে। সন্দেশখালি গোটা রাজ্যের মানুষের বিবেককে নাড়িয়ে দিয়েছে। স্বাভাবিক ভাবেই আগামী দিনে তৃণমূলের বিদায় শুধু সময়ের অপেক্ষা বলেই দাবি একাংশের।

ইতিমধ্যেই গোটা বিষয়ে কটাক্ষ করতে শুরু করেছে বিজেপি। তাদের দাবি, মিঠুন চক্রবর্তী সঠিক জিনিসটাই ধরতে পেরেছেন। তিনি বুঝতে পেরেছেন যে, এই রাজ্য সরকার আর বেশি দিন ক্ষমতায় টিকে থাকবে না। রাজ্যের মহিলারা যেভাবে জেগে উঠছে, তাতে এদের উপর আর কেউ বিশ্বাস রাখতে পারছে না। চুরি, দুর্নীতিতে এই রাজ্য শেষ হয়ে গিয়েছে। আর সন্দেশখালি গোটা রাজ্যের মানুষকে পথ দেখাচ্ছে। আগামী দিনে সর্বস্তরে এই তৃণমূল সরকারের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ ভয়ংকর জায়গায় পৌঁছে যাবে বলেই দাবি গেরুয়া শিবিরের।

পর্যবেক্ষকদের মতে, তৃণমূলের ওপর আর কে বিশ্বাস করবে? সন্দেশখালির মত এত ভয়ঙ্কর ঘটনা সামনে আসার পরেও, এই রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী ছেলে খেলার মত আচরণ করছেন। যেন কিছুই হয়নি, এমন ভাব দেখানোর চেষ্টা করছেন। আসলে নিজের দলের নেতাদের অত্যাচার ঢাকার জন্য এই রাজ্যের প্রশাসনিক প্রধান হয়ত সবকিছু করতে পারেন। যেখানেই বিরোধীরা মুখ খুলবে, সেখানে তাদের আটকানোর জন্য একমাত্র তার পুলিশ আছে! আর এসব করতে গিয়েই মানুষ যে তার কাছ থেকে সরে যাচ্ছে, সেটা ক্ষমতার নেশায় আর বুঝে উঠতে পারছেন না মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তাই সময় আসছে, যখন তাকে একদম নবান্ন থেকে সরিয়ে দিয়ে পরিবর্তন আনবেন গোটা রাজ্যের মানুষ। মিঠুন চক্রবর্তীর বক্তব্যের পর তেমনটাই বলছেন রাজনৈতিক সমালোচকরা।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!